৩৮শ বর্ষ, তৃতীয় সংখ্যা “ত জানো কিশোর, খুড়িমার মন থেকে সমস্ত গ্ননি মুছে দেবার জন্তে আমি তাকে কত ভক্তি করি, যত্ন করি । মালতীও যাতে পরের গলগ্রহ বলে না মনে করে তা আমি করব। মালতীর কাছে তুমি কখন যাবে ? নবকিশোর বলিল—বিকেল বেলা যাওয়া যাবে এখন । —খুড়িমা মালতীকে কিছু লেখেন নি, হঠাৎ তুমি তাকে আনতে গেলে সে অবিশ্বাস করতে পারে। চিঠি ছখানাই সঙ্গে নিয়ে যেয়ে, যদি দরকার বোঝে পড়তে দিয়ে৷., দুখান চিঠি পড়লে আর কিছু সন্দেহ থাকবে 게 | —তাই হবে। এখন নেয়ে খেয়ে নেবে জ্যোতিরিন্দ্রনাথের জীবনস্থতি Wo) to 6t চল । সকাল বেলাটা ত তর্কে কাটল । দুপুর বেলাটা পড়তে হবে তোমায়। মালতীর .বাড়ী থেকে ফিরতে ত আমাদের রাত হবে। বিপিন ব্যস্ত হইয়া বলিল—ন না, আমি সেখানে যেতে পারব না, তুমিই একলা যেয়ে । অচেনা মেয়ে-লোকের সামনে......' নবকিশোর হা হা করিয়া উচ্চ হাস্ত করিয়া বলিল—চিরকালই কি তুমি এমনি মুখচোরা থাকবে ? যে অচেন মেয়েটি তোমার বেী হয়ে আসবে তার কাছেও মুখ দেখতে লজ্জা করবে নাকি ? 酸 বিপিন লজ্জিত হইয়া বলিল—ন না, আমি যেতে পারব না, তুমি একলাই যেয়ে । ( ক্রমশ ) চারু বন্দ্যোপাধ্যায় । জ্যোতিরিন্দ্রনাথের জীবনস্মৃতি । (○) জোড়াসাকোর বাড়ীতে ছেলেদের জন্ত একটি ধৰ্ম্মপাঠশালা খোলা হইয়াছিল । শ্ৰীযুক্ত অযোধ্যানাথ পাকৃড়াশী ব্রাহ্মধৰ্ম্মগ্রন্থ পড়াইতেন । উপনিষদের শ্লোক গুলি হ্রস্বদীর্ঘ রক্ষা করিয়া বিশুদ্ধ উচ্চারণ সহকারে সমস্বরে - পাঠ করান হইত। যেখানে এক সময় গুরুমহাশয়ের পাঠশালা বসিত, দুর্গাপূজা ইত, সেই পূজার দালানই পরে বেদমন্ত্র পাঠে মুখরিত হইয়া উঠিল। এই পাঠশালায় *ঠক গুলি বাহিরের ছেলেও পড়িতে আসিত। তন্মধ্যে ত্রযুক্ত অক্ষয়চন্দ্র চৌধুরী একজন ।
- ন হইতেই অক্ষয়চন্দ্রের সঙ্গে জ্যোতিবাবুর
У о বন্ধুত্বের স্বত্রপাত হয়। বয়োবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে উহা গাঢ়তর হইয় উঠে, এবং তাহার মৃত্যু পৰ্য্যন্ত এ বন্ধুত্ব অক্ষয় ও অক্ষুণ্ণ ছিল। ছেলে বেলায় অক্ষয়চন্দ্রকে জ্যোতিবাবুদের ziệą nortziệ “Éoet” “Poet" fin ডাকিত। তখন তিনি• ছোট ছোট কবিতা লিখিতেন এবং জ্যোক্তিবাবুকে শুনাইতেন। একটু ফাক পাইলেই তিনি জ্যোতিরিক্স .নাথকে দেখিতে আসিতেন। তাহার সঙ্গে দেখা হইলে জ্যোতিবাবুও খুব খুশী হইতেন। শীতকালে এক একদিন নাত্রি ৩/৪ টার সময় আসিয়া জ্যোতিবাবুকে শয্যা হইতে