পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/৩০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

©ob’ র্তার স্ত্রী তাহার উপর খড়গ-হস্ত হইতেন কিন্তু আমাদের বাড়ী হইতে কেহ গেলে, তিনি স্ত্রীর কথা শুনিতেন না ; বলিতেন ‘Governor তার হস্তে বাড়ীর স্বাস্থ্যরক্ষার ভার দিয়া শিমলা-পাহাড়ে চলিয়া গিয়াছেন। এ বিষয়ে তিনি কিছুতেই কর্তব্য অবহেলা করিতে পরিবেন না । বেলি সাহেব শিশু রবীন্দ্রকে বড় ভাল বাসিতেন, দেখা হইলেই তিনি Aft F “Robin, Robin” Ffggi sifqq করিতেন।” তৎকালীন কলিকাতা সহরের এবং পানীয় জলের দুরবস্থা সম্বন্ধে জ্যোতিবাবুর স্মরণ আছে যে “তখন কলিকাতায় খোলা নর্দমা ছিল। চারিদিকেই দুৰ্গন্ধ । তখন গঙ্গায় সহরের ময়লা ফেলা হইত—গঙ্গার জলে সৰ্ব্বদাই ময়লা ভাসিত। কিন্তু গঙ্গ স্বানের সময় সেই . সব ময়লা ও তজ্জনিত দুৰ্গন্ধসত্ত্বেও আমাদের চির সংস্কারবশত কিছুই মনে হইত না । অভ্যাস ও সংস্কারের এমনি মাহাত্ম্য ! সন্ধ্যার আরম্ভেই মশকের বাক চক্রাকার মাথার উপর ঘুরিতে ঘুরিতে র্বে বে। শব্দে সঙ্গীত আরম্ভ করিয়া দিত। সে মধুর সঙ্গীত এখন আর শোনা যায় না। তখন বেচারারা নিশ্চিন্ত ছিল—তাহদের উপর লক্ষ্য করিয়া তখনও কামা পাত হয় নাই । “তখন কলের জন্ম ছিল না। লালদীঘি হইতে পানীয় জল আসিত। মাঘ মাসে গঙ্গা হইতে জল আনাইয়া বড় বুড় জাল ভরিয়া রাখা হইত। তাহাতেই সম্বৎসর কার্য চলিয়া যাইত। তখন আমাদের বাড়ীর পুকুরের সঙ্গে গঙ্গার যোগ ছিল। আমার দাদামহাশয় স্বৰ্গীয় দ্বারিকানাথ ঠাকুর ভারতী আষাঢ়, ১৩২১ গবর্ণমেণ্ট বা মিউনিসিপ্যালিটির হস্তে এক থোকে কিছু টাকা দিয়া গঙ্গা হইতে আমাদের পুকুর পর্য্যন্ত একট পাকা লহর কাটাইয়া লইয়াছিলেন। পুকুরের জল শুকাইলেই সেই লহর দিয়া গঙ্গার জল আনা হইত। ঝরণার মত ঝরঝর করিয়া সেই ফেনিল শুভ্র জল যখন পুকুরে আসিয়া পড়িত তখন আমাদের বড়ই আনন্দ হইত। এখনকার মুনিসিপ্যালিটি কিছু ক্ষতিপূরণের টাকা ধরিয়া দিয়া এই লহর এখন উঠাইয়া দিয়াছেন।” . এই সময়ে জোড়াসাকোর বাড়ীতে একজন মালিনী ছিল সে প্রতিদিন ফুল যোগুইত। অন্তঃপুরের জন্ত ফুলের মালা এবং বাবুদের গুড় গুড়ির মুখনলের জন্ত ফুলের ভূষণ সে নিত্যই প্রস্তুত করিয়া দিয়া যাইত। “হু কা বর্দার” বলিয়া তামাক সাজিবার জন্য একজন বিশেষজ্ঞ ভূত্য নিযুক্ত থাকিত, জ্যোতিবাবু বলেন “বাস্তবিক তাহার-সাজা তামাকের ধূমোখিত সুগন্ধে ঘর আমোদিত হইয়া উঠিত ।” একজন “ভব্যিযুক্ত” তিলক-কাট বৈষ্ণবী ঠাকুরাণী আসিতেন, তিনি অন্রে মেয়েদেব লেখা পড়া শিখাইতেন। গিব্রেল নামে একজন ইহুদী ছিল, সে আতর গোলাপ প্রভৃতি গন্ধ দ্রব্য সরবরাহ করিত। সে এ বাড়ীর বড়ই অনুগত ছিল, সকল ক্রিয়াকৰ্ম্ম আমোদ উৎসবেই সে বাড়ীর লোকদের সঙ্গে যোগ দিত। তাহাকে দেখিলেই জ্যোতিবাবু অতির চাহিতেন, সে অমনি একটু তুলায় অতির লাগাইয়া ইহাকে দিত। বাচ্চা’ বলিয়া এক ‘ਬਕ কাবুলাওয়াল জ্যোতিবাবুদের বাড়ীতে বেদান পেস্ত প্রভৃতি ফল সরবরাহ কবিত সে ছেলেদিগকে তার ঝুলির ভিতর ভরিয়া গই।"