৩৮শ বর্ষ, প্রথম সংখ্যা , বলিয়া জানে। এখন ‘রূপভেদাং বলিতে এরূপে-ওরূপে ভেদাভেদ ইহা হইতে পারে কিন্তু রূপের মৰ্ম্মভেদ বু, রহস্তউদঘাটন--ইহাও হয়। "সদগুরু পাওয়ে ভেদ বাতাওয়ে” ! কিন্তু আমাদের অদৃষ্ট যে সদৃগুক চিত্রের ষড়ঙ্গে ‘রূপভেদাঃ’ এই কথাটি বসাইয়াছেন তিনি রূপভেদের ভেদ বা রহস্তটুকু আমাদের খুলিয়া বলেন নাই ; কিন্তু তথাপি রহস্তটুকু আমব যে ধরিত্বে পারিতেছি না, এমন নয় । o চিত্রকে আমাদের ষড়ঙ্গকবি যে সজীব বস্তু বলিয়া স্বীকার করিতেন তাহার প্রমাণ ধড়ঙ্গেই বিদ্যমান,-চিত্রেব ছয় অংশ নয়, ছয় দিক ও নয়, ছয় অঙ্গ ! আমাদেব হাত-পা ইত্যাদিব মত শক্তিশালী ছয় অঙ্গ দান কবিয় তবে ষড়ঙ্গকার নিশ্চিন্ত হইয়াছেন। শুধু ইহাই নয় ; যড়ঙ্গটির রচনা-প্রণালী দেখিলেও চিত্রটাকে ষড়ঙ্গকাৰ যে একটা জীবন শক্তির প্রকাশ বলিয়া বুঝিয়ছিলেন এবং সেই প্রকাশেব উপযুক্ত করিয়া ষড়ঙ্গ-স্ব এটিকে একটা সজীব তা দিয়| যাওয়াই যে তাহাব উদ্দেশ্য ছিল তাহাও বেশ বোঝা গড়িয় যায়।. ষড়ঙ্গ-স্বত্রটিকে ধ্যাকরণেব একটি, নির্জীব সুত্রের মত, করিয়া ষড়ঙ্গকার গড়িয়ু যান নাই ; চিত্র যে ছয়ের সমষ্টি সেই ছয়টিকে কোন প্রকারে কথায় গাঁথিয়া একটি স্ব ত্র রচনা করাই যদি ষড়ঙ্গ কারের উদেশ্য হইত তবে আমব দেখিতাম যে ব্যাকবণের সহৰ্ণেধ্যঃ” স্বত্রের মত ঘুড়ঙ্গটি খুব ছোট কাজেই দুর্বোধ আকারে લાં দিয়াছে। কিন্তু এখানে দেখিতেছি ষড়ঙ্গের একটি অঙ্গের সহিত আরেকের যোগ এবং সম্বন্ধ পরিচয় ७१ ইত্যাদি বিশেষভাল পর্যালোচনা করিয়া, যেটির পরে যেটি আসা উচিত, যেখানে যাহার স্থান সেইরূপভাবে তাহ সাজাইয়া, চিত্রের যেন একটা সজীব মন্ত্রমূর্তি, খাড়া কর। হইয়াছে। ষড়ঙ্গুের সমস্তটির ভিতরে ছন্দের স্রোত” বহাইয়া "ৰূপভেদকে প্রমাণ ভাবকে লাবণ্য সাদৃশ্যকে বর্ণিকাভঙ্গ দিয়ু ও সকল অঙ্গেব সহিত সকলের একটি অকাট্য ও অবিবোধ সম্বন্ধ ঘটাইয়া ষড়ঙ্গটিকে এমন একটা পরিমিত গতি ও ভঙ্গী দেওয়া দুইয়াছে যে ষড়ঙ্গট একটু ছন্দে অনুপ্রাণিত হইয়া জীবন্তরূপে আমাদের কাছে প্রকাশ, না পাইয়া থাকিতে পারে না । • রূপ প্রমণেব আকাজক্ষা কবে সুতরাং প্রমাণ আসিয় রূপে মিলিয়াছে। অমনি জ্জাবের উদয়, লাবণ্যেৰ, সঞ্চার, সাদৃষ্ঠের গলাগলি ও বিচিত্র রঙ্গ ভঙ্গ যেন নট ও', নটা আমাদেৰ চোখের সম্মুখে মৃত্য করিতেছে! ঘড়ঙ্গটির এই স্বচ্ছন্দ গতিই সাক্ষ্য দিতেছে যে আমাদেরওঁ ষড়ঙ্গের মুলে প্রাণেব ছন্দ তরঙ্গায়িত এবং রূপভেদের অর্থ,শুধু আকারের বিভিন্নতা দেওয়াবা বোঝা নয় কিন্তু আকার কোথায় সজীব, কোথায় নির্জীব রূপে দেখা যাইতেছে তাহাই বোঝা ও বোঝানো ' ' চেতন অচেতন উৎপত্তি নিবৃত্তি ইহারি ছন্দে বিশ্বজগৎ বাধা । • তেমুনি জীবিত রূপ ও নির্জীব • রূপ ইহারই লয়ে আমাদের ষড়ঙ্গট বাধা। বস্তুরূপটি চেতনার স্পর্শে কখুন কোথায় প্রাণুবান কোথায় বা চেতনার অভাবে সেটি ফ্রিমাণ ইহাই আমাদের ষড়ঙ্গের মূল মন্ত্র। আর ষড়ঙ্গের গোড়াতেই ষে ‘ভেদ, আর সব শেষে যে ‘ভঙ্গ’ শব্দ দুইটি
পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/৭৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।