পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/৪৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ábペ ū t • ইকা কি বলিল তাছা তিনি বুঝিতে পারিলেন না, কিন্তু মনে মনে ভাবিলেন,— “এই সন্ন্যাসী সাচ্চ লোক বটে নতুবা পরের দুঃখে পরে এত ব্যথা পাইবে কেন ?”—অতপর আর, গল্প জমিতেছে না দেখিয়া সাধুবাবাকে প্রণাম করিয়া পোটলা লইয়া লোকটি চলিয়া গেলেন। চারিদিকে তেমনি কোলাহল উত্তেজন উৎসাহ,- কিন্তু লাইকার অন্তঃকরণ তখন নীরব হইয়া গিয়াছিল। দুপ্রহরের তীক্ষ রৌদ্র মাথার উপর আসিল,—ক্রমে গড়াইয়৷ মুখে পড়িল, পথিকেয়া তখন সকলেই ছায়ায় গিয়া বসিয়াছে কিন্তু লাইক উঠিল ন, কচিৎ দু একট, বৃদ্ধ বা বৃদ্ধ তাহাকে দেখিয়া নিকটে আসিয়া বলিল “বাবাজি cब्रोप्छ रुनिम्न cकन ?" किङ् डेढष नl, পাইয়া মীমাংসা করিয়া লইল যে সাধু হয়ত সমাধিতে আছেন । বেলা শেষ ; আবার সোপানতলে জনতা দেখা দিল, তখন লাইক উঠিল। কাহাকেও কোন কথা না গঙ্গাভিমুখে চলিল। গঙ্গাতীরও জনশূন্ত নয়—বসন্ত প্রদোষে কৃত নরনারী জলে নামিয় সমস্ত দিনের-শ্রান্ত ঘৰ্ম্মাক্ত, দেহ শীতল করিতেছে । খেয়াঘাটে ছোট ছোট নৌকাগুলি জনপূর্ণ, নগরের কাজ শেষ করিয়া—দোকান বাজার করিয়া সকলেই আপন আপন গৃহে ফিরিয়া চলিয়াছে। লাইক সে দিক দিয়া গ্রেল না,-কম্পিত দ্রুত চরণে সে এ সকল দৃপ্ত এড়াইয়া শ্বশান ঘাটে নামিল।— • “মা পতিতোদ্ধারিনি ! এ অধম ●[ब्रडौं ঙীন্দ্র, ১৩২১ সন্তানকে তুমি ক্ষমা করিবে না ?—এত কষ্ট এত ব্যথা সহ করিতে না পারিয়া যদি সে তোমার ক্রোড়ে আশ্রয় চুtয় তুই • কি তাহ দিবি না মা জননি ?—* লাইক একেবারে জলের নিকট আসিয়া গুইয়া পড়িল ;–বড় . যে কাল্প পায় ! মাথার সব চুল যে এক একটি করিয়া ছিড়িতে ইচ্ছা করে—আর সর্বাপেক্ষ গভীর আকাঙ্ক্ষ হইতেছে যে বুকের স্থল আবরণ ভেদ করিয়া হৃদয়ের সমস্ত রক্ত এই গঙ্গার জলে ঢালিয়া দেয় – . তীরের শ্মশান দৃশু ক্রমে অস্পষ্ট হইতেছিল,-সন্ধার অন্ধকার প্রগাঢ় ;-কতক্ষণ সে এইভাবে পড়িয়া থাকিল! দুরে দুরে মন্দির দেবালয়ে আরতির বাদ্য উঠিয়াছিল,— “শান্তি শান্তি পরিপূর্ণ কল্যাণ!-- কিন্তু লাইকার জীবন কি অশান্ত ! কি অমঙ্গলময় ?-প্ৰভু ! হরি দীনবন্ধু ! উপায় দাও— লাইকাকে এ আত্মহত্যার ভীষণ সংকল্প হইতে বাচাও !—” তখন শোকবিদগ্ধ লাইকার শুষ্ক ওষ্ঠ ভেদ করিয়া অতি করুণ স্বরে উচ্চারিত হইতে লাগিল,— “ভয় বিহ্বল,চিত কতই ন পরতিত कदष्ट्र" न मिलन अथ्र्यौं, फ़ेिब्र कब्रभ शैन शैन उछन झैौन কঁহি। মেরা মিলে বিশোয়াসা ?” ক্রমে অশ্রীজলে সে শোকসঙ্গীতও “ডুবিয়া গেল,-এতক্ষণে . লাইক দিল, শোক যেখানে আসিয়া দারুণ পাষাণের মত চাপিয়াছিল তাহ যেন কিছু মুক্তি পাইল