৩৮শ বর্ষ, তৃতীয় সংখ্যা •য়ে বেদে উদ্ভিদ রাজ্যের বর্ণনা ফুৰ্ত্তি পাইতে পারে নাই তাহাই অধিক সম্ভবপর বলিয়া ¢तां५ श्ध्न । বেদে সোমরস যজ্ঞের প্রধান উপকরণ । এই সোমরস সোমলতা হইতে নিষ্কাশিত হইত। সোমলতা ওষধি বিশেষ i বেদে আমব। ওষধির বহুল উল্লেখই দেখিতে পাই। ওষধি ইষ্টতে যেমন রস নিঃসারিত হইত তেমনই শূন্তও উৎপাদিত হইত। এই প্রকাবে ওষধি জাতীয় উদ্ভিদের অধিক উপযোগিতাই ইহার বহুল উল্লেখের কারণ হইয়াছে বলিয়া বোধ হয়।. আমরা নিম্নে একটা স্ব প্রচলিত বৈদিক মন্ত্র উদ্ধৃত করিতেছি : "মধুবাত। ঋতীয়তে মধুক্ষরস্তু সিন্ধবঃ I' মাকীর্ণ সম্বৌষধী মধু নক্তমুতেধসোঃ মধুবৎ 霸 পার্থিবং বজ: | মধুদ্যৌরস্তুনঃ পিত। মধুমান্নে৷ বনস্পতি মধুমানন্তু স্বৰ্য্যো মাপী গবে ভবস্তুনঃ ॥ ও মধু ও মধু ও মধু * “বায়ু নিয়ত মধুর ভাবে বহিতে থাকুক, নদী সকল মধু ক্ষরণ করুক ; ঔষধি সকল মধুময় হউক ; রাত্রি ও উমা মধুর হউক : পৃথিবীর ধূলি মধুর হউক, আমাদের পিতৃরূপ আকাশ মধুর হউক ; আমাদের বনস্পতি মধুযুক্ত হউক স্বৰ্য্য মধুবিশিষ্ট হউক ; আমাদের গাভী সকল মধুমতী হউক।" এখানে আমরা যেমন ওষধির উল্লেখ পাইতেছি তেমনই বনস্পতিরও উল্লেখ পাইতেছি। বর্তমান ভৌগোলিক গ্রন্থে মুমেরু সন্নিহিত এদেশের ( Arctic zone ) উদ্ভিদাদি সম্বন্ধে এইরূপ বিবরণ পাওয়া ষায় – "Dwarf shrubs lichens etc.” (5) অর্থাৎ ক্ষুদ্র গুল্মও অপুষ্পক উদ্ভিদ ইত্যাদি । প্রথম উদ্ভিদ পরিচয়ের ইতিহাস
- ●
ওষধি গুন্মেরই অন্তর্গত এবং অপুষ্প বৃক্ষেরই নাম "বনস্পতি । সুতরাং বেদের বর্ণিত উদ্ভিদাদি যে সুমেরুর সন্নিহিত শীতপ্রধান, উত্তর কুরুরই উদ্ভিদ, তাহার প্রমাণ আমরা বর্তমান ভৌগোলিক বিবরণ হইতেই প্রাপ্ত হইতেছি । 够 বেদে একদিকে আর্য্যদিগকে যেমন সোমবস দেবতাদিগের নিকট আহুতি প্রদান করিতে দেখা যায় তেমনই অপরদিকে যবচুর্ণ নিৰ্ম্মিত পুরোভাস, অপুপ প্রভৃতি বিবিধ খাদ্যদ্রব্য উপহার দিতেও দেখা যায়। যব ওষধি জাতীয় উদ্ভিদই বটে। এই যবের যে রীতিমত চাষ আৰ্য্যগণ করিতেন, তাহার স্পষ্ট উল্লেখই বেদে রহিয়াছে যথা :– “যবংবৃকেন কর্ষণঃ" ঋগ্বেদ প২২ “তোমরা লঙ্গিল দ্বার। যব কর্ষণ করিয়tছ ।” ভাজাযব ‘ধান' নামে অভিহিত হয় যথা "ভূষ্টযব। পুনধর্ণন ধানাচুর্ণস্তু সক্তব” ইতি হেমচন্দ্র। ভাজা যব ধান এবং ধান বা ভাজা যবচুর্ণ ছাতু।” এই ধানের বহুলব্ধপে উল্লেখই বেদে পাওয়া যায়। এই ধানই আমাদের প্রচলিত ধান্ত নামের, মূল। অভিধানে যবের এক নাম “দিব্য পাওয়া যায়। দিব্য শব্দের অর্থ দিবি বা স্বর্গে জাত। , আৰ্য্যগণ উত্তর কুরু ছাড়িয়া আসিলে উহা যখন আদিস্থান বলিয়৷ স্বৰ্গস্থানরূপে বিবেচিত হইত তখনই উহার সহিত সম্পর্কের স্মৃতি রক্ষার্থ যব “দিবা” নাম প্রাপ্ত হইয়া থাকিবে। যব ধান্ত শস্তের আদি বলিয়াই ‘ধান্তরাজ’ নামেও আখ্যাত হইয় থাকে। ইহার শীতশূক’ নাম হইতেও (1) Longman's The World with fuller treatment of India. p 51. 事