পাতা:ভারতী ১২৮৪.djvu/১১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(ভারত আসহচর বালিকার সব আসিল ছুটিয়া তেমনি মৃণাল বলয় যুগলে তেমনি চিকন চিকন বাকলে তেমনি করিয়া পরাব গলায় বনফুল তুলি গাথিয়া মালা তেমনি করিয়া পরায়ে বেশ, তেমনি করিয়া এলায়ে কেশ, জননীর কাছে বলিব গিয়ে এই নে মা তোর তাপসী বালা . লাজ-হাসি-মাখ মেয়ের মুখ হেরি উথলিবে মায়ের সুখ হরষে জননী নয়নের জলে চুমিবে উমার সে মুখ খানি। হরষে ভূধর অধীর পারা হরষে ছুটিবে তটিনী ধারা, হরষে নিঝর উঠিবে উছলি, উঠিবে উছসি মেনকা রাণী । কোথ। তবে তোরা পুরবাসী মেয়ে যেথা যে আছিস্ আয় তোর ধেয়ে বনে বনে বনে ফিরিবি বালা, তুলিবি কুসুম গাথিবি মালা, পরাবি উমার বিনোদ-গলে। তারকা খচিত গগন মাঝে শারদ চtfদমা যেমন সাজে তেমনি শারদ অবনী শশি শোভিবে কেমন অবনী তলে ? 警 線 蘇 藝。 ওই বুঝি উমা, ওই বুঝি আসে, দেখ চেয়ে গিরি রাণী । আলুলিত কেশ, এলোথেলো বেশ হাসি হাসি মুখ খানি । দাঁড়াল উমারে ঘিরি। শিথিল চিকুরে অমল মালিকা পরাইয়। দিল ধীfর । হাসিয়া হাসিয়া কহিল সবাই উমার চিবুক ধোরে, “বলিগো স্বজনী, বিদেশে বিজনে আছিলি কেমন কোরে ? আমরাত সখি সারাটি বরষ রহিয়াছি পথ চেয়ে, কবে আসিবেক আমাদের সেই মেনকা-রাণীর মেয়ে ! এইনে স্বজনী ফুলের ভূষণ এইনে মৃণাল বালা, হাসি মুখখানি কেমন সাজিবে পরিলে কুহুম মালা ।” কেহবা কহিল “এবার স্বজনি দিবন! তোমায় ছেড়ে ভিখারী ভবের সরবস ধন আমরা লইব কেড়ে ! বলত স্বজনি এ কেমন ধারা এয়েছ বরষ পরে, কেমনে নিদয়া রহিবে কেবল তিনটি দিনের তরে ” কেহুব কহিল “বল দেখি সখি মনে পড়ে ছেলেবেল ? সকলে মিলিয়া এগিরি ভবনে কতনা করেছি খেলা ! সেই মনে পড়ে যেদিন স্বজনী, গেলে তপোবন মাঝে, নয়নের জলে আমরা সকলে সাজামু তাপসী সাজে ।