z 88 o পদে পদে প্রতিরোধ সে কিছুতেই বরদাস্ত করিতে পারিতেছিল না। এইরূপে দুই দিক হইতেই বিরোধের ঝড় রাসায়নিক গবেষণার ফল * রাসায়নিক গবেষণা বর্তমান যুগে জাতীয় উন্নতির কতদূর সাহায্য করিতেছে তাহা এতাদৃশ ক্ষুদ্র প্রবন্ধে যথাযথ ভাবে আলোচিত হষ্টতে পারে না । রসায়নের সাহায্যে অতি অকিঞ্চিৎকর জিনিস কিরূপ অবশু ব্যবহার্য্য পদার্থে পরিণত হইয়াছে, হইতেছে ও হইবে বলিয়া আশা করা যায়, এবং এই ব্যবহারিক রসায়নের উন্নতির কোন স্তরে আমাদের ভারতবাসীর অথবা বঙ্গবাসীর স্বান,— তাহারই কথঞ্চিৎ আভাস এস্থলে প্রদত্ত হইতেছে। আলকাতরা আধুনিক রসায়ন সম্বন্ধে কিছু বলিতে হইলে পাশ্চাত্য দেশের কথাই প্রথমতঃ বলিতে হয় ; আনুসঙ্গিক ভাবে ভারতবর্ষের বিশেষতঃ বঙ্গদেশের কথাও উল্লেখ করিব। অতি প্রাচীনকাল হইতে ভারতবর্ষ হইতে পারস্ত, গ্রীস্ ইটালি প্রভৃতি দেশে নানাবিধ রং রপ্তানি হুইত, নীলের বিষয় আপনার সকলেই জানেন। আমাদের দেশের প্রায় সকল প্রকার রংই উদ্ভিদজাত—গাছগাছর হইতে গ্রস্তুত। কিন্তু রসারনের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে ঐ সকল উদ্ভিদজাত রঙের (vegetable ভারতী তাস্ত্র, ১৩২১ উদ্যত হইয় একদিন ভীষণ সংঘাতে প্রলয় তুলিবার জন্ত প্রস্তুত হইতে লাগিল। ( ক্রমশ ) চার বন্দ্যোপাধ্যায় । dycs) মূল উপাদানীভূত গঠনরহস্ত (Constitution) *ifāssfs sièai "ifests) রসায়নজ্ঞ পণ্ডিতগণ সেই সকল জিনিস উৎকৃষ্ট প্রণালীতে এবং স্বল্পব্যয়ে প্রস্তুত করিতে সমর্থ হইয়াছেন। আরও আশ্চর্য্যের বিষয়, বিশেষ বিশেষ প্রক্রিয়া দ্বারা (spceial teactions) শত শত নুতন রং আবিষ্কার করিতেছেন । কিন্তু আপনারা জানেন এই সকল রং মাত্র একটি দেখিতে যিশ্ৰী, দুৰ্গন্ধযুক্ত জিনিস আলকাতর হইতে আবিষ্কৃত হইয়াছে ও হইতেছে। লাল, নীল, সবুজ, গোলাপী, হলদে ইত্যাদি যে কোন রং আমাদের কাপড়ের পাড়ে ও মনোহারী ছিটু প্রভৃতিতে দেখিতে পাই সবই আলকাতরা হইতে প্রাপ্ত জিনিস হইতে রসায়ন গবেষণার ফলে রসায়নজ্ঞের স্বষ্টি । ত্রিশ বৎসর পূৰ্ব্বে সকল দেশের লোকই আলকাতরাকে ; ঘৃণার চক্ষে দেখিত ; ক্যানিস্টারের টিন রং করা ভিন্ন তাহী এ দেশে বিশেষ কোন কাৰ্য্যে আসিত না, কিন্তু ফ্যারাডে, গ্রিস, হফমান, পার্কিন প্রমুখ রসায়নজ্ঞগণের . পৌরোহিত্যে ইহার প্রায়শ্চিত্ত সাধিত হইয়াছে। এখন ইহাকে পতিত কে বলে ?
- পাবনা উত্তর বঙ্গসাহিত্য সম্মিলনের সপ্তম অধিবেশনে গঠিত ৷ *