পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/২৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৩২ ভারতী ভোজ প্রবন্ধে এই কাহিনী বর্ণিত আছে, কিন্তু ভোজপ্রবন্ধের উপাখ্যানগুলি একটিও বিশ্বাসযোগ্য নহে। কালিদাস, ভবভূতি, বাণ, ময়ুর, দণ্ডী মল্লিনাথ প্রভৃতিকে সমসাময়িকরূপে বর্ণনা করা হইয়াছে ৰ এই একটিমাত্ৰ হেতু হইতেই ভোজপ্রবন্ধের উপর আমাদের বিন্দুমাত্র ও বিশ্বাস থাকে না । তবে এই উপাখ্যানে মল্লিনাথের প্রতি কালিদাসের অনুরাগ বেশ দেখান হইয়াছে । মল্লিনাথের শ্লোকটি শুনিয়া রাজ যখন মল্লিনাথকে বলিলেন “সাধু রচিত গাথা।” তখন কালিদাস বলিলেন “কিমুচ্যতে সাধিবতি ? দেশান্তরগতকান্তীয়াশ্চারিত্র্যবর্ণণেন শ্লাঘনীয়োহসি। বিশিষ্য তত্তম্ভাবপ্রতিভটবর্ণনেন।” যাকৃ—এ কাহিনীর আর আলোচনার কোনও প্রয়োজন নাই। তবে" ইহা হইতে এইটুকু অনুমান করা যাইতে পারে যে মল্লিনাথ যে কেবল টীকা রচনা করিতেন তাহা নয়। র্তাহার মৌলিক কাব্য লিথিবীর শক্তিও ছিল, আমরা পরে দেখাইব মল্লিনাথের একখানি বিলুপ্ত প্রায় কাব্যের কিয়দংশ সম্প্রতি আবিষ্কৃত ইয়াছে । আর দাক্ষিণাত্যদেশে প্রচলিত অাব একটি উপকথার অমুসরণ করা যাকৃ। কানাড়ী ভাষায় রচিত কথাসংগ্রহ নামক গ্রন্থে পেদভট্টচরিতম্ নামক এক উপাখ্যান বর্ণিত হইয়াছে। মল্লিনাথেরই অপর নাম পেদভট্ট। এই পেদভট্টচরিত মল্লিনাথেরই উপকথাময় জীবনচরিত। সে কাহিনী এই– ' দেবপুর গ্রামে মল্লিনাথের জন্ম হয়। র্তাহার পিতার নাম দেববৰ্ম্মণ। তি}ি একজন প্রসিদ্ধ বেদজ্ঞ অধ্যাপক ছিলুে%। অষাঢ়, ১৩শু

  • ,

দেববাণ"ন্ত্রনাথকে বিদ্যাশিক্ষা দিবার 弯弧 विख् চেষ্টা করিয়াছিলেন কিন্তু মল্লিনাথ এত স্থূলবুদ্ধি যে কিছুই শিক্ষা 'করিতে পানে নাই। বয়ঃপ্রাপ্ত হইলে মল্লিনাথ বিবাহ করিলেন। প্রথম যেদিন শ্বশুরালয়ে যাত্রা কৰিবেন, সেদিন মল্লিনাথের পিতা উপদেশ দিলেন যে কেহ কোনও প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করিলে নীবব হইয়া থাকিবে, কোনও পুস্তক সম্বন্ধে কোনও প্রশ্ন করিলে বলিবে "গ্ৰন্থখানি শেষ হইয়াছে কি ?” শ্বশুরালয়ে উপনীত হইলে কৌতুক করিবার জন্ত একখানি সাদ পুথি তাহার হস্তে দিয়া তাহাকে কোনও প্রশ্ন করা হইল । মল্লিনাথ বমিলেন”গ্রন্থখানি কি শেষ হইয়াছে ?” তাহাতে সকলেই হাস্ত করিয়া উঠিলেন । মল্লিনাথ পূৰ্ব্ব হইতেই নিজ মূৰ্খতার জন্ত পেদভট্ট নামে কথিত হইতেন । এখন শ্বশুরালয়ে বহুবিধু বিদ্রুপ তাহার উপর লাগিল । পত্নীর উপদেশে মল্লিনাথ শ্বশুরালয় পরিত্যাগ করিয়া কাশীধামে উপনীত হইলে ন ও এক অধ্যাপকের গৃহে পাঠার্থে গমন করিলেন । অধ্যাপক র্তাহীকে আজ্ঞা দিলেন পথে বসিয়া “ওঁ কুমঃ শিবায়” এই কয়েকটি কথার উপর দাগ বুলাও । মল্লিনাথ তাহাই করিতে লাগিলেন। অধ্যাপক নিজ পত্নীকে আদেশ দিলেন মল্লিনাথের খাদ্যে ঘুতের পরিবর্তে ੇਸ਼ দিবে। দেখ সে ঘৃতের অভাব বুঝিতে পারে কি না। এইরূপ ক্লেশ ও অবস্থানম সহ •করিতে করিতে বহুদিন কাটিয়.গেম। মল্লিনাথ ক্রমশঃ বর্ণমালা শিখিলেন। নিম্বতৈল তখন তাহার বিস্বাদ লাগিল। তিনি গুরুপত্নীর বর্ষিত হইত্ত্বে