পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/৪৫৮

86tbr f g ভারতী 繼 মধ্যেও, এই একতার ভাবটি অন্তৰ্হিত হয় নাই । . রাজকৰ্ম্মচারীগণ যখন রাজা হুইল তখনও তাহারা তাহদের পূর্ব-উপাধি “নিজাম” ७ “नवांद" दछांब्र' ब्राषिण। बब्रार्टांब्र नूठन সাম্রাজ্যগঠনের চেষ্টা করে নাই, পরস্তু তাহারা মোগণ-সম্রাটের নামেই শাসনকাৰ্য্য নিৰ্ব্বাহ করিত। এবং কি হিন্দু, কি মুসলমান— সকল রাষ্ট্রেরই শাসনপদ্ধতির মূলনীতি একই প্রকার ছিল ;–সেই সমস্ত শাসননীতি গোড়ায় চীন, পারস্ত ও কালিফ-রাজ্য হইতে গৃহীত হয়। ভারতের রাষ্ট্রীয় একতার ভাবটি সকল রাষ্ট্রের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত থাকিলেও,—বিভিন্ন জাতির আবির্ভাবে, বিভিন্ন ভাষার সংগঠনে ভারতের নৈতিক একতা উচ্ছিন্ন হুইল । প্রাচীন ভারতে, সকল লেখকই সংস্কৃত ভাষা ব্যবহার করিতেন, এবং সকলেরই মানসিক ভাবভঙ্গ একই ধাচার ছিল ; এই বিষয়ে এতটা সমতা ছিল যে, লিখনভঙ্গী ও ভাব দেখিয়া সেই গ্রন্থকারের দেশনির্ণয় করা কঠিন হইত। কিন্তু তাহার পর, প্রত্যেক প্রাদেশিক ভাষায় স্বতন্ত্র মৌলিক সাহিত্য উৎপন্ন হইল ;-- সে মৌলিকুতা.গুধু প্রকারগত, নচুে, পরস্তু বস্তুগত। 鱷。 সামন্ততন্ত্র ও 'মোগলদিগের কেন্দ্রগত শাসনের প্রভাববশত সমাজও নুতন করিয়া গঠিত হইল। পূৰ্ব্বে কেবল বর্ণভেদমূলক উচ্চনীচতাই ছিল ; জাইগীরদার ও কৃষক-প্রজার মধ্যে স্বত্বঘটিত সেরূপ তীব্র পার্থক্য ছিল না । তাছাড়া ব্ৰাহ্মণের সমস্ত জাইনসম্মত অধিকার হইতে বঞ্চিত হইল। a হইতে লাগিল । কোন গ্রন্থেব, কfট, ১৩২১ কি মুসলমান, কি হিন্দু-একজন নিম্নতম সৈনিকের ক্ষমতা ব্রাহ্মণের ক্ষমতা অপেক্ষা भ्रशिक झहेटा । 鬱 尊 * এসিয়া হইতে, য়ুরোপ হইতে—ভারত যেমন নুতন ধরণের শিল্পকলা ও সাহিত্য শিক্ষা করিল, সেইরূপ নূতন নূতন বিজ্ঞানও শিক্ষা করিল। ভারতের বাণিজ্য ভারতকে সমস্ত পৃথিবীর সহিত সম্বন্ধস্বত্রে অt৭দ্ধ করিল ; ভারতের শ্রমশিল্প রূপান্তরিত হইল। মোগলআমলে বড় বড় পূৰ্ত্তকার্য্যের অনুষ্ঠান আরম্ভ হইল । এমন কি, দেশের বহির্ভাবটা পৰ্য্যন্ত একেবারে পরিবর্তিত হইল । বিভিন্ন প্রকারের চাষ আরম্ভ হইল, বড় বড় পথ দিয়া স্বাৰ্থবাহর চলিতে লাগিল, প্রাসাদসমন্বিত বৃহৎ নগরসমূহ সমুখিত হইল, ভিন্ন ধরণের গৃহসকল নিৰ্ম্মিত লোকের পরিচ্ছদেও মুসলমান প্রভাব পরিলক্ষিত হইল। রাজার, সৈনিকের, ধনশালী ব্যক্তির বেশী করিয়া বেশবিদ্যাস কুরিতে লাগিল;—মৰত ইহ সভ্যতার উন্নতি-নিদর্শন বলিতে হইবে। আমীর ওমরাওদিগের পত্নীর অন্তঃপুখমধ্যে বদ্ধ হইয়া থাকিত ; প্রায় বাহির হইত না, —নিতান্তপক্ষে অবগুষ্ঠিত হইয়া বাহির হইত। শেষ-চারি শতাব্দীর মধ্যে সভ্যতা যে দ্রুতপদে অগ্রসর হইয়াছিল তাহা দৃঢ়ভাবে বলা যাইতে পারে। পঞ্চদশ শতাব্দীতে অর্থাৎ মধ্যযুগে, সামন্ততন্ত্র ও বৈদেশিকদিগের বিজয়াভিযান। অশ্বারোহী সৈনিকদল, রাজায় রাজায় লড়াই ; অস্ত্রসজ্জার মধ্যে— বল্লম ও ধমুর্মিাণ ; সাহিত্য-নিতান্ত সাদাসিধা ও ওহধর্ণরঞ্জিত ; কৃষকের মজুরে পরিণত, নগরগুলি সংকীর্ণ ও জনতাপূর্ণ ; শ্রমশিল্প