৩৮শ বর্ষ; পঞ্চম সংখ্যা আছে—আর সেই স্ত্রী এখনও অনেক . দিন বচিবার আশা রাখে। শরীর তার খুবই মজবুত আছে। দু দিন হল, পঙ্গপালের মত একদল ছেলে-মেয়ে নিয়ে সে নবাবের কাছে এসেছে। তার সব নবাবেরই ছেলে মেয়ে—* • " ফেলিসিয়া যেন আকাশ হইতে পড়িল । সে কি বলিবে স্থির করিতে পারিল না। সম্মুখে তাহার নবাবের মূৰ্ত্তিটা চীৎকার জ্যোতিরিন্দ্রনাথের জীবনস্থতি 6 e > করিয়া যেন কত-কি বলিতেছিল-বিদ্রুপের হাসি জেঙ্কিন্সের চোখের কোণে জড়ো হইতেছিল –ফেলিসিয়া মুহুর্তের জন্ত চৈতন্ত, হারাইল। সবেগে মূৰ্ত্তিটার কাছে সে সরিয়া আসিল-মাক্রোশে সেটাকে ধরিয়া নাড়া দিয়া চুরমার করিয়া ভাঙ্গিয়া ফেলিল। কাদার মুক্তি কাদা হইয়া ভূমে লুটাইয় পড়িল । ( ক্রমশঃ ). শ্ৰীসৌরীন্দ্রমোহন মুখোপাধ্যায়। জ্যোতিরিন্দ্রনাথের জীবনস্মৃতি (4) বোম্বাই গিয়াই জ্যোতিরিন্দ্রনাথ অনেক গ্রন্থ কিনির ফেলিলেন, এবং অধিকাংশ সময়েই ঐ সমস্ত পুস্তক পাঠে নিযুক্ত থাকিতেন। এখানে অবস্থান কালে তিনি আরও একটি বিস্ত শিক্ষা করিছিলেন—সে সেতার বাদ্য। এক গুজরাট মুসলমান র্তাহাকে সেতার শিখাইত । ক্রমশঃ ওস্তাদের জানা সমস্ত গৎই অভ্যাস করিয়া গুরুর পুজি-পাট প্রায় নিঃশেষ করিয়া দিলেন । যাহাই হউক এই ওস্তাদের কাছে তিনি সেতারে বিশেষ পারদর্শিতা লাভ করিয়াছিলেন। বোম্বাই হইতে কলিকাতা ফিরিয়৷ আসিলে, তাহার সেতার শুনিয়া বাড়ীব সকলেই চমৎকৃত হইলেন । বিশেষতঃ গুণেন্দ্রনাথ "ঠাকুরমহাশয় র্তাহার সেতার শুনিয়া একেবারে মোহিত হইয়া গিয়াছিলেন ।
> → গুণেন্দ্রবাবু জ্যোতিবাবুকে (ostrich) nitaft .পক্ষীর ডিমের তুম্বে একটি স্বন্দর সেতার তৈরি করাইয় তাহাকে উপহার দিয়াছিলেন। জ্যোতিবাবু এ সেতারটিকে তাছাদের বাড়ীর একটা আলমারির উপর লুধিয়া দিয়াছিলেন, কি করিয়া পড়িয়া সেটি ভাঙ্গিয়া যায়। তিনি বলিলেন, অভ্যাসের অভাবে এক্ষণে র্তাহার সেতারের হাত আদপেই নাই । নিয়ে তাহার কথাই উদ্ধৃত করিতেছি। “সে সমস্তুে সেতারের খুব রেজুজি ছিল । গৌৰীন যুবকের প্রায়ই ভূখন ঐ যন্ত্র শিক্ষা করিতেন। আমার ভগিনীপতি ৮ সারদা প্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায়" তখন জুয়ালাপ্রসাদ নামক একজন প্রসিদ্ধ হিন্দুস্থানী ওস্তাদের নিকট সেভার শিখিতেন। তিনি যে সকল গং শিখিয়াছিলেন তাহ লক্ষেী ঢং-এর । ওস্তাদজী আমার শিক্ষিত গৎগুলি শুনিয়া বলিলেন—এগুলি দিল্লী ঢং-এর । দিল্লী