পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/৩২

৩ছুশ বর্ষ, প্রথম সংখ্যা বাহ দেখিতে পাইবে না। কেহ অনুসরণ* ত গৃহহরিণকে ফিরাইয়া দিল । কেহ শেষবার, বীণাকে আলিঙ্গন করিয়া ইল । 象 * > সঙ্গীগণ ও পরিচিত আত্মীয়গণের নিকট ইতেও সকলে বিদায় লইতেছিল। চন্দ্রসৈনে! একবার ভালকরে দেখে নাও।” বিন্দুমতি! এই শেষ প্রণাম ।” “চোট । ছেড়ে দাও।” “আর্য্যে কাতায়শিকে, দিছ কেন ? . দৈব আমায় নিয়ে যাচ্ছে।” কঙ্কুকি, আমি অলক্ষণা, আমায় প্রদক্ষিণ . প্রভুকেরবর্ধনের মৃত্যু * * * १¢ ছিলেন। চারিদিত্ত্বে শোকান্ত বন্ধুবান্ধবরোদন করিতেছিল। কঙ্কুকীগণ র্তাহার অনুসরণ করিতেছিল।. তিনিও সজলচক্ষে ” স্নেহভাজন অনুগত জনগণকু দেখিতে ‘ দেখিতে, পশুপত্নীগুলিকে পৰ্যন্ত শেষ সম্ভাষণe কৰুি৷ o বৃক্ষগুলিকে পৰ্য্যস্ত শেষ আলিঙ্গন দিয়া বিদায় লইতেছিলেন। • হর্ষবৰ্দ্ধন অশ্রুপূর্ণ নেত্রে মা তার চরণে নিপত্তিত হইলেন। বলিলেন “মা, অHমহস্তভাগ্য, তুমিও আমাকে ছেড়ে যুtছ ?” দূেী যশোবতী আত্মসংবুরণ করিতে না বছ কেন ?” “ধাত্ৰি ! ধৈৰ্য্য ধব । পাব্লিয় উচ্চকণ্ঠে বৌদন করিয়া উঠিলেন। jয়ে পড়ে না।” “ভগিনি! একবার কিছুক্ষণ পবে পুত্রকে তুলিয় তাহার নয়ন' লা জড়িয়ে ধব ।” “অঙ্গ, মলয়বতীকে মুছাইয় বহুবিধ আশ্বাস দিলেন। বুঝাইলেন, কবাব দেখতে পেলুম না।” “সাল্লুমতি! বিধবা হইয়া তিনি জীবন ধারণ করিতে ই শেষ প্ৰণাম৷” “কুক ধতি? এই পরিতেন না। তাই বিধা হইবার পূৰ্ব্বেই ৭ষ আলিঙ্গন।” “সখীগণ Lপ্রণয়বশতঃ প্রাণ পবিভাগে কৃতসংকল্প হইয়াছেনপ° . লহ করেছি, ক্ষমা করে।” চারিদিকে হর্ষবৰ্দ্ধন, অধোমুখে নীরবে বোদন করিতে “ ষ্টরূপ আলাপ শ্র ত হইতেছিল।" লাগিলেন । ** ge . রাজমহিষী যশোবতী তখন স্বামীৰ মৃত্যুর তখন দেবী যশোবতী পুত্রকে আলিঙ্গন ৰ্ব্বেই অনলে আত্ম লিসজ্জন করিতে কৃত- কবিশ্ব। তাহার ਸੋ, অস্ত্রণ লইলৈন ংকল্প হইয় রাজপুৰী হইতে বহির্গত এবং পদব্ৰজেই অন্তঃপুর হইতে নিৰ্গত ইতেছিলেন। তিনি নিজের সর্বস্ব বিতরণ হইয়া সরস্বতী নদীতীরে উপস্থিত হইলেন। বিয়া দিছিলেন। * সবে মাত্র,মানু করিয়ু" চারিদিকে প্রজাগণ হাহাকার করিতে • ঠিয়াছেন-পরিধানে রক্তবাস ও কাঙ্গল লাগিল। সেখানে দীপ্ত অগ্নিশিখায় পতিব্ৰত৷ ণ্ঠে রক্তস্বত্র ৪ হার । কর্ণে কুণ্ডল । আত্মবিসর্জন করিল। .* 彎 ধ্বাঙ্গে রক্তিম কুঙ্কুর্মরাগ। বলুয় স্খলিত হৰ্ষবৰ্দ্ধন তখন পিতার নিকট গিয়া দেখিইয়া পড়িতেছে। গলদেশ হইতে চরণ লেন তাছাবও শেষ মুহূৰ্ত্ত আসন্ন। কুয়ের র্যন্ত দীর্ঘ পুষ্পমাল ধারণ করিয়াছেন। তাবুক পরিবর্তিত হইতেছে। প্রভাকরবর্দ্ধন তি, মন্ত্রকে আলিঙ্গন করিয়া রাজছত্রের ক্ষীণকণ্ঠে দুই চারিটি উপদেশ দিতে মুখে অশ্রু বিসর্জন করিয়া, অশ্রুপূর্ণ নয়নে দিতে মরণের অঙ্কে , চিরনিদ্রিত হইয়া চিবগণকে উপদেশ দিতে দিতে আসিতে- পড়িলেন।