পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

, তখন সকলে ভাবিল—নাঃ, ছেলেট কোনো কৰ্ম্মেয়ই না! যেমন আকাট মুখখু বাপ শিবচরণ,তাহাবই ত ছেলে!' পুত্রের পকুভবে পাচুৰ মা অপ্রতিভ হইয়া মাথা নত করিয়া পা দিয়া মাটিতে আঁক কাটিতে লাগিল, তাহার રોના, মুখণনি লজ্জায় বেগুনে হইয়া উঠিয়াছে । খুড়িমা আবার মুস্কিলে পড়িলেন। রোহিণী' : বলিল –খুড়িমা, ঠাকুরঘবে ভটচাজি,মশায় পুজো করছেন, যাও না । তার ঠেঞে পড়িয়ে লুংগে না। . এই প্রস্তাব সকলেরই খুব সমীচীন বলিয়া বোধ হইল। সকলেই সমস্বরে বলিয়া উঠিল-হ্যা হ্যা, ভালো মনুে করেছিস রোহিণী ! এত লোকের মধ্যে রোহিণী নিজেব', উপস্থিত বুদ্ধির শ্রেষ্ঠত্ব গৌরবে স্ফীত হইয় বিনয়েব ভাবে স্মিত মুখ গন্ত্রীব করিয়া রঙ্গিল, যেন এ প্রশংসায় তাগব কিছুই যায় " না—এমন বুদ্ধিব পবিচয় ক্লামেশাই সে দিয়া থাকে এবং এমন প্রশংসাও সে নিত্যনিৰস্তুষ্ট । পায়। কিন্তু তাছার বিড়ালের মুক্তন গোল গোল ছোট ছোট চোখ দুটা উজ্জ্বল হইয় উঠিয়া সকলের মুখের উপর দিয়া প্রশংসাব 'দৃষ্টি ভিক্ষা মাগিয়া ফিরতেছিল, & সমাগত পুরন্ধীদের ਜਾਂ ਪੋਜੋੜ অনুরোধের স্বরে বলিলেন-ক্ষ্যাম, তুষ্ট বড়ি ক’টা দিয়ে দে না মা, ফেন বসে शय्कृ, আমি চিঠিখান পড়িয়ে নিয়ে আদি। সকলে চিঠি শুনিতে যাইবে আর তাহাধে একলাটি রোদে বসিয়া বড়ি দিতে কুইবে g ভারতী বৈশাখ, ১৩২১৪ ভাবিয়া ক্ষেম#বী ক্ষুঃ হুইল । বলিল—খুড়িমা, যাকুগে ফেন বসে, আমি এসে আবার ফেনিয়ে দেবো । ডাল-বঁটা ব . কাশিটা চটে$ তলে ঢেকে রাখ, নইলে কাগে টাগে আবার মুখ দেবে। খুড়িমা অব কিছু না বলিয়া কাশিব কানায় হাতের ডাল যথাসম্ভব মুছিয়া কাশ ঢাকিয়া বা খিয়া বা চিঠি লইয়া ভট্টাচার্য্যের সন্ধানে রওনা হইলেন । জমিদাবদেব লক্ষ্মীজনাৰ্দ্দন শালগ্রাম শিলা । নন্দকিশোব স্মৃতিবত্ব জমিদাব বাবুদেব কুলপুবেচিত। তিনিই নিত্য অন্বে আসিয়া বাস্তুদেব তার পূজা কবেন। মহাশয় দীর্ঘায়ত সুন্দর সুগেীর ईt८ ठ বাস্তুদেবতা স্মৃতিবত্ব পুরুষ ; বয়স পঞ্চাশেৰ উদ্ধ ; মাথাভবা টাক, কেবল দুষ্ট কানের পাশ হইতে পশ্চt: পৰ্য্যস্ত ঘন চুল আছে, কিন্তু শিপা নাই । ভট্টাচায্য পুরু গালিচাব আসনে সরল উন্নত হুইযা বসিয়া পূজা কবিতেছেন। পবণে গবদেব কাপড় ও উত্তবায়, গবদের ও দেহের রঙে মিশিয়া যেন একাকা ব ত ইয়া গেছে । সুশুভ্র । পাশে মাবলে পাথরেব স্বচ্ছ শুভ্ৰ মেজের উপব অমল,শুভ্র' একখানি গাছ ভাজ করা রহিয়াছে। পূজারীর ন্তায় পূজাব স্থান, উপকরণ সমস্তই পরিষ্কাৰ পৰিচ্ছন্ন। পূঞ্জার ঘরটি ধূপ ধুনা চন্দনের গন্ধে আমোদিত। খুড়িম ঘরে ঢুকিয়া গলায় আচল দিয়া প্রথমে নারায়ণকে, পরে পুৰোহি শুকে छूमिछे উপালত গুচ্ছ হইয়া প্রণাম কবিয়া একপাশে দাড়াইলেন, অপর সকলে তাহার পশ্চাতে ভিড় করিয়া দাড়াইল ।