৩৮শ বর্ধ; চতুর্থ সংখ্যা 總 আমাদের মধ্যেও স্ত্রী-শক্তির উন্মেষণ" আমরা কিছু কিছু লক্ষ্য করিতেছি সত্য ; কিন্তু যত দিন ইহা সৰ্ব্বতোভাবে বিকশিত হইয়া না উঠিবে ততদিনে জাতীয় উন্নতির অtশ * স্বপ্নের অপেক্ষাও অমূলক । কত দিনে কিভাবে • স্বেচ্ছাবিবাহ প্রথা প্রচলিত হইবে জানি না। হিন্দুগণ এই প্রথাকে আশ্রয় দান করিতে নিতান্ত বিমুখ, ইহাতে হিন্দুব হিন্দুত্ব . লয় পাইবে এমন আশঙ্কা অনেকেই করিবেন। কিন্তু এই প্রকার আশঙ্কা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। হিন্দুর হিন্দুত্বের সঙ্গে সামাজিক ছ'চারিট সংস্কারের বিশেষ কোনও সম্বন্ধ নাই। হিন্দুজাতি এবং হিন্দুস্থান জলবুদ্ধদের স্থায় ক্ষণস্থায়ী নহে। সহস্ৰ সহস্ৰ বংসর হইতে এই আর্য্যাবৰ্ত্ত . আর্য্যবৰ্ত্তই। হিমালয় পৰ্ব্বতের উপব দিয়া একটা পথ করিয়া চলিলে যেমন হিমালয় টুটয়া ফাটিয়া যায়, ন, দুই একট। সংস্কাবের পথ সমাজেব উপর দিয়া বহাইয়া দিলেও হিন্দুসমাজের বিন্দুমাত্রও অঙ্গহানি হইবে না। উন্নত আচার সংস্কাবে হিন্দুসমাজের উন্নতিই হইবে। প্রবন্ধ দীর্ঘ হইয়া পড়িল । স্বেচ্ছাবিবাহের উপকারিতা সম্বন্ধে বৈজ্ঞানিক ও শাস্ত্র-সন্মত ম গমত গ্রহণ করিয়া প্রকাশ করা সম্ভবপর হইল না । শাস্ত্রও মানুষের বুদ্ধির বাহিরের বিষয় নহে, চিরন্তনও নহে, সময়োপযোগী। নত মস্তকে নিৰ্ব্বিকারে তাহাকে মান্ত করিলে নিজেকে খৰ্ব্ব করা হয় । ভুল ভ্রমের ভিতর দিয়া চলিয়া শিক্ষা লাভ কব। —* স্বেচ্ছীবিবাহ Վ)Ն Գ প্রতিপদক্ষেপ লক্ষ্য করিয়া কেননা তাঁহাতে श्रृंtश भांनिम्नां চলার চেয়ে শতগুণে শ্ৰেয়ঃ। উন্নতির সম্ভাবনা রহিয়াছে। আজি আভিজাত্য ত্যাগ * করিয়া আমাদের অভিভাবকবৃন্দ ষদি অশ্বপতির ন্তায় বলেন, “বৎসে ও বৎস আপনার মনোমক পতি পত্নী বাছিয়া লও” তাহাতে ভারতের কল্যাণই হইবে। অবরোধ ইত্যাদি প্রথ! যে ভাবে শিথিল হইয়া আসিতেছে, দেশ ব্যাপিয়া দিন দিন যে ভাবে শিক্ষার বিস্তার হইতেছে, কন্যাগণেব ও অধিক বয়সে বিবাহ হইতেছে, কাজেই এই প্রকার বিবাহ পদ্ধতিও আমাদের, পক্ষে অপরিহার্য্য হইয় উঠতেছে ; আজ র্যাহার। ইহার বিরুদ্ধে দণ্ডায়মান হইবেন, তাহার। সমাজের কল্যাণপথ রুদ্ধ করিবেন সে বিষয়ে সন্দেহ নাই । অবশেষে বক্ত৭্য এষ্ট, কেহ যেন না মনে কবেন পি তামাতার নির্বাচনপদ্ধতি অামি একবারেই উঠাইয় দিতে বলিতেছি । আমাদের সমাজে যখন স্ত্রীপুরুষের মিলনক্ষেত্র অবারিত নহে তখন পিতামাতার পাত্রনিৰ্ব্বাচন কতক পরিমাণে অবশ্যম্ভাবী এবং অনভিজ্ঞ বরকস্তার পক্ষে বহু সময় অভিজ্ঞ পিতামাতা কর্তৃক পত্রিনিৰ্ব্বাচন সুফল প্রদ তাহাতেও সন্দেহ নাই। কিন্তু, পিতামাতা নিৰ্বাচন করিলেও বরকস্তার ইচ্ছার উপরই প্রধান ভাবে বিবাহ প্রথা প্রতিষ্ঠিত হওয়াই প্রার্থনীয়, এবং তাঁহাই সমাজের পক্ষে প্রকৃত কল্যাণকর । 牵 শ্ৰীনরেন্দ্রনাথ রায়।
পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/৩৮৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।