৩৮৭ বর্ষ, দ্বিতীয় সংখ্যা • * পাশে লইয়া গৃহিণী পুরোহিতপরি ত্যক্ত আসনের উপর বসিয়া অশ্বখ শাখার গাত্রস্থ হরিদ্রারঞ্জিত স্বস্তাব “খেই” নিজ হস্তে ধরিলেন এবং বঞ্চু ক্যাদেরও হস্ত স্পর্শ করাষ্টয়া, রাখিলেন। প্রত্যেক “পোয়াতির” হস্তে ছয়টি করিয়া ক্ষীরের শিশু এবং তাহীদের দুইটি জনক জননী পুতুল ধরিতে দিয়া মা ষষ্ঠীকে প্ৰণাম করিয়া গৃহিণী ষষ্ঠীর কথা বলিতে আরম্ভ করলেন। এক থাকেন "গেরোস্তে । গেবোস্তব একটি বেটা একটি বেী ! গেরোস্তোর গোলায় ধান মড় মড় করছে, ইরি চেরি দক্ষিণ দুয়ারি ঘর, গোয়াল ভরা গরু বাছুব, একখানা ভূয়ে সাতপান নাঞ্জেল, রাখাল কৃষণে বাড়ী ভরা অতুল মুখ সম্পদ, কিন্তু কওঁ। গিরির মনে মুখ নেই –একটি বেটা একটি বেী, সেই বৌয়ের, সস্থান হয় না ! সন্তান হবে কি বেটা বড় "আলিষি ! বড় ‘নোলা’ ! গেরোস্তেব অচল ভরপূর্ব , ঘরকল্পা –কিন্তু বেীটোব স্বভাব বড় মন্দ। বেীটো করে কি কড়াভরা দুধের সরথান তুলে টপ করে খায়, “কোচ“ভর দইয়ের সরখানা তুলে গালে দ্যায়, হেঁসেলের ভাজা মাছের আগ, তুলে খায়, ঠাকুর দেশত মানা নেই, বামুন বৈষ্ণৰ মন৷ নেই, ভাল জিনিষ দেখলেই তার আগ তুলে খায়, আর যেই “কি হ’ল—কে খেলো” বলে খোজ পড়ে আমনি বাড়ীর “কালে বেড়ালটার নামে দোষ স্থায় !—” কে আর থাবে ঐ কালো বেড়াল খেয়ে গেল !”— তখন ধর*কালো বেড়াগটাকে, মার কালে বেড়ালটাকে -- * নিত্যি নিত্যি বিনি দোষে এই রকম *ংর কালে বেড়ালের ক্রমে অসহ অরণ্য ষষ্ঠী Y Sፃ হয়ে উঠল! কালে বেড়াল—ম ষষ্ঠীর বাহন। সে বনে গিয়ে মাষষ্ঠীকে জানালে “ মু গেরোস্ত দের বেটা বড় বজ্জতে i নিজে থায় আর বিনি দোষে আমার এই রকম লাঞ্ছনা করে, মা অীমাব আর সহ .হয় না ! বেটীকে তোমায় জব্দ করতেই হবে।” শাষষ্ঠ বল্লেন বটে ? আহ ! বেটা তো বাজা হ’য়ে আছে এইবার তার সন্তান সম্ভাবনা হবে। .যে দিন ছেলে হবে সেই রাত্রেই তুই ছেলে চুবী করে এনে আমার ছেলে আমার কাছে দিয়ে যাবি । তাহ’লেই গেরোস্তর বেী জব্দ হবে ।” কালে বেড়াল খুলী হয়ে চলে এল ; এদিকে অল্পদিনের ভেতরই সবাই টের পেলে বেী পোয়াতি হয়েছে। কর্তা গিরির আর আনন্দের সীমা নেই,—একে একে ੋੜ পঞ্চামৃত সাধ সোমন্তন সব দিলে। বেট একেই বজ্জাত, তাতে সকলের আদরে আরও আছবে হয়ে ঠাকুরদের নৈবিষ্ঠির মণ্ড পৰ্য্যন্ত নিয়ে খেতে লাগল এবং কালে বেড়ালের দোষ দিতে লাগ ল! কালে বেড়াল মা ধোর খেয়েও মোকে জব্দ” করবার জন্ত গেরস্তর বাড়ী পড়ে রইল। তবেপরে দশমাসে গেরস্তদের বোর একটি চাদের মত ছেলে হ’ল, আনন্দে আহলাদে দিন কেটে গেল, রায় সবাই যেমন ঘুমিয়ে পড়েছে “কালো” বেড়াল", অমনি নিঃশবে আতুরে ঢুকে ছেলেটিকে মুখে করে নিয়ে বনে মাষষ্ঠীর কাছে দিয়ে এল। ( এইখানে সকলে এক একটি ক্ষীরের পুতুল কালে বেড়ালের 'নিকট ষষ্ঠীর গাছতলায় রাখিয়া দিল। সকালে গেরস্তর বাড়ী হাহাকার পড়ে গেল কত ভাগ্যে একটি ছেলে,—সে ছেলে
পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/২০৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।