৩৮শ বর্ষ, চতুর্থ मृ११j 影 কিন্তু, লাইকা এইখানে অন্তবের মুক্তদ্বারের সন্মুখে সহসা নীরব হইল; এ প্রসন্নতা কি শুধু তাহার হৃদয়ের প্রবণতায় উচ্ছুরিত হইয়াছে অথবা—এ কি ?—তাহার অন্ধ চক্ষুতে যে সহসা এই বিপুল জ্যে ৎস্না উদিত হইয়াছে এ আলোকের কারণ নির্ণয়ে অশক্ত হইয়া সে নীরব হইল । সম্মুখে বিরাট অসীম আকাশ–কত বৃহৎ তারা কত তারকাপুঞ্জ-কত নীহারিক মণ্ডলী! কত দূরে —কোন অসীমে ইহার জলিতেছে ?-মাবার তাহার উপর ?-- কোথায় এ অসীমের সীমা ? —লাইক চক্ষু মুদিল,—সম্মুখে সীমাহীন হৃদয় কি এক অপুৰ্ব্ব আবেগে ফেনিল তরঙ্গায়িত সাগবের দ্যায় দিগন্তরেখায়—লা চিন্তার ক্ষেত্রে লীন – এ সৰ্ব্বত্রময়ী অসীমার মধ্যে কোথায় এ আলোক কেন্দ্ৰ ! ভাবিতে ভাবিতে বোধ হয় সে তন্দ্রাবিষ্ট হইয়াছিল—বেন স্বপ্ন দেখিতেছিল • ক্ষীরোদ সাগরের চুর্ণমুক্তামালায় সজ্জিত ধবল বক্ষে উচ্চ পৰ্ব্ব ত স্থাপিত, কৃষ্ণ পাষাণ গাত্রে দুগ্ধউৰ্ম্মি ভাঙ্গিয়া পড়িতেছে,— পৰ্ব্বতের কটিদেশে শ্বেতমালোব ন্তায় বৃহৎ সৰ্প-পুরাণকথিত ভূধারণশক্তিশালী বামুকী। তাহাকে ধরিয়া দুই পাশে দেবামুরের শক্তির ও শান্তির অদম্য চেষ্টা যে সেই অসীম পারাপার মন্থন করিয়া জগতের শ্ৰী ও আলোকের মূর্ত প্রতিমাদ্বয়কে উদ্ধত করিবে ! আরও লইবে মৃতসঞ্জীবনী—চির মরণশীল জগতে মৃত সঞ্জীবনী মৃধা ? অদম্য চেষ্ট, মিলনমন্ত্রে আজ বল ও সমতা একত্র, উভয়ে প্রাণপণ বলে সেই বিশাল অতীত गिहेक ©ፃሕ ভূধরকে আন্দোলিত করিবার চেষ্টা করিতেছে বিপুল শক্তি নাগরাজও মরণ বলে সেই সাধন মন্ত্রকে জড়াইয়া আছে—কিন্তু সাধা 'আচল, পৰ্ব্বত অটল । 驗 হtয় শক্তি—হায় সাধনা ! কার বলে এ মহোদধি সঞ্চালন করিবে ? “পুরুষকার এক পুরুষকার এ অসাধ্য সাধন করিবে ? অসম্ভব ! ইহা যে অসম্ভব তাছা দেবাক্ষরও বুঝিল, এই নৈরাশ্বের বেগে আকুলতার দৈন্তে তাঙ্গর অদৃষ্ট দৈবনিম্নস্তাকে স্মরণ করিল—“হে নীলভূধরকান্তি, শতস্থৰ্য্য সমুজ্জল! —এস, তুমি হৃদয়ে শক্তি ও বহিরে মূৰ্ত্তিরূপে উদয় হও প্রভু !—” তখন সেই তন্দ্রাচ্ছন্ন * অবস্থাতেও লাইকা দেখিল,—অপূৰ্ব্ব শোভা । আকাশ ব্যাপিয়৷ এক স্নিগ্ধচ্ছায়া নামিয়া আসিতেছে, ধবল দুগ্ধ সাগর সেই বর্ণে অনুরঞ্জিত, মন্দারের উচ্চশিরে সেই নীলছায়া যেন ঘনীভূত,— দেখিতে দেখিতে গিরিচূড়ায় যেন নবপ্রভাতের পূৰ্ব্বরাগ দেখা দিল,—তাহার পর সেই উষারাগরঞ্জিত বর্ণচ্ছটা মধ্যে তরুণ অরুণ উদয় হইল-ছায়া নিম্নে আলোক,—তাহার মধ্যে ও কে ? কে ও সবিতৃমণ্ডল মধ্যবৰ্ত্তী —সরসিজাসনসন্নিবিষ্ট ?” কে • ও, অভয় বরদহস্ত—প্রতিহাস্ত কুশলী – দেখিতে দেখিতে তখন সেই বিপুল দেবামুর মিলনসমষ্টি ভক্তিনত হইল। সকলেই চিনিল ইনি সেই জীবমঙ্গল নিদান কল্যাণমূৰ্ত্তি, সকল গৰ্ব্বের অবসানে একমাত্র শিব-চৈতন্ত ? *আপনার শক্তিতে হতাশ হইয়া জীব যখন জগৎ ছাড়াইয়৷ অতীন্দ্ৰিয় জগতে দৃষ্টিপাত করে তখন হৃদয় মাত্রে যাহার অনুভব পায়—ইনিই
পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/৩৭৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।