br8 ভূমির উপূর বড় বড় গালিচ পাতা; পাড়ার ছেলেরা আসিয়া মহানন্দে বৈকাল হইঃেই তাহার উপর ডিগ বাজী খেলিতে মুরু করিয়া দিয়াচ্ছে । কাষ্ঠস্তম্ভেব মাথা হইতে বক্ৰ লোহার শিকে ঝাড় ঝুলিতেছে। সায়াহ্নে যখন সেই সব ঝাড় জ্বালান’ হইতে লাগিল, তখন কি আনন্দ! আরতির সময় ধূপধুমে সমাচ্ছন্ন দেবীর অস্পষ্ট মুখ তাহাব মনে অজানা রহস্তের এক সুন্দর মোহ-জাল বিস্তার করিত। বাড়ীর • ছেলেদেব আন্তঃপুবে লইয়া গিয়ী চাকবে বা সকাল সকাল বিছানায় শোয়াইয়া দিয়া বলিত যে, ভোবের সময় আসিয়া ভাহাবা আবাব যাত্রী শোনাইতে লইয়া যাইবে। বালক জ্যোতিরিন্দ্রনাথেব যাত্রা শুনিবাব জন্ত চোখে ঘুম নাই । এগাবটা রাত্রে যেই , ঢোলে চাটি পড়িল , অমনি বিছানা হইতে লাফাই পড়িয়,একছুটে বাহিবের মজলিশে গিয়া হাজির । উঠান • লোকে লোকারণ্য । বাঙ্গিরের নিম্নশ্রেণীর লোকেরাই ভিড় করি . চারিদিকে দাড়াইয়। এ তিন দিন'অবারিতদ্বাব: অনেকু গুলি মশালচী মশাল-হাতে উঠানের নানাদিকে রহিয়াছে'। লালপাগড়ীধারী দারোয়ানের। “বৈঠিয়ে বৈঠিয়ে” করিয়৷ লোকদিগকে বসাইবার চেষ্টা করিতৃেছে এবং মধ্যে মধ্যে ৰেত্ৰচালনা করিতেও কুষ্ঠিত . হইতেছে না। " ಆ, ಇತ್ಗೆ. কেবল বাড়ীর ছেলেছোকরা এবং বাহিরে র’ নিম্নশ্রেণীর লোকদের জন্ত। . ঠৈকখানায় অভিভাবকদের মজুলিশ,। সেখানে বাইনাচ চলিত। ছেলেদিগকে লইয় যাত্রা দেখাইধার ভার ছিল দীমু ঘোষালের উপর । দামু ঘোষাল জ্যোতিবাবুর পিতৃব্য ভারতী so વર્મા, >○ざ。 মহাশয়দের একজন মোসাহেব—সে ছেলেদেরও, খুব প্রিয়পাত্র ছিল । দামু ছেলেদের লইয়া ঠাকুরদানের রোয়াকে মজলিশ, করিয়া સમિટ કવર মধ্যে মধ্যে রুমালে টাকা বাধিয় ছেলেদের হাত দিয়া “পেয়ালt” দেওয়াইত । তখনকার শ্রেষ্ঠ যাত্রাওয়াল নিমাই দাস এবং নিতাই দাসের যাত্রাই এ বাড়ীতে হইত । যাত্রাওয়ালা ছোকরাদের পোষাক ছিল জরির চাপ্ৰকান, জরির কোমরবন্দ, পালকওয়াল মুকুটের মত জরির টুপী । জরি অবশু ঝুটা । যে ৰালে যে পোষাকের ফ্যাশান যাত্রাওয়ালারাও তাঁহাই অনুকর করিয়া থাকে । , এই যাত্রাব “কেলুয়া ভুলুয়া” প্রভৃতি সং ছেলেদের বিশেষ চিত্তাকর্ষক ছিল । "গুম্ভ নিশুম্ভ”র পালায় যখন রক্তবীজ সাজঘর হইতে “বে রে রৈ রে” করিয়া ডাকাতিইকূ দিতে দিতে আসরে আসিত তখন একটা আতঙ্কু উপস্থিত হইত। ডাকাতদের মত তাহার লম্বা চুল, ইয়া চৌগোপ্পা, মালকোচামার রক্তবস্ত্র, কপালে রক্তচন্দনের ফোট, হাতে ঢাল তলোয়ার— সে এক ভীষণ চেহারা । আর মুকুটভূষিতা আলুলায়িত-কেশ৷ দুর্গ যে সাজিত সে যেন রূপে আলো করিয়া জুলিত , আর তাব তলোয়ার খেলার কি কসরৎ । বন বন্ করিয়া তলোয়ার ঘুরাইত যেন বিদ্যুৎ খেলিয়া যাইত। আবার ক্ষেসের মুখস্ পর ধূম্রলোচন পথ সংক্ষেপ করিবার জন্ত যখন ছেলেদের বসিবার স্থান দালানের রোয়াক দিয়া নামিত তখন ছেলের ভয়ে আঁৎকাইয়া উঠিত-কেহ কেই একবারে কাদিয়া উঠিত। {} g এই প্রসঙ্গে জ্যোতিবাৰু বুলিলেন,
পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩২১.djvu/৯১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।