৩৮শ-বর্ষ, দ্বিতীয় সংখ্যা অরণ্য ষষ্ঠী ుసెరి অপেক্ষ রসকে অধিকতর পরিষ্কার করিয়া যেন বৃহতের আস্বাদে আমাদেরও বড় করিয়া সুঝাইবার জো নাই। এই হ’ল রস—একথা তুলিয়া রহিয়াছে সেই প্রকাণ্ড আস্বাদ - রস । বলা চলে না । কেননা ‘স চ ন কাf্যঃ নাপি রস যখন চিত্রের সর্বস্ব, তাহার প্রাণেরও জ্ঞাপ্য' । তবে কি সে আকাশ-কুসুমের মত • প্রাণ তখন এক প্রাণ-রসন ব্যতিরেকে অলীক ? কখনই না। রস যে হচ্ছে। রস যে আর কোন ইন্দ্রিয়—না চক্ষু ন শ্রোত্ৰ—চিত্রের পাচ্ছি। রস যে রয়েছে দেখছি। ‘পুরইব অস্বাদ গ্রহণ করিতেছে, চিত্রিতব্যের স্বাদ পবিষ্ণুরণ–যেন সম্মুখে ৷ ‘হৃদয়মিব প্রবিশন পাইতেছে । চিত্রের উৎপত্তি চিত্রের পরিণতি –যেন বুকের ভিতরে, “সৰ্ব্বাঙ্গীনমিবমালিঙ্গন এই দুইটিই যখন রহিল প্রাণের ভিতরে, তখন সৰ্ব্বাঙ্গ আলিঙ্গন করে । প্রাণ দিয়াই তাতাদের উভয়কে দেখিতে হয়, রসোন্মত্ত ময়ূরের সকল গায়ে রস, মণি- শুধু চোখ দিয়া নয়,—এমন কি যেটুকু চোখে মাণিক্যের জ্যোতির মত ফুটিয়া উঠিতেছে দেখিতেছি, হাতে ধরিতে পারিতেছি –এ যে চোখে দেখিতেছি, রসে তাহার বুক ভাগকেও চোখ দিয়া দেখা শুধু নয়, হাত মুরী-পাত্রের মত * ভরিয়া উঠিতেছে, রস দিয়া ছোয়া শুধু নয়,—প্রাণ দিয়া দেখা, প্রাণ তাহাব বিচিত্র পিচ্ছেব রোমে রোমে শিহরণ দিয়া স্পর্শ কর। দিয়া নিঝরের মত ঝরিয়া পড়িতেছে । রসকে যে দেখিতেছি, রসকে যে শুনিতে পাইতেছি, কেমন করিয়া বলি রস অলীক ? নব নব চিত্র বিচিত্র রঙ্গ ও ভঙ্গ যে রসের শৃঙ্গার বেশ । ‘অয়ম শৃঙ্গারাদিকে রস অলৌকিক রূপের রসেব ফুল ফুইটা যায় চমৎকারি’—সে অলৌকিক এক চমৎকার অামাব পরাণ স্থত। কই ।
"চেপে দেখে গায়ে ঠেকে ধুলো আর মাটি। প্রাণ রসনায় দেখরে চাইথা রসের সাই খাটি। চোখে ধূলো আর মাটি,প্রাণে বসের-সাইখাটি। সামগ্রী । সে রহিয়াছে, সে আসিতেছে। বাইরে বাজে সাইয়ের বাশি جماعتی پھا۔ ‘অন্তং সৰ্ব্বমিব তিরোদধৎ—তাহার সম্মুখে আমি শুইনা আকুল হই। * * কিছু আর তিষ্ঠিতে পারিতেছে না, রসে সব আমার মিলন মালা হইল নারে ভাসাই লইতেছে, রসের মধ্যে সকলি লাজে পথ হাটি • ডুবিয়া যাইতেছে! বিরাট প্লীবনের মত কেবল হাটি,আর হাট। সকলের উপরে ‘ব্রহ্মস্বাদমিব অনুভবয়ন — © ఫి HR ঠাকুর। o অরণ্য ষষ্ঠী . • পঞ্চমীর একটুখানি চাদ পশ্চিম-আকাশের • তুলসী-তলার মৃৎ-প্রদীপের নিকট পড়িয়, * ক্ষেীণ হইতে স্নান আলোকের ক্ষীণ ও বালিকা বধূটর মত সঙ্কুচিত ভাবে যেন প্রণাম ** ** প্রসারণ করিয়া, গৃহস্থের অঙ্গনের করিতেছিল ; ঠাকুর-ঘরে শঙ্খশব্দ নীরব