৩৮শ বর্ষ, তৃতীয় সংখ্যা নবাব צמיכא
- ইংরাজী ফ্যাশানে ছাটা বেশ কোকড় “মাইকেল মধুসূদন দন্তমহাশয় কিরূপ কোকড়, মাঝখানে সীথি । চোখ দু’টি সহৃদয় ব্যক্তি ছিলেন তাহার একটা ঘটনা
বড় বড়, চেঙ্গরাট দোষ্টার । তার গলার • বলিতেছি । বৈকুণ্ঠনাথ দত্ত নামে আমাদের আওয়াজ ছিল ভাঙP ভাঙা । আমার মনে পড়ে একদিন তিনি র্তার “মেঘনাদ বধ” কাব্যের পাণ্ডুলিপি র্তাব সেই ভাঙ্গাগলায় পড়িয়া সারদা বাবুকে শুনাইতেছিলেন । তখনও "মেঘনাদ বধ” কাব্য প্রকাশিত হয় নাই। র্তাব কবিতা পাঠের কায়দাই ছিল এক স্বতন্ত্র। প্রত্যেক কথাটা স্পষ্ট স্পষ্ট কবিয়া, থামিয়া থামিয়া এবং পৃথক পৃথক করিয়ু একটানে বলিয়া যাইতেন, যথা “সন্মুখ—সমরে—পড়ি—বীর—চুড়-মণি -दौब्र-२ांश्-5टि-श८द-८१ठl-यभপুরে—অকালে—কহছে—দেবী—” ইত্যাদি । যেমন কবি বা যেমন কাব্য তাহার কবিতার আবৃত্তি তেমন হইত না । সে আবৃত্তিতে কোন প্রকার ভাব প্রকাশের চেষ্ট থাকিত না। কিন্তু তিনি অতি সহৃদয়, আমুদে, এবং মজলিশি ব্যক্তি ছিলেন । গল্পগুজবও বেশ কবিতে পারিতেন । একজনু পরিচিত এবং অমুগত লোক ছিলেন। তিনি সৰ্ব্বদাই তাৰ টাকে হাত বুলাষ্টভেন এবং ব্যবসা সম্বন্ধীয় নানাবিধ মংলব অঁাটিতেন । কিন্তু কোন ব্যবসায়েই তিনি লাভবান হইতে পারেন নাই। যে কাযেই তিনি হস্তক্ষেপ করিয়াছেন তাতেই ক্ষতিগ্রস্ত হইয়াছেন। কিন্তু এ দিকে তিনি একজন কাব্যরসিক এবং রসজ্ঞ র্যক্তি ছিলেন । মাইকেলের নিকট হইতে “ব্রজাঙ্গন৷” কাব্যেব পাণ্ডুলিপি লইয়া পড়িয়া অবধি, কাব্যথানিব উপর তিনি অতিশয় অনুরক্ত হইয়৷ পুড়িলেন : “ব্রজাঙ্গনা” পড়িয়া তিনি মুগ্ধ হইয়া গিয়াছিলেন। মাইকেল তাই জানিতে পারিয়া –“ব্ৰজাঙ্গনা”র সমস্ত স্বৰ ( copy right ) সেই পাণ্ডুলিপি অবস্থাতেই বৈকুণ্ঠবাবুকে দান করেন। বৈকুণ্ঠবাবু নিজব্যয়ে কাব্যখানি প্রথম প্রকাশ করেন ।” শ্ৰীবসন্তকুমার চট্টোপাধ্যায়। • নবাব তৃতীয় পরিচ্ছেদ প্রীতি-ভোজ । দ্বার-রক্ষক কার্ডথনি টেবিলে রাখিয়া কহিল, "মস্ব বার্ণার্ড জাম্বুলে।” সজ্জিত কক্ষে আলাপ-রত নর-মারীর দণ নামটা শুনিয়া চকিত হুষ্টয়া উঠিল। ভক্তিবি জেঙ্কিন্স শশব্যস্তে উঠিয় দ্বারের সম্মুখে গিয়া দাড়াইলেন। পরে জাম্বুলের হাত ধরিয়া সম্মিত মুখে কক্ষে যখন তিনি পুনঃপ্রবেশ• করিলেন, তখন চারিধারে একটা কৌতুহলের ঢেউ ছুটয় গেল। জাস্থলে । এই সেই নবাব-টাকার যাহার অন্ত নাই ! পারি সহরটাকে স্বর্ণমুদ্রায় মুডিয়া ফেলিতে পারে, এত যাহার অর্থ! এমন লোকের