পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/৫৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৮৭ বর্ষ, ষষ্ঠ সংখ্যা হয়, তাহার ক্ষতিপূরণ ঐ ষ্টিমারের ষে কোন স্থানে ইচ্ছামত গতি পরিবর্তন করিবার ক্ষমতা, ঝড়তুফানের সময় ইহার নির্ভীকতা প্রভৃতি গুণাবলীর দ্বারা হইয়া থাকে।সেই জষ্ঠ দীর্ঘ শৈশববিশিষ্ট মানবজীবন অন্তান্ত জীবন অপেক্ষ অধিকতর নিরাপদ এবং সক্ষম। . উচ্চতর মস্তিষ্ক স্বষ্টির পূৰ্ব্বে নৈতিক হিসাবে প্রত্যেক বস্তু অ •্যস্ত সংক্ষিপ্ত এবং অচিরস্থায়ী ছিল। জীবসকল করিবার জন্ত ব্যস্ত এবং শিশুগণ স্বাধীনতার জন্ত ব্যগ্র ছিল। তখন নিঃসহায়ের জন্ত কেহ দুঃখ করিত না, বেদনার উপশমু করিবার কোন ব্যবস্থা ছিল না এবং শাস্তি ও যত্নেব নিমিত্ত একটা মুহূৰ্ত্তও নির্দিষ্ট হয় নাই। সেকালে সন্তানের ক্ষুদ্র দেহস্থ জীবনেব, ফুলিঙ্গটা নিৰ্ব্বাপিত হইবার উপক্রম করিলেও জননীর অন্তঃকরণে কোন চঞ্চলত উপস্থিত इहेङ न। जनक छननोब दाब प्रिश्रत्नत्व কোন দৈহিক অথবা সস্তানের দ্বারা জনক জননীর কোন নৈতিক উপকার সংসাধিত হইত না। তথম শিশুর শৈশব চাহিত না এবং বৃদ্ধেরও কোন সহানুভূতি ছিল ন} । এমনকি স্তন্যপায়ী জীবেরও বাংর্সল্যের পরিধি অতীব সন্মণ ছিল। যে সিংহ আজ তাহার শিশুর জন্ত প্রাণ পৰ্য্যন্ত বিসর্জন করিতে প্রস্তুত, সে হয়ত কাল সেই শিশুর সহূিত মৃত্যু পৰ্য্যন্ত যুদ্ধে নিযুক্ত। মেঘ শাবক যতক্ষণ মেষশবিক থাকে, ততক্ষণই সে তাহার জনস্ট্রর যত্নের সামগ্ৰী, কিন্তু বড় হইলেই জননী ; আর তাছাকে চিনিতেও সক্ষম নহে। এই সকল স্থলে স্নেহ, যতক্ষণ উহা বর্তমান থাকে, ততক্ষণ খুব প্রগাঢ় ; কিন্তু কিছুকাল মাতৃত্ব (xt') পরে ঐ মেহের কোন স্মৃতিচিহ্ল পর্য্যস্ত আর তাহীদের মস্তিষ্কে থাকে না । মাংসাশী জীবের মধ্যে দেখা যায়, যে শৈশবে সস্তান কিছুকাল মাতৃস্নেহ ভোগ করিয়া থাকে ; কিন্তু ঐ সময় পিতৃস্নেই লাভ করা দুরে থাকু সে পিতৃহস্ত হইতে পরিত্রাণ পাইলেই ধন্ত হইয় থাকে। এই শ্রেণীর জীবেবী (উদাহরণ স্বরূপ বিড়ালের উল্লেখ কর বাইতে পারে)পিতৃ সুত্তের বাহিরে গোপনে জননী কর্তৃক রক্ষিত হইয় থাকে। সুতরাং যে পৰ্য্যন্ত মাতৃজননীর আবির্ভাব হয় নাই, সে পৰ্য্যন্ত প্রেমেব অভিব্যক্তির কোনই সুযোগু ছিল না। পুরুষ জাতির তুলনীয় স্ত্রী জাতি একটু নিশ্চেষ্ট স্বভাব । এই নিশ্চেষ্ট স্বভাবের দ্বারা সে কিছুকাল স্থির হইয়া বসিয়া থাকিতে সক্ষম। ইহা ধৈর্ঘ্যের অন্ধুর। অনুশীলনেরদ্বারা এই অক্ষুবটীকে শাখা প্রশাখাশালী করিয়া অক্ষুণ্ণ মূৰ্ত্তিমান ধৈৰ্য্যে পরিণত করিবার নিমিত্ত প্রকৃতি যথেষ্ট ব্যবস্থা করিয়াছে। সে মাতৃ অঙ্কে দুৰ্ব্বল শিশুটকে শায়িত করিয়া মাতাকে আদেশ করিয়াছে, “ইহারই সাহায্যে ধৈর্য্যশীলতার অনুশীলন কর। ইহার লালন পালনের প্রত্যেক কার্য্যে তোমার દક્ષિশীলতার মংগুক হইবে।” শিশুর • দেহে কোনরূপ যন্ত্রণ উপস্থিত হইলে মাঠ। তাহার মুখে এবং প্রত্যেক অঙ্গ সঞ্চালনে .সেই যন্ত্রণাচিহ্নের ” উপলব্ধি করিয়া থাকে, এই ক্ষমতা ধৈৰ্য্যামুশীলন জাত। এই ক্ষমতা প্রাপ্ত হইলে সস্তালের বেদন জননী অনুভব করিতে,সক্ষম হয়। এই বেদনাবোধজনিত দ্বিতীয় গুণ-গঃামুভূতি। সহানুভূতি প্রণোধিত হইয়া মাতা আৰ্ত্ত শিশুর বেদন লাঘবের জন্য যথাসাধ্য, যত্ন করিয়া থাকে এবং