৩৮ঃ বর্ষ, দ্বিতীয় সংখ্যা বোধ হইলেও তাহ শুনিতে হইবে । নহিলে আদব দুরন্ত থাকে না ! তাই সকলে আশ্চৰ্য্য সহিষ্ণুতার সহিত এই কঠোর, অগ্নিপরীক্ষার মধ্যে কোনমতে আপনাদিগকে • আচপল রাখিলেন। Lo নবাব বলিতে লাগিলেন, "মাশেলের বন্দৰে ঘুরে ঘুরে কত দিন কাটিয়ে দিলুম। এক দোকানির দয়া ছিল, সে ডেকে দু’চার দিন পোড়া রুটি খেতে দিয়েছে। কি করব, কি হবে, কিছুই ভেবে স্থির করতে পারছিলুম না। এমন সময় এক সঙ্গী জুটল। সঙ্গী বটে— কিন্তু আজ সে আমার পরম শক্র । তার নাম করলে এখনই তাকে আপনার চিনতে পারবেন। আজ তার মস্ত নাম.. কিন্তু সে ভগু—নিরেট ভণ্ড । তার নাম হেমারলিঙ। ঐ যে হেমারলিঙ এও সনের প্রকাও ব্যাঙ্ক, তারই মালিক বড় হেমারলিঙ, আজ সেও অনেক পয়সা করেছে, কিন্তু তার সেদিনকার দশা আমারই মত ছিল। সে-ও ভাগ্য-পরীক্ষায় বেরিয়েছে। দুজনে ভারী মিশ খেয়ে গেলুম। শেষে পরামর্শ করলুম, দুজনেই বিদেশে যাব । কিন্তু যাই কোথায় ? কাগজে কতক গুলো দেশের নাম লিখে লটারি কর্ম "একটা কাগজ উঠল, 'টিউনিস।’ ব্যস আর কথা নেই, বার্তা নেই, একদম টিউনিসে বওনা হলুম। কোনমতে জাহাজে জায়গা করে. নিলুম। যেদিন বেরুলুম, হাতে যে দিন একটাও পয়সা ছিল না, কিন্তু বিলুম পাচশ লক্ষ টাকার মালিক হয়ে ।” নবাব 'ly) মপার্ভ একটা নিশ্বাস ত্যাগ করিলেন। নবাব কহিলেন, “ই, সাহেব, পচিশ লক্ষ নগদ । তা ছাড়া টিউনিসে আমার দেদার টাকা ছড়ানো আছে ! গোলেতার বন্দরে থানকতক জাহাজ আছে, তা-ছাড়া মণি মুক্তে হীরে এ-সবের ত কথাই ক্টেই। এ পচিশ লক্ষ যদি আজ হঠাৎ উড়ে ষায় ত কালই আবার পচিশ লক্ষ আমার হাতে মজুত দেখবেন!” শুনিয়া সকলে যেন জলিয়া উঠিল। এই বৰ্ব্বরের এত অর্থ! মনের ভাব গোপন রহিয়া গেল। চারিধারে কলরব উঠিল, “অদ্ভুত ।” “চমৎকার ” & “খাসা !” “এতক্ষণ যেন আরব্য উপন্যাসের গল্প শুনছিলুম !”
- জেঙ্কিন্স কহিলেন, “এই লোকেরই ডেপুটি কাউন্সিলর হওয়া উচিত।”
পাগানেতি কহিলেন,“আমি বলছি একদিন হবেনও নিশ্চয়।” ” সকলেই সসন্ত্রমে নবাবের করমর্দন করিলেন । து. উত্তেজনাটা কিছু কমিলে নবাব কহিলেন, “একটু কফির ফরমাস করা যাক-কি বলেন?” “নিশ্চয় ! নিশ্চয় ।” কফি আসিল । নিমেষুেই পাত্ৰণ্ডল নিঃশেষ হইল । লুঙ্গি কহিলেন, “তাহলে নবাব বাহাদুর, মাজ ওঠা যাক - ইতিমধ্যে আমি একবার আঠুরাশ্রমের প্ল্যানখানা আপনাকে দেখিয়ে নিয়ে যাব । . আপনি শেষ একবার না দেখে দিলে আমি ত কিছু বৰশুদ্ধ লোক চমকিয়া উঠিল। পাচশ ঠিক করতে পাচ্ছি না। কোথাও যদি কিছু লক্ষ টাকা । আরব্য উপন্সাসের কাহিনী বে। কার্দেলীক বলিয়া উঠিল, “অদ্ভূত।" বদলাতে চান ত বদলাবেন ।” প্রসন্নভাবে নবাব কহিলেন, “বেশ !”