পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 gf শুধু জাত মারবার দিকে, এর চাইতে ক্ষোভের বিষয় আর কি হতে পারে ! অবশু এদের ছোড়া সংস্কৃত অক্ষরাঙ্কিত কাগজের গুলির ঘায়ে, কেউ আর বাসায় গিয়ে মরে থাকবেন না ! কিন্তু সেই কারণেই ব্যাপারটি নিতান্ত হান্তকর। তাদের হাতেই হিন্দু সমাজের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে, যাদের চেষ্ট হচ্ছে সমগ্র হিন্দু সমাজকে একটি একান্নবর্তী পরিবার করে তোলা। আর যার ছোয়ানাড়ার বিচার নিয়েই আছেন, র্যাদের চেষ্ট হচ্ছে পরম্পরের সুঙ্গে চুলে পৃথক করে নেওয়া, তাদের হাতে পড়লে সমাজ - চুলোয় যাবে। o o (७) ' ব্রাহ্মণ মহাসভূমি এই লক্ষবস্ফের দরুণ আমি বিশেষ বুজ্জিত, কারণ আমি বাঙ্গালী। এই সব ছেলেথেল আর-যারই পক্ষে শোভ পাক না কেন, বাঙ্গালীর পক্ষে শোভা নী। কারণ একথা সৰ্ব্ববাদীসম্মত যে, বাঙ্গালী ভারতবর্ষে নুতুন এনেছে, সমগ্ৰ ভারতবাসীকে নতুন মুর ধরিয়ে দিয়েছে। ইউরোপের কাব্য, ইউরোপের দর্শন, ইউবোপের বিজ্ঞান, বাঙ্গালীর মনে অইল ক্লথের উপর জলের মত গড়িয়ে যায় নি । অল্প বিস্তর সে মনকে আর্দ্র ওঁ সঁরযু করে তুলেছে। অপরদিকে ইংরাজি শিক্ষার প্রভাবে আমাদের মন সম্পূর্ণ অভিভূতও হয়ে পড়েনি। - ইংরাজি সভ্যতার দুৰ্ব্বার শক্তি আমরা কতক পরিমাণে আয়ত্বও করতে পেরেছি। আমরা रुंडक বাধ্য হয়ে, কতক স্বচ্ছন্দ চিত্তে আমাদের মনকে এই নবাগত সভ্যতার অধীন করেছি। ভারতী • বৈশাখ, ১৩২১ এর কারণ, এই নব, সভ্যতার শিক্ষা গ্রহণ, করবার জন্ত আমাদের মন প্রস্তুত ছিল । . বর্তমান ইউরোপীয় সভ্যতা তিনটি মনেভাবের উপর দাড়িয়ে আছে। সে হচ্ছে সাম্য, মৈত্রী ও স্বাধীনতা ! এ তিনেরই বীজমন্ত্র, চৈতন্ত বাঙ্গালীর কানে দিয়ে গেছেন। তিনি আপামরচণ্ডালকে কোল দিয়ে সাম্যের প্রতি, প্রেম ভক্তির উদ্বোধন করে •মৈত্রীর প্রতি, এবং লোকাচারের অধীনতা থেকে মুক্তির পথ দেখিয়ে স্বাধীনতার প্রতি বাঙ্গালীৰ মনকে অনুকুল করে গেছেন। তিনি যে উষর ক্ষেত্রে বীজ বপন করেন নি তার প্রমাণ, বাঙ্গলার অধিকাংশ লোক আজ চৈতন্ত-পন্থী’ বৈষ্ণব এবং এই নতুন পন্থার প্রদশক তাদের কাছে ভগবানের পূর্ণ অবতার বলে গ্রাহ্য। যে স্বল্প সংখ্যক লোকের মতে তিনি “ন চ পূর্ণ নচাংশ চ” তাদেরও বে চৈতন্ত চেতুন করে তোলেন নি—এ কথাও বলা চলে না। চৈতন্য কখনও ধৰ্ম্ম শাস্ত্রের দোহাই দেনও নি, মানেনও নি। এর জন্য অবশু তার সমসাময়িক শাস্ত্রব্যবসায়ীরা তাকে বিধিমত জালাতন করতে চেষ্ট কবেছিলেন । এমন কি ভগবস্তুক্তিকে মৃগী বলে, তার শচীমাতকে, ওঝ ডাকিয়ে মহাপ্রভুকে ঝাড়ফুকো করবার, ব্যবস্থা দিয়েছিলেন। কিন্তু চৈতন্য যে ভাধের বন্য এনেছিলেন তাতে সমগ্ৰ দেশ ভেসে গেছে ;–শাস্ত্রের বাধ তাকে আটকে রাখতে পারে নি, ভারতবর্ষে তিনিই সৰ্ব্বপ্রথমে ...). যে একটি জিনিষ আছে সে কথা স্ব তিকে, বুঝিয়ে দেন। এই “যুগধৰ্ম্ম” অতীতের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন না হলেও