৫৮শ বর্ষ,"পঞ্চম দংখ্যা পঞ্চদশ ও ষোড়শ শতাব্দীর ধীন্দোলন হইতে ধৰ্ম্মসম্প্রদায়ের সংখ্যা এতটা বৃদ্ধি হইল, এবং ধৰ্ম্মসম্বন্ধীয় মতামত এতট তীব্র হইয়া উঠিল যে এক সম্প্রদায়ের লোক ' অন্ত সম্প্রদায়ের লোকের সহিত সকল সংস্রব পরিত্যাগ করিয়া একেবারে পৃথক হইয়া পড়িল । এবং এই সকল বর্ণ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে বিভক্ত হইয় পড়ায়, সমস্ত বর্ণভেদপ্রণালীটাই সম্পূর্ণরূপে রূপান্তরিত হইল। একটা নুতন পত্তনভূমি স্থাপিত হইল। সামাজিক পদমৰ্য্যাদা ও প্রাচীন প্রথার পরিবর্তে, ব্যবসায় ও বাসস্থানই মূলজাতিগত উৎপত্তির পত্তনভূমি হইয়া দাড়াইল । সকল নামগুলিই , নুতন এবং মূল শব্দার্থ হইতে একটু ভিন্ন। যথা :-কায়স্থ, বৈদ্য, কামার, সোনার ইত্যাদি (৩) আইনী-আকবরীতে আবুল-ফজল মনুর চারি শ্রেণীর উল্লেখ করিয়াছেন, তাছাড়া ম্লেচ্ছ নামক আর এক পঞ্চম শ্রেণীরও উল্লেখ করিয়াছেন। কিন্তু তিনি আরও এই কথ। বলিয়াছেন যে, ব্রাহ্মণের দশ শ্রেণীতে বিভক্ত: —প্রথম তিন শ্রেণীর ব্রাহ্মণের নুনাধিক নিষ্ঠার সহিত ব্ৰাহ্মণ্যিক কৰ্ত্তব্য সকল পালন করিয়া থাকে ; অন্ত শ্রেণীগুলি, ক্ষত্রিয়বৃত্তি, বৈশুবৃত্তি, শূদ্রবৃত্তি অবলম্বন করে ; সপ্তম শ্রেণীর ব্রাহ্মণের ভিক্ষু এবং অষ্টম শ্রেণীর ব্রাহ্মণের হিতাহিত জ্ঞানশূন্ত কতকগুলি পশু ভিন্ন আর কিছুই নহে। যে সকল ব্রাহ্মণ ইহাদিগের নীচে, তাহাদিগের আচরণ ম্লেচ্ছ ও চণ্ডালের স্তায় । মধ্যযুগের ভারত
- &৬৩
আবুল-ফজল বলেন, ক্ষত্ৰিয় মাত্রই হয় চন্দ্রবংশায়, নয় স্বৰ্য্যবংশীয় ;–রাজপুতদিগের মধ্যে এইরূপ কিংবদন্তী প্রচলিত । তাহার পর তিনি আরও বলিয়াছেন – ক্ষত্রিয়দের মধ্যে ৫০০ শাখা আছে ; তন্মধ্যে ৫২ট শাখ উচ্চ পদবীব এবং • ১২ট শাখা সম্মান-যোগ্য ৷ কিন্তু প্রকৃত ক্ষত্রিয় এখন আর কুত্ৰাপি খুজিয়া পাওয়া যায় না । ক্ষত্রিয়-বংশধরদিগের মধ্যে অধিকাংশই অস্ত্রবৃত্তি ত্যাগ করিয়া অন্ত বৃত্তি অবnম্বন করিয়াছে ; কিন্তু তাহারাও ক্ষত্রিয় নামে অভিহিত হইয় থাকে। অtধ কতকগুলি ক্ষত্রিয় অস্ত্রবৃত্তি অবলম্বন করিয়াছে ; তাহার রাজপুত নামে অভিহিত হইয়া থাকে। তাঙ্গারা শত সহস্ৰ গোত্রে বিভক্ত । বৈশু ও শূদ্রেরাও বিভিন্ন দলে বিভক্ত। বৈগু-শাখার অন্তভূর্ত বেণিয়া-নামক এক শ্রেণীর মধ্যেই ৮৪ বিভাগ বিদ্যমান। 来 来 来 যেমন বর্ণের সংখ্যা বাড়িতে লাগিল সেই সঙ্গে নিয়মের কঠোরতাও বাড়িতে লাগিল । বৈদেশিকের প্রতি বিদ্বেষ ব্ধিই এই কঠোরতার,হেতু বলিয়া নির্দেশ করা যাইতে পারে । * আমি মুসলমান নহি–ইসলামধর্মের প্রতি আমার কোন ঝোক নাই—এই কথা দৃঢ়ৰূপে বলিবার জন্তই যেন হিন্দুরা পুরাতন প্রথাগুলি খুব আঁকড়াইয়া ধরিল । এই ধৰ্ম্মোৎসাহ হইতেই ধৰ্ম্মান্ধ মুসলমানেরও (৩) ঐরূপ তেলী, কম্ভার, তাতী, নাপিত ইত্যাদি। ইহার অনেকগুলি ( যাহার নাম প্রাচীন শি.ে পাওয়া যায় না ) মুসলমান-অভিধানের পূর্বেই গঠিত হইয়াছিল। -