পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

δy t খুড়িম বঁ হাতে করিয়া চিঠিখানি লইয় চকিতে একবার দেখিয়া লইলেন, এ কাহার স্থাতের লেখা'। এ লেখা তাহার পরিচিত নহে। তার "পর যেন নিরুপায়েব স্বরে বলিলেন –আমায়ু আবার কে চিঠি লিখলে ? কাকে দিয়েই বা পড়াই ? ...বাব পাচু, তুই ੋਣ পারবি ? খুড়িম অল্পশ্বল্প লেখাপড়। জানিতেন । তাহাঁর স্বামী একালের তন্ত্রেব লোক, তিনি ভারতী বৈশাখد و ৩২১ দেখেন কে, তাহাকে অকস্মাৎ চিঠি লিখিল, তথাপি তিনি সে কৌতুহল দমন করিয়া নিত্ত্বান্ত নিকপায় ভাবে সেখানে উপস্থিত পুরুষদিগের মধ্যে বর্ষীয়ান ও জ্ঞানে গরীয়ান্‌ পাচুব শরণাপন্ন হইলেন । দশ বছরের ছেলে পাচু। মরুঞ্চে পোয়াতির ছেলে সে । পাচুঠাকুরের দুয়ার ধরিয়া, হাতে কোলে লইয়া পূজা দিবাব মানত করিয়া, কত কবচ মাদুলি পরাইয়া স্ত্রীকে লৈখাপড়া শিথাইতেছিলেন । কিন্তু তুকতাক কবীতে শক্রমুখে ছাই দিয়া ষেটেব স্বামীর হঠাৎ মৃত্যু হওয়াতে সে পথ কোলে পচু এই দশ বছবে পা দিয়াছে। একেবারেই বন্ধ হইয়া গিয়াছে। খুড়িমা তাহাব মাথাটি প্রকাও, শীবটি রুশ, পেটটি জমিদার হবিবিহারী বাবুব সম্পর্কে ভ্রাতৃবধু ; বাতাসভব। ফুটুণেব মতো, গলায় একগাছি তাহাকে অপুত্ৰক অসহায় দেখিল দয়াপরবশ মংলা ঘুমসিতে অনেকগুলি মাদুলি--কোনোহইয়া হরিবিহারী তাহাব অভিভাবক হন । ‘টাব মৃদঙ্গের , মতন আকব, কোনটাব কিছুদিন পরেই তাহার সমস্ত জমিদাবী, এমন" টেলের মন, কোনােটা ફરિરીકે મરત્ર র্কি স্বামী-শ্বশুরের ভিটাটুকু পৰ্য্যস্ত, যখন না শিবাতোলা, কোনোট বা চৌপলা যশমের জানি কেমন করিয়া হবিবিহীর নিকট মতন ; তাঙ্গব কোনোট তামার, কোনোট বিক্রয় হইয়া গেল, তখন খুড়িমাকে বাধ্য इहेश' ‘লোহার, কোনোটা রূপাব, কোনোটা সোনার, হরিবিহারী বাবুর সংসারেই আশ্রয় লষ্টতে কোনোট। অষ্টধাতুর এজমালি ; মাদুলিব । হইয়াছে। ಕ್ಷಿ জমিদার-বাড়ীতে আসিয়া সঙ্গে একটা সোনায় বাধানে আমড়ার যখন তিনি দেখিলেন এখানে স্ত্রীলোকেবু তাঠি, ও একটা ঘসা ফুটাে পয়সা ; মাদুলিলেখাপড়, জানাটা, ভয়ানক নিনগর কথা ; গুলিব অষ্ট্রেপৃষ্ঠে পোকাধব ক্ষয়া' এখানকার মেয়েপুরুষের ধাৰণা যে মেীয়মানুষ, দাতব অত্যাচাব-চিহ্ন অঙ্কিত। পাচুর লেখাপড় শিখিলে,বিধবা, এমন কি অসতী হয় ; গৃহলক্ষ্মীদের বাণীদেবী দেখিলে লক্ষ্মী চঞ্চল হন ; তখন হইতে খুড়িমা তাহার স্বল্প বিষ্ঠাও ভুলিতে চেষ্ট্র করিতেছিলেন এবং সযত্বে সকলের কাছে নিজের অক্ষরজ্ঞান পর্যন্ত গোপন রাথিতেন । এই চিঠিখানি পাইয়া যদিও তাহার কৌতুহল হইতে ছিল ফস করিয়া খামখানা ছিড়িম্বা ফেলিয়৷

  • মাথায় মানতের বড় বড় চুল, স্থানে স্থানে

ছড়া ছড়া জট বাধিয়া তেঁতুলগাছে তেঁতুলের । মতো নড়নড় কবিয়া ঝুলিতেছে ; অবশিষ্ট চুল টিপি করিয়া খোপা বাধা । তাহাব ডছিন হাতে স্থতার তাগা, পায়ে লোহার বেড়ি, ডাহিন নাকে সোনার মাফড়ি। এমনি করিয়. অষ্ট্রেপৃষ্ঠে রণারশি কৰিয়া, সৰ্ব্বাঙ্গে নোঙর বাধিয়া কোনো মতে বেচা