৩৮শ বর্ষ, তৃতীয় সংখ্যা ংেকগুলি বন্ধুকে একত্র সম্মিলিত করিয়াছিলেন ; T তিনি একজনকে তাহার সমক্ষে ছবি আঁকিতে অনুমতি দিলেন, তাহার পর বললেন –যাহার চিত্রবিদ্যার বিদ্বেষী, আমি তাহদের বিদ্বেষী।" চিত্র কলা কি ?—ন ঈশ্বরের অস্তিত্বের একটা প্রমাণ আত্মসমক্ষে aণন করা। জীবন্ত লোকদিগের মুৰ্ত্তি ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গ তই ঠিক করিয়া চিত্রিত কর না কেন, সেই চিত্রে কখনই প্রাণসঞ্চার করিতে পাবিবে না। তবেই বলিতে হয়--ঈশ্বরই কেবল প্রাণদান করিতে পারেন।” রং ও বার্ণিস প্রস্তুত করিবার কাজে কিরূপ উন্নতি হইয়াছিল আবুল-ফজলু তাচার ও উল্লেখ করিয়াছেন :–পারস্ত দেশীয় বড় ত্রিকর বিজাদের রচনাব সহিত, (ষোড়শ শতাব্দীব ) এবং “যাহাদেব যশে সমস্ত জগৎ পরিপূর্ণ” সেই যুরোপীয় চিত্রকরদিগের রচনাৰ সহিত, ভারতীয় ওস্তাদদিগের রচনাবলী টক্কর দিতে পারে । এই ভারতীয় ওস্তাদুদিগের মধ্যে আইন-ই-আকৃবরীতে ৪ জনের নাম আছে :– কবি বলিয়াই যাহার পেশা থ্যাতি সেই জুদাই ; উদারচিত্ত খাজা-আবদুসসমদ ; সৰ্ব্বাপেক্ষা প্রসিদ্ধ দসবন্ত — যে উন্মাদগ্ৰস্থ হইয়া আত্মহত্যা করে ; বসাবন-যাহার তুলিকা সর্বপ্রকার চিত্ৰকৰ্ম্মেই মুনিপুণ ছিল। কিন্তু পবিস্ত-চিত্রকলার দ্বারা অনুপ্রাণিত ভারতীয় চিত্রকলা কেবল ক্ষুদ্রাকৃতি চিত্রেরই সন্ত্রণালন করিত। এই ভারতীয় ওস্তাদের *ঠক গুলি ভাল ভাল প্রতিকৃতি এবং মুন্দর ত্বিকৰ্ম্মে বিভূষিত কতকগুলি কেতাব রাথিয় গিয়াছে। গীত –ষোড়শ শতাব্দীর দুইজন গায়ক * গণ স্বর রচনা করিয়াছেন—উহাদের .মোগল-আমলে শিল্পকলা S:¢ፃ রচিত মুরগুলি এখনও খুব লোকপ্রিয় – গোয়ালিয়রের নায়ক-বকৃষ(শতাব্দীর প্রথমার্দ্ধে) এবং আকৃবরের প্রিয় গায়ক তানসেন । আবুল ফজল লিথিয়াছেন ঃ– “আমি সেই সঙ্গীতের আশ্চৰ্য্য শক্তি বর্ণনা করিতে অসমর্থ—যে সঙ্গীত বিজ্ঞানের যাদুমন্ত্রস্বরূপ। কখন ব। গীত ও স্বরগুলি হৃদয়-আন্দরমহলের রূপসীদিগের মত হঠাৎ কণ্ঠে আসিয়া আবিভূত হয় ; কখন বা কর-স্পষ্ট তন্ত্ৰীপুলনি ও গম্ভীর ঐক্যধ্বনি শ্রবণবিবরে স্বধা ঢালিয়া দেয় । সুরগুলি শ্রীতি-গবাক্ষ দিয়া প্রথমে প্রবেশ করে, পরে শতসহস্র উপহার লইয়া আবার স্বকীয় আবাস সেই হৃদয় মন্দিরে ফিরিয়া যায়। নিজনিজ মানসিক প্রকৃতি ও অবস্থানুসারে শ্রোতৃবর্গ দুঃখ বা আনন্দ অনুভব করে। সঙ্গীত সংসার-বিরাগী সন্ন্যাসীকেও গড়িয়া তুলে আবার সংসারে আসক্ত বীরাঙ্গনাকেও গড়িয়া তুলে। সম্রাটবাহাদুর সঙ্গীত ভালবাসেন, এবং যাহার এই মোহিনী বিদ্যার সাধনা করে তিনি তাহাদিগকে অtশ্রয় দিয়া থাকেন । রাজদরবারের অসংখ্য গায়ক বাদক-পুরুষ, স্ত্রী, হিন্দু, পারসীক, তুরাণী, কাশ্মীরী ; দরবারী গায়ক-বাদকের দল, সাত শ্রেণীতে বিভক্ত : প্রত্যেক শ্রেণীর গায়ক-বাদক সপ্তাহে একদিন সম্রাটকে সঙ্গীত শুনায়। সম্রাট বাহাদুর হুকুম দিবীমাত্রই গায়ক-বাদকের সঙ্গীত-মদির অজস্রধারে ঢ:লিয়৷ দেয়; এই মদিরার কাহারও বা নেশা ছুটয়া যায়, কাহারও বা নেশ। জমিয়া যায়।” আলঙ্কারিক শিল্পকলা । —দীর্ঘকাল বিকাশ লাভ করিয়া এই শিল্পকলা সপ্তদশ শতাব্দীতে উন্নতির সৰ্ব্বোচ্চ শিখরে আবোহণ করে। আধুনিক যুগের বহু পূৰ্ব্বে, ভারতীয় শিল্প সামগ্ৰী আরব ও পারসীকদিগের চিত্ত আকর্ষণ করিয়াছিল। বিজ্ঞানের আধুনিক আবিষ্কার • সমুহের পূৰ্ব্বে, দিল্লিব প্রসিদ্ধ লৌহস্তম্ভের ন্তায় স্থল লৌহখণ্ড আর কখন ঢালাই হয় নাই। হিন্দুর বহুমূল্য-ধাতুর কাজেও খুব
পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/২৫৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।