** আমাদের ঘরে ঘরে পৌঁছিয়া দিবার জন্ত ? আমি বলি আত্ম-দেবতাকে ;-চিত্রকরের নিজের আস্থাকে। এই আত্মা যদি পটে চিত্রিত বা অধিষ্ঠিত রহেন তবে তাঁহাই চিত্র,—যদি গালিচায় অধিষ্ঠিত হয়েন তবে তাছাই চিত্র, —যদি গৃহভিত্তিতে অথৰ্ব্ব যদি গ্রন্থের কাগজে অধিষ্ঠিত হয়েন তবে তাছাও চিত্র। আত্মা আত্মীয়তার জন্ত ব্যাকুল ;–চারিদিকের অস্ট্রীয়তার ভিতর আপনাকে প্রকাশ করিবার জন্ত তাহার ভিতরে বিপুল একটা প্রকাশ-বেদন উদয় হইয়া নিয়ত কাৰ্য্য করিতেছে । এই প্রকাশ-বেদনের— এই উদয়ের অভিব্যক্তিই হচ্ছে চিত্র । এই উদয়ের ং, এই বেদনের শোণিমা যখন আসিয়া সাদা কাগজকে রাঙাইতেছে ;–তাছাকে রূপ দিতেছে, প্রমাণ দিতেছে, ভাব লাবণ্য সাদৃশু বর্ণিকাভঙ্গ দিতেছে, তখনই হইতেছে চিত্র। স্বৰ্য উদয় হইতেছেন কোন অন্ধকারের অন্তরালে ভtং কে জানে? আমরা তখনি • তাহণকে দেখি য৪ ন উদয়ের রশ্মিজালে * "আকাশপটকে রাঙাইয়া তুলিয়াছে,—যখন হুর্য্যোদয়, জলস্থল অন্তৰীক্ষের বিচিত্র রূপ, প্রমাণভাবলাবণ্যাদিকে সোনার এক জাগ্রৎ স্বপ্নে উদ্বোধিত করিয়া আপনার উদ্বোধন আমাদের জানাইতেছে। হুতরাং দেখিতেছি চিত্র যাহাওঁtহার,গোড়াতে হচ্ছে গোপন একটি উদয়-উৎস যাহারভিক্টরে প্রকাশ-বেদন আছে; আর শেষ একটি অনিৰ্ব্বচনীয় রযুেদয় যেখানে হচ্ছে চিত্রের পরিণতি। এবং এই দুই উদয়ের মধ্যে আছে রূপ ভাব লাবণ্য ইত্যাদির ছন্দ ছাদ ছাঁচ বা আচ্ছাদন। চিত্র হয় তখন যখন চিত্রকরের অপ্তর্নিহিত উদয়-বাসনা বা প্রকাশ ভারতী टैंखार्छ, ४७९s বেদন ছন্দের নিয়মে আপনাকে বাধিয়া অস্তুবাহ দুই রূপে নিজেকে সঙ্গত করিয়া রসোদয়ে পরিণত হয়। শব্দচিত্র, সঙ্গীত, বাচ্য-চিত্র, কবিতা, দৃশুচিত্র, পট ও মূৰ্ত্তি ইত্যাদি কেহই স্বষ্টির এই স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার অনুসরণ না করিয়া প্রকাশ পাইতেই পারে না । যদি কিছু এই স্বাভাবিক প্রক্রিয়াকে অতিক্রম করিয়া উদয় হয় তাহাকে বলিবন সঙ্গীত, কবিতা কিম্বাচিত্র;—তাহাকে পাগলের খেয়াল, 發 মাতালের প্রলাপ বলিতে পারি। পাগলের এবং মাতালের অস্তরের উৎকট প্রকাশবেদন, উদয়-বাসনা কিছুতেই আপনাকে ছদে বাধিতে পারিতেছে না ;---ছন্দের আবরণ ও আচ্ছাদন সে দূরে ফেলিয়া উলঙ্গ হইয়া দেখা দিতেছে ; কাজেই বেদনাতেই তাহাব পরিসমাপ্তি রসোদয়ের আনন্দে নয়। চিত্র প্রথমোদয়ে বা প্রকাশ-বেদনের অবস্থায় অরণ বা অব্যক্তরাগ শব্দরহিত ; উদয়ের দ্বিতীয় অবস্থায় সে প্রলুর,–ছন্দের মধ্যে সংগ্ৰেষিত প্রচলিত বা কল্পিত ; আর উদয়ের তৃতীয় অবস্থায় সে অনুন, অথও সমগ্র অর্থাৎ রূপে প্রমাণে ভাবে রাবণ্যে সাদৃশ্বে বর্ণিকাভঙ্গে পরিপূর্ণ হুর্য্যের স্থায় অখণ্ডমণ্ডলাকারে উদিত । & এখন দেখা যাইতেছে চিত্রের প্রথমোদয় এবং পূর্ণেদ্বয়ের ঠিক মৰ্ম্মস্থানটিতে আছেন ছন্দ-উষার স্তায় দীপ্তিমতী, শোভার জন্ত জলোৰ্ম্মির দ্যায় উত্থিত- সমস্ত স্থান সুপথ বিশিষ্ট ও সুখে গমনযোগ্য করিয়া "চিত্রকরের মনের প্রকাশ-বেদন এবং চিত্রের প্রকাশ ইহারষ্ট মাঝখানটিতে উধাব আনন্দ কবীর म७ झर्न ; ७हेछछ इनाक बग इद्देो’ 를
পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/১৯৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।