পাতা:ভারতী ১২৮৪.djvu/১১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| --- ভারতী অী ১২৮৪) মেঘনাদ-বধ কাব্য । _ প্রমীলাও কদিলেন, তবেত, রতি আর | প্রমীলায় কিছুমাত্র ভিন্নতা রহিল না। আবার আর একটি কৃত্রিমতাময় রেদিন আসিয়াছে, যখন ইন্দ্রজিৎ গজেন্দ্র-গমনে যুদ্ধে যাইতেছেন তখন প্রমীলা তাহাকে দেখিতেছেন আর কহিতেছেন,— “জানি আমি কেন তুই গহন কাননে ভ্ৰমিসরে গজরাজ ! দেখিয়া ও গতি কি লজ্জায় আর তুই মুখ দেখাইব, অভিমানী ? সরু মাঝ তোররে কে বলে, রাক্ষস-কুল-হৰ্ঘ্যক্ষে হেরে যার আঁখি, কেশরি ? তুইও তেঁই সদা বনবাসী । নাশি বারণে তুই ; এ বীর-কেশরী ভীম প্রহরণে রণে ধিমূপে বাসবে,” ইত্যাদি এই কি হৃদয়ের ভাষা ? হৃদয়ের অশ্রু জল? হেমবাবু কহিয়াছেন “বিদ্যাসুন্দর এবং অন্নদামঙ্গল ভারতচন্দ্র রচিত সৰ্ব্বোৎক্লস্ট কাব্য, কিন্তু যাহাতে অস্তদাহ হয়, হৃৎকম্প হয়, তাদৃশ ভাব তাহাতে কই ?" সত্য ভারতচন্দ্রের ভাষা কৌশলময়, ভাবময় নহে, কিন্তু “জানি আমি কেন তুই” ইত্যাদি পড়িয়া আমরা ভারতচন্দ্রকে মাইকেলের নিমিত্ত সিংহাসনচু্যত করিতে পারি না । তাহার পরে প্রমীলা যে ভগবতীর কাছে প্রার্থনা করিয়াছেন তাহ সুন্দর হইয়াছে । ইন্দ্ৰজিতের মৃত্যুবর্ণনা, লক্ষণের চরিত্র সমালোচনা স্থলে আলোচিত হইবে । মেঘনাদ বধ কাব্যের মধ্যে এই ইন্দ্রজি । 1তের চরিত্রই সর্বাপেক্ষ স্থচিত্রিত হই য়াছে। তাহাতে একাধারে কোমল তা "বীরত্ব উভয় মিশ্রিত হইয়াছে । - -, *. | ইন্দ্ৰজিতের যুদ্ধ-যাত্রার সময় আমরা প্রথমে প্রমীলার দেখা পাই, কিন্তু তখন আমরা তাহাকে চিনিতে পারি নাই, তৃতীয় সর্গে আমরা প্রমীলার সহিত বিশেষ রূপে পরিচিত হই। প্রমীলা পতি-বিরহে রেদিন । করিতেছেন । “উতরিলা নিশীদেবী প্রমোদ উদ্যানে। সিহরি প্রমীলা সতী, মৃদুকল স্বরে, বাসন্তী নামেতে সখি বসন্ত সৌরভ। তার গলা ধরি কাদি কহিতে লাগিল ; “ওই দেখ আইল লে তিমির যামিনী, কাল ভুজঙ্গিনীরূপে দংশিতে অামারে, বাসস্তি ! কোথায় সখি, রক্ষঃকুলপতি, অরিন্দম ইন্দ্রজিৎ, এ বিপত্তিকালে ?” ইত্যাদি পূর্বে কি বলি নাই মেঘনাদবধে হৃদ য়ের কবিতা নাই,ইহার বর্ণন সুন্দর হইতে পারে, ইহার দুই একটি ভাব নুতন হইতে পারে, কিন্তু কবিতার মধ্যে হৃদয়ের উচ্ছ,ংস অতি অলপ । আমরা অনেক সময়ে অনেক প্রকার ভাব অনুভব করি, কিন্তু তাহার ক্রমায়ুযায়ী শৃঙ্খলা খুঁজিয়া পাই না, অনুভব করি অথচ কেন ছইল কি হইল কিছুই ভাবিয়া পাই না, কবির অনুবীক্ষণী কল্পনা ; তাহা আবিষ্কার করিয়া আমাদের দেখাইয়া 1 দেয় । হৃদয়ের প্রত্যেক তরঙ্গ প্রতিতরঙ্গ । যাহার কল্পনার নেত্র এড়াইতে পারে না তাহাকেই কৰি বলি। তাহার রচিত হৃদয়ের গীতি আমাদের হৃদয়ে চিরপরিচিত সঙ্গীর ন্যায় প্রবেশ করে। প্রমীলার ব্রিরই উচ্ছসি। আমাদের হৃদয়ের ভূয়ীয়ে তেমন আঘাত φώΆώκώωώwώύκή