৩৮শ বর্ষ, প্রথম সংখ্যা , , তারপর ব্রাহ্মণ-সমাজ বলেও ভারতবর্ষে কোন একটি বিশেষ স্বতন্ত্র সমাজ নেই। আমরা শত, শত খণ্ড-সমাজে বিভূক্ত এবং তার একখণ্ডের সঙ্গে আর একখণ্ড সম্পূর্ণ সম্পর্করহিত। হিন্দুদের জাতমারা-বিচ্ছে কত দিন থেকে হয়েছে তা" আমি জানি নে ; কিন্তু সে বিদ্যেয় আমর। এমনি পাবদশা হয়েছি যে, ব্রাহ্মণের মধ্যেও অধিকাংশ লোককে আমরা জাতিভ্রষ্ট করে রেখেছি । অমর, যে শূদ্রেব হাতে জল খাই সেই শূদ্র যাজক ব্রাহ্মণেৰ হাতে জল খাই নে। শুধু তাই নয়; বর্ণ-ব্রাহ্মণের যে দেবতার পূজা কবেন সে দেবতারও আমরা জাত মারি । শূন্দ্রব ঠাকুবের স্বমুখে আমরা মাথা লীচু করি নে ; তার ভোগ আমরা স্পর্শ করিনে। যদি ব্রাহ্মণমুত্রকে একত্র • করে আমরা একটি সমগ্র ব্রাহ্মণসমাজ গড়ে তুলতে পারতুম, তা হলেও নয় হিন্দুসমাজকে শাসন কর্বাব কথা বলা চলত। কিন্তু আমর আমাদের জাত-মারী-বিদ্ভোব গুণে পারি শুধু সমাজকে খণ্ড বিখণ্ড করে ফেলতে । আমাদের গুণীপনার পরিচয় গুণে নয়, ভাগে। ব্রাহ্মণ-সভা কালীঘাটে শুধু সেই বিষ্ঠেরই পুরিচয় দিয়াছেন। বিলেতু ফেরত, প্রভৃতুি অনাচারীদের জাত মেরে তাব আব একটি খণ্ড সমাজ গড়ে তুলতে চান। তাতে আর যার ক্ষতি হোক, আর না হোক, এই নুতন খণ্ডের কোনও ক্ষতি হবে না। হিন্দুসমাজ পুরুভূজের ছায় জীব;–তার খণ্ডিছু অঙ্গগুলি স্বচ্ছদে বিচরণ বেড়ায়। সত্যকথা বলতে গেলে, আমর) বিলেত যাওয়ার দরুণ সমাজ হতে যে মুক্তি লাভ রাহ্মণ মহাসভা ዓግ করেছি তার জন্ত স্ট্রিসমাজের এই বহিষ্করণী শক্তির নিকট আমরা কৃতজ্ঞ । 會 আমার শেষকথা এই যে,--ইউরোপের সমাজের সকল আচার পদ্ধতি যে নিৰ্ব্বচারে গ্রাই বর আমুদের পক্ষে কর্তব্য কিম্বা মঙ্গলকর তা তুবশুদয়। জীবনের ধৰ্ম্মই হচ্ছে যে, তা মানুষকে ভালর দিকেও 4ಡ দিতে পারে মন্দের দিকেও এগিয়ে দিতে পারে । জীবন্ত পদার্থের স্বেচ্ছ বলে একটা জিনুিষ আছে ;—জড়পদার্থই কেবল ষোল - আন জডুজগতের নিয়মাধীন। ক্লিন্তু স্বজাতির রক্ষা ও উন্নতিব-জন্ত কি ভাল, আর কি মন্দ, সে বিচার কবৃবাব শক্তি ব্রাহ্মণ-পণ্ডিতের নেই। ব্রাহ্মণপণ্ডিতের বিচারু—সে ত পুথিগত-বিদ্যাবু মল্ল যুদ্ধ-তার উদ্বেগু সত্যনিৰ্ণ করা নয়,বিপক্ষকে চিৎ করা। পণ্ডিতেরা শিক্ষা করেন শুধু দ্যায়ের প্যাচ ও काप्टान् এ মল্লযুদ্ধ দেখতে মামোদ আছে কিন্তু করে কোনও ফল নেষ্ট । .কুস্তিগির পালোয়ানেরা যেমন আখড়ার বাইবে অকৰ্ম্মণ্য, ব্রাঞ্চুঃ-পণ্ডিতেরাও তেমনি শাস্ত্রের গণ্ডির বাইরে অকৰ্ম্মণ্য । যে জ্ঞামের দ্বারা, যে বিচার-বুদ্ধির দ্বারা—আমাদের নবজীবনকে জাতীয় মঙ্গলেব পথে চালিত কর। যায়—সে জ্ঞান, সে বুদ্ধি টোলে কুড়িয়ে পাওয়া স্থায় না। সে বিচােব নব্য-তান্ত্রিকদেরই করতে হবে, যখন তা করা :श्रावृथ्९"इद। এখীন হচ্ছে আমাদের বাইরে থেকে শক্তি সঞ্চয় করবার যুগ ;–ঘরে বসে ভয়ে ভাবুনায় শক্তি অপব্যয় করবার নয়। আমবা যে হালখাত খুলেছি তাকে বকেয়া টান শুধু পণ্ডশ্রম। যদি প্রথম বোকৈ ভুল পথে যাই তবে ঠেকে শিখে সে পথ
পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/৮৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।