পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S 8 & 爵 লষ্টতে আমাদের মনকে কোনোমত প্রকারে .লওয়াইলেও লওয়াইতে পারি ; নচেৎ আমরা না খাইয়া মরিব সেও ভাল, তথাপি তার সিকি পয়সা বেণী মূল্যে আমরা তাহা লইব না।” মন্ত্রিবর ফাপরে গড়িলেন। মন্ত্রিবরের মন্ত্রিণ ঠাকুরাণী ছিলেন দুই সপত্নী। তাহার ‘ੱਗ ছিলেন রক্ষানীতি, আর, তাহার কৈকেয়ী ছিলেম লোকরঞ্জন । প্রজাদের ঐরূপ কঠিন প্রতিজ্ঞার কথা উভয় মন্ত্ৰিণী ঠাকুরাণীরই কর্ণে পৌছিল । মন্ত্রিবর মধ্যাহ্ন ভোজনে বসিয়া ভাঙ্কো করিয়া আহার করিতে rছন না দেখিয়া বড় মন্ত্রিণ রক্ষানীতি বর্গিলেন "াবচ কেন অত ; প্রজাদের যারা প্রধান মোড়ক্ট-ঘাদের বুদ্ধি আছে, বিবেচনা আছে, তাদের সবাইকে ডাকিয়ে এনে ভাল ক’রে , বুঝিয়ে ব’লেই তারা, বুঝবে, আর প্রধানের বুঝলেই ক্রমে ক্রমে সবাই বুঝবে ; তা হ’লেই ' আপদ ঘালাই চুকে যাবে।” ছোটো মন্ত্ৰিণী লোকরঞ্জন বলিলেন “দিদি যা ব’লচেন তা যদি . ভালবোঝে। তবে তাই ধর । সখামণি ঘাটে জল ভুলতে গিয়েছিল—জলতুলে এণে আমাকে ব’ল্লে যে, রাস্তায় লোকের ক্লিডু হ’য়েচে ভারতী / Ås s বৈশাখ, ১৩২১ তার আগে যাতে তা আমাকে দেখতে না হয়, আমি তা না-খেয়েই হো’কূ আর যাখেয়েই হোক—যেমন ক’রে হোক, ক’রে ক’ন্মে চুকে নিশ্চিন্তি হ’ব। তা হ’লেই দিদি ঘরের একেশ্বরী হ’বেন আর তোমার সব আপদ বালাই চুকে যাবে।” মন্ত্রিবর তার কৈকেয়ী ঠাকুরাণী লোকরঞ্জনা’র আবদার কিছুতেই থামাইতে পারিলেন না ; তিনি আর কোনো উপায় না দেখিয়া রাজভাণ্ডারের বিশুদ্ধ তত্ত্বান্নেব সহিত নানা প্রকার অর্থহীন এবং অসাব ক্রিয়া কৰ্ম্মের ভেজাল মিশাইয়া প্রজাদিগের মধ্যে এক টাকার জিনিস সিকি পয়সা মূল্যে বিলি কবিতে আরম্ভ করিলেন । বিজ্ঞানের বয়স তখন যদিও શ્ન কম তথাপি মন্ত্রিবরের ঐরূপ গৰ্হিত কার্য তাহার একটুও ভালো লাগিল না। “ বিজ্ঞানের মুখ ভার দেখিয়া মন্ত্রিবর তাহকে বলিলেন “তুমি আমাব কার্য্যে অসন্তুষ্ট হইয়াছ ? কেন যে আমি এইরূপ " দেশকাল-পাত্রোচিত বিধি-ব্যবস্থ প্রবর্তন, করিতেছি, এখনো তোমার তাহা বুঝিতে পারিবার সময় হয় নাই ; আমার শক্ত এমি যে, দুই দণ্ড তাকে পথের একৃধারে মতে যখন,তোমার ੋ। পাকিবে তখন তুমি g g {i o দাড়িয়ে থাকতে হয়েছিল; আব, প্রজাব ভাই বুঝিতে পারিয়৷ বলিবে যে, বৃদ্ধ মন্ত্রিটি সবাই মিলে যা ੇ, সেইখনে দাড়িয়ে । ছিলেন বলিয় রাজ্য এখনো পৰ্য্যন্ত টেকিয় দ্বাড়িয়ে সব সে গুনেছে তার চকের সামনে, আছে, নহিলে কোনকালে তাহ রসাতলে প্রধান মোড়োলেরাই বা কি, আর খুচরো যাইত “ বিজ্ঞান বলিল “আপনি ঐ যে চাসাভু সারাই বা কি, সবাই মিলে ধ’লছিল কদৰ্য্য সামগ্ৰীগুলা বাজারে চালাইয়। যে, তার না খেয়ে মরবুে তবুও তারা এক দিতেছেন, ও যে বিষু।” মন্ত্রিবর স্মৃতিপুরাণ টাকার সমগ্রী এক পয়সার বেশী দাম বলিলেন “ঐ দ্রব্যগুলারই মধ্যে দুই চারি দিয়ে নেবে না। দেশমৃদ্ধ লোক না খেয়ে ফোট অমৃত যাহা সঙ্গোপিত আছে,তাহ মঙ্গে—আমি তা চকে দেখতে পারব না ; , অমনধারা দশ দশ হাড়ি বিষকে গিলিয়৷