f ԳՀ নিকট ভারতবর্ষ চিরঞ্চণী হয়ে থাকবে। হিন্দুজাতির মন নামক পদার্থটি যে এতদিন রক্ষিত হয়েছে, সে হচ্ছে ব্রাহ্মণের বিশেষতঃ, ব্রাহ্মণ-পণ্ডিত্বের গুণে। সুতরাং হিন্দুমাত্রেরই নিকট ব্রাহ্মণ-পণ্ডিতের কথা গ্রামাণ্য না হলেও মান্ত। সেই ব্রাহ্মণ পুণ্ডিতেরা যে আত অনাবশুকে নব্যশিক্ষিতসম্প্রদায়েব নিকট নিজেদের উপহাসাম্পদ কবেছেন, এতে আমার জাত্যভিমানে আঘাত লাগে । শিষ্ট্রেব, পালন ও তুস্কৃতের শাসনের জষ্ঠ কালীঘাটে সভা আকারে অবতীর্ণ হয়ে নানারূপ লীলাপেল কর্তৃবাব পূৰ্ব্বে ব্রাহ্মণপণ্ডিতদের এটি স্মবণ রাখা উচিত ছিল যে, ধুৰ্ম্মের গ্লানি উপস্থিত হলে, ভগবান আর যে রূপ ধারণ করেই অবতীর্ণ হোন না কেন, ইতিপূৰ্ব্বে কখনও ব্রাহ্মণ-পঞ্ছিতরূপে অবতীর্ণ g হননি। এ ভুল তঁরা কখনও করতেন না, যদি না এ ব্যাপারে জনকুয়েক ইংরাজি শিক্ষিত বিষয়ী ব্রাহ্মণের প্রবোচনী" এবং পৃষ্ঠ. পোষকতা থাকত। ব্রাহ্মণ পণ্ডিতেব অবশ্য জানেন যে তার সূমাজের শাসক নন, শান্ত্ৰী ; —র্তাব ধর্শ্বের রক্ষক মন, ধৰ্ম্ম-শাস্ত্রের রক্ষক। এক কথায় তারা শুধু সমাজের Books of Reference, as জোর Guide Book । ধৰ্ম্মের উচ্চ আদালত গড়ে তাতে, ফুলবেঞ্চ বসানে এদেবু প্ৰক্ষে ষ্টত মাত্ৰ ; —কারণ ব্রাহ্মণ-পণ্ডিতেরা ধ খুসি " তাই ডিস্ট্র দিতে পারেন, কিন্তু সে. ডিক্ৰী সমাজের উপূর জারি করবার ক্ষমতা তাদের নেই। উদাহরণস্বরূপে দেখান যেতে পাবে যে, সমুদ্রযাত্রারূপ অপরাধের জন্ত, আমার জ্ঞাতিকুটুম্বেব যখন আমাকে সমাজচ্যত ভারতী বৈশাখ, ১৭২১ করেন, ' তখন যদি আমি কিঞ্চিৎ অর্থব্যয় করে, নবদ্বীপ হতে, সমুদ্রযাত্রা শাস্ত্রনিষিদ্ধ নয়, এই মর্শে একটি পাতি নিয়ে গিয়ে তাদের স্বমুখে উপস্থিত হতুম, তা হলে তারা সে বিধান সম্পূর্ণ উপেক্ষা করতেন। বিষয়ী ব্রহ্মণের জীবনযাত্রা, ব্রাহ্মণ-পণ্ডিতের দাক্ষিণ্যের উপর নির্ভর করে না, কিন্তু ব্রাহ্মণ-পণ্ডিতের জীবনযাত্র, বিষয়ী ব্রাহ্মণের দক্ষিণার উপরে निर्डबै করে ; কারণ পণ্ডিতেরা গৃহস্থ ; বিষয়ী নন। আমি ইংরাজি-শিক্ষিত বলে, এ ব্যাপারে লজ্জিত, কেননা আমাদেব একদলের প্রলোভনে পড়েই পণ্ডিত-সম্প্রদায় এই সব অযথা উর্জন গর্জন করেছেন। & ইংরাজি-শিক্ষিত ধৰ্ম্ম-রক্ষকের নিজ নিজ বিদ্যা, বুদ্ধি, রুচি, চরিত্র এবং অবস্থা অনুসারে নানা শ্রেণীতে বিভক্ত। কিন্তু মোটুমুটি ধরতে গেলে এদেরও চার বর্ণে বিভক্ত করা যায় । যার হিন্দুধৰ্ম্মের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা করেন তার হচ্ছের্ন ব্রাহ্মণ। শুনতে পাই হার্বট স্পেনসর এদের গুরু । এরা প্রচাব কবেন যে, মনোজগৎ জড় জগতের অধীন, জড়জগৎ মনোজগতের নয় ; অতএব যে সমাজ যত জড় সে সমাজ তত আধ্যাত্মিক । সুতরাং জড় বস্তুর নিয়মে এরা. সমাজকে বাধতে চান,মা মুষকে জড়ে পরিণত কুরুতে চান । সাহিত্যে এই ব্রান্ধণ পাচকের দল, সংস্কৃত শাস্ত্র এবং ইংরাজি বিজ্ঞান একত্র ঘেটে নিত্য খিচুড়ি পাকান, যাতে না আছে মুন, না আছে বী, না আছে মশলা। সে ੱਲ੍ਹਿ } গলাধঃকরণ করা, আর না করা, আমাদের স্বেচ্ছাধীন। এদের পাণ্ডিত্যের উপদ্রব, বাঙ্গালীর মনের উপর,
পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/৭৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।