و با اج বা স্পর্শ তোমায় প্রয়োগ করিতে হইবে । কপালের অস্থি মুদৃঢ়, সেখানে তোমায় তুলিতে দৃঢ়তা দিয়া, গাল সুকোমল, সেখানে তুলিকে গড়াইয়া দিয়া—কোমলতা দিয়া, নাতিদৃঢ় চিবুকের কাছে কোমলে,কঠোরে মিলাইঃ রেখাটি টানিতে হইবে । একই রেখাকে কঠোর কোমল এবং নাতি কোমল, একটি টানকেই স্থির ও বিগলিত এবং স্থিরবিগলিত করিয়া দেখানে, আর বর্ণসম্বন্ধে দৃষ্টির তীক্ষতা এবং বর্ণবর্তিকী প্রয়োগসম্বন্ধে হস্ত লাঘবতাই হচ্ছে বর্ণিকা ভঙ্গের সমস্ত শিক্ষাটুকু। তুলিটি ঠিক কতটুকু ভিজাইব, তাহার আগায় ঠিক কতটা রং তুলিয়া লইব ও বাড়িয়া ফেলিব এবং সেই রং-সমেত ভিৰু তুলিটি ঠিক কতটুকু চাপিয়া অথবা কতখানি ন চাপিয়া কাগজের উপর বুলাইয়া দিব ; —ইহারি সম্বন্ধে প্রমালাভ করা হচ্ছে ষড়ঙ্গের বর্ণিগভঙ্গনামে শেষ শিক্ষা বা চরম শিক্ষা। চিত্রে মনের রংকে ফলাইয়া তোলা, মনের অন্ধকারকে ঘনাইয়া আন, মনের আলো’কে জালাইয়া দেওয়া এবং মনের ষড়ঋতুর বিচিত্রচ্ছটাকে প্রকাশিত করাই হচ্ছে বর্ণিক৷ ভঙ্গে বর্ণ-জ্ঞান ৷ g বর্ণজ্ঞান শুধু অক্ষন্ধের অথবা রেখার বা বর্ণের রূপ জানা, নয়, 'শুধু একবর্ণের সহিত অন্ত বর্ণের সংমিশ্রণে,নানা উপবর্ণাদি স্বষ্টি করাও নহে ; কিন্তু বর্ণের তত্ব এবং রূপ -छूटब्रब्रहे छांनू । তন্ত্রশাস্ত্রে অক্ষর এবং রেখাসকলের এক একটি আত্মা এবং এক একটি বিশেষ বর্ণ দেওয়া হইয়াছে, যেমন—“আকারং . ভারতী • ‘ আধাঢ়, ১৩১১ পৰমাশ্চর্ণ্যং শঙ্কজ্যোতিৰ্ম্ময়ং ...ব্রহ্মাবিষ্ণুময়, বর্ণং তথা রুদ্র স্বয়ং ” ব্রহ্মবিষ্ণুরাত্মক এবং শঙ্কজোতিৰ্ম্ময় পরমাশ্চৰ্য্য যে ‘আ’ অক্ষর তিনি স্বয়ং রুদ্র । গায়ত্ৰীতন্ত্রেও গায়ত্রীর এক একটি অক্ষরকে এইরূপ আত্মাবান বলা হইয়াছে যেমন— ' “গায়ত্র প্রথমং বর্ণং পীতচম্পকসন্নিভং । অগ্নিনা পূজিতং বৰ্ণং আগ্নেয়ং পরিকীৰ্ত্তিতম্” গায় ত্রীব প্রথম বর্ণ চম্পকের দ্যায় পীত, তিনি অগ্নির দ্বাবtয় অর্চিত মুতরাং আগ্নেয় । ,, কালি দিয়া রেখাটি টানিতেছি কিন্তু মণে চিন্তা করিতেছি এই তুলির অক্ষর কেহ তা’, কেহ কপিল, কেহ ইন্দ্ৰনীলাভ। শুধু ইহাই নয় ;–কোন অক্ষব অগ্নির স্তায় দুৰ্দ্ধৰ্ষ কেহ নীল আকাণেব দ্যায় স্নিগ্ধ ইত্যাদি । নাট্যশাস্ত্রে বলা হইয়াছে—“বর্ণনাং তু বিধিং জ্ঞাত্ব তথা প্রকৃতিমেবচ কুৰ্য্যাদঙ্গস্ত রচনাং ।”—বর্ণেব, বিধি এবং প্রকৃতি অর্থাং কোন বর্ণ আকৃতিকে গোপন করে, কে তাহ ফুটাইয়া তোলে ইহার বিধি ; কোন বর্ণ আনন্দিত করে, কে বিষাদিত করে, কে বা বৈরাগ্য বুঝায়, কে বা অনুরাগ জানায় ইত্যাদি বর্ণের প্রকৃতি বুঝির তবে অঙ্গ রচনা করিও। কথায় বুলে—“কালি কলম মন, লেখে তিন জন।” মন কোথায় গোপনে বসিয়া কালোর উপরে আলে,আলোর উপরে কাণে টানিতেছে আর অমনি হাতসমেত তুলি দেই আলোর কম্পনে দুলিয়া উঠিতেছে, কালোর বর্ণে রাঙিয়া উঠিতেছে! চোখের বর্ণজ্ঞান হইতেছে না ;–হইতেছে মনের । হাতের बर्मिकांउत्र म९ण इहटङरह न ;-श्प्यर्थ মনের। বর্ণজ্ঞানসম্বন্ধে চোখকে বিধা
পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/২৭৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।