পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/২৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२१२ মুক্তান রূপের ভঙ্গী নিম্প্রভ,—যদি না তাহাতে 'লাবণ্যের দীপ্তি থাকে। তেমনি চিত্রের রূপ এবং প্রমাণ এবং ভাব স কলি নিম্প্রভ—যদি না এই তিনে লাবণ্য জাসিয়া দীপ্তি দেয়। চিত্রের সমস্ত ভাবভঙ্গীতে লাবণ্য একটি শীতলতা, শোভানত দিয়া চিত্রটিকে নয়নস্নিগ্ধকর ও মনোহর করিয়া তোলে। লবণ না থাকিলে যেমন ব্যঞ্জনের স্বাদে ব্যাঘাত ঘটে, তেমনি লাবণ্য না থাকিলে চিত্রের রসাস্বাদে ব্যাঘাত জন্মায় । সুতরাং লবণ্যের পরিমাণ, পাকা গৃহিণীর মত, চিত্রকরকে বুঝিয়ামুঝিয়া—এক কথার প্রম দ্বারা পরিমিতি দিয়া—প্রয়োগ করিতে হয় । অতিরিক্ত লাবণ্যে চিত্রের ভাবভঙ্গী তিক্ত হইয় পড়ে, অত্যন্ন লাবণ্যে তাহ মাস্বাদशैन झग्न । লাবণ্যরেখাটি হচ্ছেন সকল সময়ে শুচি এবং সংযতা। তিনি ভাবাদিৰ সহিত যুক্ত হইতেছেন বটে কিন্তু সৰ্ব্বদা নিজের স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখিম । লাবণ্য যেন কষ্টিপাথরের কোলে সোনার রেখাটি, কিম্ব পরনের সাড়িখানির কোলে সোনালি পাড়খানি ! লাবণ্য, পাথরকে নিজের সুনির্দিষ্ট রেখাটি দিয়া অঙ্কিত করিতেছেম, পটখানি ঘেরিয়া আপনার দীপ্তি সুনিশ্চিত ঈশ্বরেখায় টানিয়৷ _দিতেছেন ;–কিন্তু বলিতেছেন যে, পাথর তুমিও থাক, আমিও থাকি—তোমার এই একটুখানি জুড়িয়া ; কাপড় তুমিও থাক আমিও থাকি-তোমায় একটি ধারে একটুখানি' স্থান অধিকার করিয়া। লাবণ্য, চিত্রের ভিতরে সৰ্ব্বাপেক্ষ অধিক কাজ করে অথচ আড়ম্বরটি ভূারতী আষাঢ়, ১৩২১ তাহার সর্বাপেক্ষা কম । লাবণ্য নিজে, শুদ্ধ এবং সংযত সুতরাং যাহাকেই স্পর্শ করেন তাহাকেই বিশুদ্ধি দেন, সংযম দেন। ৫ । সাদৃশ্বাং ঘরের কোণে বসিয়া বুড়ি চরকা ঘুৰাই তেছে আর ছড়া কাটিতেছে — “চরকা আমার পুত, চরকা আমার নাতি। চরকার দৌলতে আমার দুয়োরে বাধা হাতী।” বুড়ির চরকাটি যে তাহার নাতি কিম্ব। হাতী অথবা পুতের অনুরূপ তাহা নয় ; বুড়ির এরূপ দেখিবার কারণ হচ্ছে চরকাটির, সঙ্গে বুড়ির সংসার ও বুড়ির নিজের মনোভাবের— হাতি কেনা ইত্যাদির—অচ্ছেদ্য সম্বন্ধটুকু। মুতরাং দেখিতেছি, রূপে রূপে মিল অপেক্ষ সাদৃষ্ঠের পক্ষে ভাবে ভাবে সম্বন্ধ অধিক প্রয়োজনীয়। “সদৃশস্ত ভাব ইতি সাদৃশু।” একের ভাব যখন অন্তে উদ্রেক করিতেছে তখনি হইতেছে সাদৃপ্ত। চরকাটি যদি কোনো উপায়ে নাতির রূপটিমাত্র লইয়া বুড়ির সম্মুখে উপস্থিত হইত—যেমন ইতালীয় চিত্রক বের দ্রাক্ষাগুচ্ছ পাখিকে দেখা দিয়াছিল— তবে বুড়ি হয়তো ঠকিত--কিন্তু যেদিন সে আপনার ভ্রম বুঝিতে পারিত, সেদিন চরকার একখানি কাঠিও সে আর আস্ত রাখিত না । সাদৃষ্ঠের অর্থ চাতুরীর সাহায্যে রূপের প্রতিরূপটি করিয়া—সোলার সাপ গড়িয়ালোককে ভয় দেখানে নয়, ঠকানো নয় ; কিন্তু কোনো-এক রূপের ভাব অন্ত-কোন রূপের সাহায্যে আমাদের মনেউদ্রেক করিয়া দেওয়া | “তম্ভিল্লত্ত্বেসতি তদগতভূয়োধৰ্ম্মবত্বমূ”। এক বস্তু অন্ত বস্তুর যথার্থ ভাব উল্লেক করে-ছুলে