পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/৫৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৮শ বর্ষ, ষষ্ঠ সংখ্যা এতটুকু সঙ্কোচ নাই, বাক্যে এতটুকু কুষ্ঠা নাই,যে ফ্লন্ত দিকে দিকে ধিক্কার ছি ছি করিয়া ফিরিতেছে সেই কথা জোর করিয়া বলিঙ্কে লজ্জা নাই, দেখিয়া খুড়িমা একেবারে ক্ষিপ্তপ্রায় হইয়া উঠিলেন, সন্দেহের অন্ধকারজালে জড়াইয় তিনি চিন্তা করিতেছিলেন এই জাল ছিড়িয়া ফেলিয়া সত্যের আলোকে * বাহির হইয়া পড়িবেন কি না ; অন্ধের মতে হাতড়াইয়া মরার চেয়ে চোখ" মেলিয়া পুড়িয়া মরা ভালো কিনা। এমন সময় হঠাৎ মালতী কথার আঘাতে র্তাহার সদেহজালের মধ্যে যে একটি বড় রকম ছিদ্র করিয়া দিল, তাহার মধ্য দি শাফাইয়া বাহির হইতে গিল্প খুড়িমার প্রতিকুল মন একেবারে জালে জঞ্জালে জড়াইয়া জট পাকাইয় গেল । তিনি আর প্রশ্ন মাত্র না " করিয়া অজস্র তিরস্কার করিয়া যাইতে লাগিলেন—পোড়ারমুখী - শতেকথোয়ারী হাড়জালানী ! দূর হয়ে যা ! দূর হয়ে য' মালতী আর একটি কথাও না বলিয়৷ চুপ করিয়া আড়ষ্ট হইয়া বসিয়া রহিল। ( >> ) , 瀚 মালতীর এই ঠন লাঞ্ছনার খবর, নবকিশোরের অগোচর রহিল না। সে পিঞ্জয়বদ্ধ ব্যান্ত্রের মতন নিফুল আক্রোশে ফুলিতে লাগিল- সৰ্ব্বস্ব দিয়া, প্রাণ দিয়া এই অসহায় অবলাকে রক্ষা করিতে পারিলে সে করিত, কিন্তু তাছার কেবলই মনে হইতেঁছিল উপায় নাই, উপায় নাই। মালতীকে রক্ষা করিবার সামান্ত চেষ্টাও তাহার প্রতিকূলেই যাইবে। স্রোতের ফুল & ●や 。 酸 • নবকিশোর হাতের উপর মাথা রাখিয় মালতীকে রক্ষা করিবার উপায় চিন্তা করিতে ছিল, এমন সময় ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয় সেই গৃহে প্রবেশ করিলেন । পিতাকে দেখিয়া নবকিশূের • উঠিয় দাড়াইয় তাহার মুখের দিকে, চাহিয়া পিতার আদেশের অপেক্ষ করিতে লাগিল । ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয় স্নিগ্ধ স্বরে বলিলেন— বাবা কিশোর, তুমি একরার অন্দরে • যাও, শুনতে পাচ্ছি মালতী নাকি তোমার সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছে। @ নবকিশোর মাথা নত কুরিয়া বলিলএত কাণ্ডের পর • আমার যাওয়া কি ঠিক হবে ? 尊 $ — এত কাণ্ড হয়েছে বলেই ত তোমার যাওয়া আরো বেশি দরকার । প্রথমতঃ নিশ্চয় কোনে অভাব জানাবার জন্তেই মালতী' তোমার সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিল। তারপর তাকে যে রকম অন্তায় ভাবে উৎপীড়ন করা হচ্ছে তাতে তাকে সত্ত্বন দে ওয়াও ত দরকার । ৯ --কিন্তু আমি গেলে মালতীর কি অধিকতর লজ্জার কারণ হবে না ? : • —ন বুকু, তুমি গেলেই তার লুজ্জাটা সহজ আঁর সহনীয় হয়ে যাবে। * • নবকিশোর একটু চিন্তা করিয়া বলিল – তবে আমি এপ্পনি ধাই।' 會 ভট্টাচাৰ্য্য বললেন-হ্য যাও বাবা । নবকিশোরের চুলিচলন স্বভাবতই দৃপ্ত। আজ সে আরো মাথা সোজা করিয়া, পদক্ষেপ আরে; দৃঢ় করিয়া, মুখভাবে আরো অসঙ্কোচ ফুটাই যেন সমস্ত নিন্দ, সমুন্ত লজ্জা, সমস্ত অপমানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিবার