はミや { g ভারতৈ তাহ। সার্থক সাহিত্য নামের যোগ্য। দৃষ্টাস্ত স্বরূপ বিশেষ করিয়া “পরিবর্তন"এর শেষ অংশের উল্লেখ করা যাইতে পারে, যেখানে বড়-বউকে-সন্ত্রাপ্ত হিন্দু ঘরের বিধবা, বিলাতফেরৎ ঘরের সৌধীন মহিলা, ও গরীব ব্রাহ্মণপাচিকার ভূমিকা ত্রয়ের মধ্য দিয়া যেন ঘৌড়দৌড় করাইয়া দেওয়া হইয়াছে; তাহাকে ইফ ছাড়িবার, বা পাঠককে চক্ষের পাতা ফেলিবার অবসরমাত্র দেওয়া হয় নাই । দ্বিতীয় মন্তব্যটি এই যে, পূজনীয় ঐযুক্ত রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর "সবুজ পত্রের” জ্যৈষ্ঠ সংখ্যায় "বাঙ্গালা ছন্দ” শীষর্ক প্রবন্ধে हैमन বঙ্গল। শব্দের সমতল ভূমিতে যুক্তাক্ষর রোপন করিয়া ৰৈচিত্র্য সাধনের উপদেশ দিয়াছেন—সেইরূপ আমার মনে হয় গল্প মাত্রেরই সমতল ক্ষেত্রে মাঝে মাঝে একটু কথোপকখনের ঢেউ খেলাইয়া না দিলে নিতান্ত একঘেয়ে লাগিবীর সম্ভাবনা। ছেলেবেলায় কোন নুতন গল্পের বই পড়িবার আগে মনে আছে তাহার পাতা উণ্টইয়া যাচাইয়া লইতাম ; এবং যেখানিতে স্থানে, স্থানে ভাঙ্গা ভাঙ্গ লাইনে উত্তর প্রত্যুত্তর আছে দেখিতাম, সেই খানিই মনে হইত ভাল লাগিবে ! গল্প শুনিবার লোভ ছেলেবুড়ার প্রায় সমান ও প্রায় একই মনোভাব হইতে উৎপন্ন । তফাতের মধ্যে ছেলের ঠাকুরদাদার গল্পের মৃদু গুঞ্জনের ফাঁকতালে 'হু’ দিতে দিতে ঘুমাইয় পড়িলে কেহ দোষ দেয় না, বৃরং গল্পকে ধামাচাপা দিয়া নিশ্চিন্ত হয় ! কিন্তু বুড়াদের ঘুম পুড়িাইবার উদ্দেষ্ঠে গল্প বলা হয় না। তাই বুলিতেছি, অনিচ্ছাসত্ত্বেও ধৰ্ম্মতে,সে উদ্দেশ্য সাধিত না হয়, তাহার একটি প্রকৃষ্ট উপায় আমার মনে হয় কথোপকথনের অধতারণ। মুখের গল্পে বিবিধ মুখের ভাব ও গলার স্বরে সহজেই যে বৈচিত্ৰ্য সাধন করিতে পারা যায়, লিখিত গল্পে আমরা সেই দুই প্রধান সহায়ে বঞ্চিত, তাহা ভুলিলে চলিবে না। সব সময়ে একটি অদৃষ্ঠ বক্তার প্রতি বিষয়টিও ভাল ফুটিয়া উঠিয়াছে। ভাদ্র, ১৩২১ পাঠককে উtহর মনোযোগ আবদ্ধ রাথিতে বাধ্য মা করিয়া গল্পের চরিত্রগুলিকে নিজের মুখে কথাবার্তা কহিতে দিলে তাহদের প্রতি দৃষ্টিপাত করিবার অবকাশ দেওয়া হয়, এবং তাহীদের অপেক্ষাকৃত জীবস্ত করিয়া তুলিবার সাহায্য করা হয়। শেষ গল্প “বশীকরণ"এ এই প্রাণসঞ্চারের একটু চেষ্টা আছে। গল্প কয়টির মধ্যে "প্রতীক্ষায়” কল্পনাটিও নুতন, किजु खांउ बां অজ্ঞাতসারে রবীন্দ্রবাবুর “ক্ষুধিত পাঘাণের" ছায়া উহাতে পড়িয়াছে বলিয়া যেন মনে হয়। আমি ত জীন সেই গল্পই ভাল, যাহার বর্ণনায় চোখের সামনে ছবি ফুটিয় উঠে ; এবং সেই লেখকই তত ক্ষমতাপন্ন যাহার কাল্পনিক চরিত্র গুলি যত বেশী দিন পর্য্যস্ত মাথায় ঘোরে। র্যাহার রচিত ‘চরিত্রগুলি কখনোই মন হইতে মুছিয়। যায় না তিনিই পাঠকলোকে অমর হইয়া থাকেন। কিন্তু তেমন সৌভাগ্যশালী কয়জন,—তবে কালোহর নিরবধি । “অভাগিনীর কাহিনী" একটি বৃদ্ধ আফিংখোরের মুখে দিবার কল্পনাটি ভাল ;–বুড়ার ছবিটিও মন্দ अँकि झग्न नाझे । “बिछब्र” भू३ि नष्क्लिग्नांश्लिांभ, এবং “মেলো-উ মি" ধরণের ৰোধ হইলেও, ভালই লাগিয়াছিল । স্থানে স্থানে বর্ণনার বেশ স্বপ্নদৃষ্টি প্রকাশ পাইয়াছে। সব গল্পগুলিরই একটি প্রধান গুণ এই যে, কোথায়ও ভাবের আতিশয্য বা বর্ণনার অtড়ম্বর নাই। আজকাল আর সাহিত্যে সময়-অসময়ে হৃদরের উচ্ছ,সি বা কথার কথায় সক্ষেৰ বক্তৃতার স্থান নাই,-বিশেষতঃ ছোট গল্পে। আর কত লিখিব ? পুথি ক্রমশঃই বাড়িতে চলিল। পত্রদ্বার সমালোচনা করিলাম, ক্রটি মার্জনা করিবেন । मिtवलिंक জনৈক পাঠিকা
পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/৫২০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।