* ○ハ○ ৩৮শ বর্ষ ] আষাঢ়, ১৩২১ [ ৩য় সংখ্যা মল্লিনাথ ংস্কৃত সাহিত্যে ভাষা, বৃত্তি ও লিখিয়া কতকগুলি স্বত্র রচনা করিয়া নিজেই টীকাকাবগণ সৰ্ব্বনা সম্মানিত । . তাছার না থাকিলে এতদিনে শাস্ত্ৰমৰ্ম্ম লুপ্ত হইয়া যাইত। র্তাহীদের উদ্যম না থাকিলে বেদ, উপনিষদ প্রভৃতি দুরূহ গ্রন্থ দূরে থাক, সামান্ত কাব্যাদির আলোচনা ও আজ অতি মায়াস-সাধ্য এমন কি অসম্ভব হইয়। উঠত । সেকালে বিস্তু ত গ্রন্থ বচনার সুবিধা ছিল না । বেদ, বেদাঙ্গ, উপনিষদ, দর্শন প্রভৃতি স্মৃতিশক্তি সাহায্যেই প্রচারিত হই ত । কাজেই স্বয়ম্ব স্বাক্ষারে শিক্ষা দিবার প্রণালীই তখন শ্রেষ্ঠ বলিয়। পবিগণিত ছিল । এই ছোট ছোট স্বত্র গুলি অল্প আয়াসে কণ্ঠস্থ হইত বটে কিন্তু তাহার মহৎ দোষ ছিল অর্থেরশ্ৰষ্পষ্টত। গুরুর নিকট হইতে উপদেশ না পাইলে আর কেছ স্বত্রের মৰ্ম্ম বুঝিতে ধারিত না । গুরুগৃহে অধ্যয়নই তখন জ্ঞান%ভর একমাত্র উপায় ছিল । এই স্বত্রাকারে গ্রন্থ রচনার এত প্রচার ইয়াছি যে শেষে গ্রন্থকার বিশদ গ্রন্থন তাহার বৃত্তি রচনা করিতেন। কিন্তু লিখন প্রণালীব বহু প্রচলনে ব্যাখ্যা ও টীকারচনা সঁঠুজ হইয়া আসিল । ব্যাখ্যার বিশেষ প্রয়োজনও হইল কেন না অনেক স্থলে নিজ নিজ স্বার্থসিদ্ধির জন্ত পণ্ডিতগণ স্বত্রগুলির বিকৃত অর্থ কবিতে লাগিলেন, কোথাও বা কোনও শাস্ত্রেব দুরূহতা প্রযুক্ত ব্যাখ্যার অভাবে তাহাব পঠন-পাঠনও বন্ধ হইয়া" গেল। তখন ভাষা, বৃত্তি, টাঁকী, টপ্পনীর যুগ আসিল । র্যাহারা স্বেচ্ছায় এই ভার গ্রহণ কবিলেন র্তাহাদেব দ্যায় মুনীষী ভারতে আর জন্মে নাই । ,বেদের ভাষ্য কৰ্ত্ত— সঞ্চয়ণাচার্য, উপনিষদ খেদান্ত গীতার ভাষ্যকর্তা শঙ্করাচার্য্য, দ্যায় দর্শনের ভাষাকর্তা বাৎস্যায়ন। কয়জনের অার নাম করিব ? " ." শাস্ত্র গ্রন্থ গুলির এইরূপ ব্যাখ্যা হইতে • থাকিলেও কাব্যগুলি বহুদিন অনাদৃত হইয় র\ল। বহুদিন পরে কেহ কেহ প্রয়োজনীয়তা বুঝিNদুই একখানি কাব্যের টীকা রচনার
পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/২২৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।