ਅਂ বর্ষ, তৃতীয় সংখ্যা e O .আকৃতির ভিন্নতা সত্বেও। যদি একটি জয়গায় দুয়ের মিল থাকে, সেই জায়গাটি হচ্ছে দুয়েব স্ব স্ব ধৰ্ম্ম। আকৃতির • মধ্যে মিল আছে সেই জন্য বেণীর সহিত সপের সাদৃত দেওয়া চলিতেছে বটে, কিন্তু বেণীর স্থানে সাপটিকে কিম্বা সাপের স্থানে শ্ৰেণীটিকে যেমনি বাথিয়াছি অমনি দুয়েরই স্বধৰ্ম্মে আঘাত করিয়াছি এবং সাদৃগু ও ক্ষুণ্ণ কবিয়াছি। সৰ্পেব ধৰ্ম্ম নয় যে, মস্তক হইতে লম্বমান থাকা,—মস্তকে দংশন কবই তাহার ধৰ্ম্ম । কিম্ব বেণীর ধৰ্ম্ম নয় যে, গাছের তলায় পড়ি ভয় দেখানে–নির্জীব সৰ্পেৰ মত। আবার দেখি, চামরেব ধৰ্ম্ম, গাত্রে লম্বিত রহ, কেশেবও ধৰ্ম্ম তাছাই ; ইহাদেব মধ্যে স্ব স্ব ধৰ্ম্মের মিলও আছে । কাজেই একে অন্তেব স্থান অধিকাৰ করিলেও সাদৃশ্বকে অধিক ক্ষুঃ কবে না। চামর ও কেশেব মত, আকৃতির সাদৃশু এবং দুয়ের স্ব স্ব ধৰ্ম্মেরও সাদৃশু তেমন সুলভ নচে ; সেই জন্ত সাদৃপ্ত দেখাইবার বেলায় বস্তুব আকৃতি অপেক্ষ প্রকৃতি বা স্বধৰ্ম্মের দিক দিয়া সাদৃপ্ত দেওয়াই ভাল। কবিতা কবির মনোভাবের সাদৃশুকে পায় ও পাঠকের বা শ্রোতার মনোভাবকে তৎসদৃশ করিয়া তোলে। সুতরাং কবি নিৰ্ভয়ে লিতে পারেন ‘মুখচন্দ্র। চন্দ্রে এবং মুখে সেখানে আকৃতির সাদৃপ্ত কবি দিতেছেন না ; দিতেছেন সেখানে চক্সোদয়ে নিজের মনোউবের সহিত প্রিয়মুখদর্শনে মনোভাবের "ণ্য। কাজেই বলিতে হইতেছে,সেই সাদৃশুই উত্তম মাং কোনো এক রূপের ব্যঞ্জনাটুকু অন্তএক রূপ দিয়া ব্যক্ত করে। মনোভাবের সদৃশ ংসই হচ্ছে সাদৃপ্ত। ভারত ষড়ঙ্গ २१७ “মুম্বাসিক্তং যথা তাম্রং তন্নিভং জায়তে তথা । রূপাদি ব্যাপুচ্চিত্তং তন্নিভং দৃশুণ্ঠে ধ্রুবম্।” (পঞ্চদশী দ্বৈতবিবেক: ) মনে ভাব রূপের এবং রূপ মনোভাবের झन ईन द। ছাচে পড়িয়া উভয়ে উভয়ের সাদৃপ্ত প্রাপ্ত হইতেছে"। কবি যখন কমলের সহিত চরণের সাদৃপ্ত দিতেছেন তখন তিনি চবর্ণে এবং কমলে আকৃতির সাদৃগুট চূর্ণ কবিয়া নিজের মনোভাবটকেই কমলের মত লেখার ছন্দটিতে র্বাধিয়া আমাদের সম্মুখে উপস্থিত করিতেছেন ; কেননা কেবল রূপের সাদৃপ্ত দিয়া লিখিতে গেলে লেখা মনোভাবের সদৃশ কিছুতেই হয় না দেখিতেছেন। চিত্রকর ও দেখিতেছেন চরণকে কমলাকৃতি দিয়া তুিনি, না চরণ, না কমল, দুয়ের একটিকেও বুঝাইতে পাবিতেছেন ; এই জন্য তিনি কমলকে চরণের কাছাকাছি পাদপীঠরূপে দেখাইয়া নিজের মনোভাবের সদৃশ করিয়া মূৰ্ত্তির চরণকমল গড়িতেছেন। মনে যে স্বরটি বাজিতেছে তাহারই অনুরণন যখন বীণায় ঝঙ্কার ও মুর্ছনাদি দিয়া প্রকাশ করিতেছি, তখনই বাহিরের বাদনকে অন্তরের বেদনের সদৃশ করিয়া দেখাইতেছি। চিত্রেও তেমনি শতসহস্র রেখা, স্বক্ষাতিস্বল্প বর্ণভেদাদি যখন মানসমুল্লির সদৃশ করিয়া অন্ধন করিতেছি তখনই থার্থ সাদৃপ্ত দিতেছি। কাজেই বলিতে হইতেছে যে, ভবের অনুরণনুL . যাহা দেয় তাহ উত্তম সাদৃগু ; আর কেবল আকৃতি বা রূপের অনুকরণ যাহা দেয় তাহ অধম সাদৃশু। অমুকুতি বা অধম সাদৃগু কীট পতঙ্গাদি নানা ইতর শ্রেণীর জীবকে অবলম্বন করিতে দেখা যায়-আকৃতি গোপন করিবার
পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/২৭৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।