পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/৪০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৮শ বর্ষ, চতুর্থ সংখ্যা 纖 বিবরে একটি নুতন ভাণ্ডার-গৃহ গিয়াছে। তাহার এইরূপ কাৰ্য্যে ব্যাপৃত ইতিমধ্যে এক ভয়ানক দুর্ঘটনা ঘটিয়া গেল । একটা দুরন্ত ভেড়া রাখালের তাড়া থাইল্প দোঁড়িতে দৌড়িতে ঠিক ফরমিকদের বিবরের উপর দিয়াই চলিয়া গেল। কয়েকটি শিশুগৃহ উহার পায়ের চাপে একেবারে চূৰ্ণ হইয়া গেল। শত শত শিশু, ডিম্ব ইত্যাদি আহত হইয়া ধুলায় গড়াগড়ি যাইতে লাগিল। বিপদ এক আসে না । সেই সময় আবার কোথা হইতে একটা পার্থী আসিয়া পিপীলিকা-শিশু ও ডিম্বগুলির উপর বেশ ‘ফলার জমাইয়া তুলিল । মাত্র দুই এক শত পিপীলিকা " সে গৃহে তখন পিপীলিকাশিশুদের তত্ত্বাববধান করিতেছিল। তাহার এই আকস্মিক বিপদে ধৈর্য্য হারাইল না বা চীৎকার কবিয়া সমস্ত বিবরের শান্তিভঙ্গ করিল না—তাহারা একএকটি শিশুকে পৃষ্ঠে লইয়া অতি সত্বর আশ্রয় সন্ধানে ছুটিয়া চলিল। অনেকে তখনই পার্থীর উদরে স্থান লাভ করিল— কিন্তু ইহ দেখিয়া অন্যান্ত পিপীলিকার কাৰ্যবিরত হইল না। যে কয়েকটি পিপীলিকা নিরাপদ স্থানে পৌছিল তাহার তৎক্ষণাৎ বিপদের বাৰ্ত্ত সকলকে জানাইয়া পুনরায় দুর্ঘটনার স্থলে ফিরিয়া আসিল । দুৰ্দেব 8 o S এতক্ষণ সারাগুহে মস্ত একটা সাড় পড়িয়া গিয়াছে । লক্ষ লক্ষ পিপীলিকা 豪 উত্তেজিত ভাবে সেস্থানে দৌড়িয় আসিল । এবং শিশুদের রক্ষার চেষ্টায় লাগিয়া গেল। ততক্ষণ একটা পাখীর স্থানে অনেকগুলি পাখী আসিয়া জুটিয়াছিল। তাই লক্ষ লক্ষ শিশু ও ডিম্বের ভিতর মাত্র কয়েক শত রক্ষা পাইল, সহস্ৰ সহস্র পিপীলিকা এই কয়ট শিশুর রক্ষা কল্পে জীবন বলিদান করিল ! কিন্তু দুঃখ করিবার, শোক করিবার কাহারও অবসর নাই । তাহার কার্য্য করিতে আসিয়াছে—কাৰ্য্য করিয়াই মরিবে অন্য কোনও চিন্তা তাহীদের নাই—একমাত্র চিন্তা–কাৰ্য্য ও শ্রম। সন্ধ্য হইয়া আসিতেছিল । লার্ভ এবং পিউপ-গুলিকে উপরের শীতল প্রকোষ্ঠ হইতে অপেক্ষাকৃত উষ্ণ প্রকোষ্ঠে স্থানান্তরিত করিতে হইবে । সকলে সেই কার্য্যেই মনোনিবেশ করিল। এতক্ষণ স*্যার অন্ধকার—চারিদিকে কালেtপদ টানিয়া দিয়াছে। সারাদিনের পরিশ্রমেব পর এইবার পিঞ্জীলিকাদের বিশ্রামেব সময় হইয়াছে। কাষ্ঠখণ্ড ও বৃক্ষপত্রের সাহায্যে বিবরের সমস্ত দরজা জানালাগুলি বন্ধ করিয়ী দিয়া ফরমিকা" ও • তাহার সহচরীরা বিশ্রামের জোগাড় করিতে, চলিল।” শ্ৰীমুধাংশুকুমার চৌধুরী। দুৰ্দৈব আরো আলো, আরো প্রেম, এই অনিবার একান্ত কামনা শুধু প্রাণের আমার, তবু দেখা দেয় মেঘ ঘেরিয়া আকাশ, লুপ্ত করি চন্দ্রতারা, তপন-প্রকাশ ! * তবু নামে বৃষ্টিধারা দুরন্ত দুৰ্ব্বার রুদ্ধ শ্বাসে মগ্ন করি পুষ্প মুকুমার। ঐপ্রিয়ম্বদা দেবী ।