পাতা:ভারতী ১২৮৪.djvu/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| ১২. ' ' { উদ্দেশ নাই, চতুর্দিক অবাধে প্রসারিত হইয়া আছে। উহা ঘোর জলজন্তুগণে পূর্ণ; প্রদোষকালে অনবরত ফেন উদার পূর্বক যেন হাস্য করিতেছে এবং তরঙ্গভঙ্গী প্রদ| শন পূর্বক যেন মৃত্য করিতেছে। তৎকালে { চন্দ্র উদিত হওয়াতে মহাসমুদ্রের জলোচছাস বৰ্দ্ধিত হইয়াছে এবং প্রতিবিম্বিত ! চন্দ্র উহার বক্ষে ক্রীড়া করিতেছে। সমুদ্র পাতালের ন্যায় ঘোর গভীরদর্শন ; উহার ইতস্ততঃ তিমি তিমিঙ্গিল প্রভৃতি জলজন্তু সকল প্রচণ্ডবেগে সঞ্চরণ করিতেছে। স্থানে স্থানে প্রকাও শৈল ; উহ। অতলস্পর্শ ; ভীম অজগরগণ গর্ভে লীন রহিয়াছে। উহাদের দেক জ্যোতিময় ; সাগরবক্ষে যেন অগ্নিচুৰ্ণ প্রক্ষিপ্ত হইয়াছে। সমুদ্রের জলরাশি নিরবচ্ছিন্ন উঠিতেছে ও পড়ি| তেছে। সমুদ্র আকাশতুল্য এবং আকাশ সমুদ্রতুল্য ; উভয়ের কিছুমাত্র বৈলক্ষণ্য | নাই ; আকাশে তারকাবলী এবং সমুদ্রে মুক্তাস্তবক ; আকাশে ঘনরাজি এবং সমুদ্রে তরঙ্গজাল ; আকাশে সমুদ্র ও সমুদ্রে আকাশ মিশিয়াছে। প্রবল তরঙ্গের পরস্পর সজঘর্ষ নিবন্ধন মহাকাশে মহাভেরীর ন্যায় অনবরত ভৗম রব শ্রত হইতেছে । সমুদ্র যেন অতিমাত্র জুদ্ধ ; উহা রোষভরে যেন উঠিবার চেষ্টা করিতেছে এবং উহার ভীম গম্ভীর রব বায়ুতে মিশ্রিত হইতেছে।" রাবণ সমুদ্রকে সম্বোধন করিয়া যাহা পুনরায় সভায় আসিয়া, “শোকে মগ্ন বসিলা নীরবে মেঘনাদবধ কাব্য ! কছিলেন তাহ স্বন্দর লাগিল । রাবণ মহামতি, পাত্র মিত্র, সভাসদ, আদি বসিলা চৌদিকে, আহা নীরব বিষাদে !” হেন কালে রোদনের “ মৃন্থ নিনাদ ’ ও কিঙ্কিণীর “ঘোর রোল” তুলিয়া চিত্রাঙ্গদ। আইলেন, কবি তখন একটি ঝড় বাধাইলেন এই ঝড়ের রূপকটি অতিশয় হাস্যজনক । “ সুরসুন্দরীর রূপে শোভিল চৌদিকে বামাকুল ; মুক্তকেশ মেঘমালা, ঘন নিশ্বাস প্রলয়-বায়ু ; অশ্রু বারিধারা আসার, জীমূত-মন্দ্ৰ হাহাকার রব।” এই ঝড় উপস্থিত হইতেই অমনি নেত্রনীরসিক্ত কিঙ্কর দূরে চামর ফেলিয়। দিল এবং ছত্রধর ছত্র ফেলিয়া দিয়া (ভারতী শ্রা ১২৮৪ | কাদিতে বসিল, আর পাত্র মিত্র সভাসদ আদি অধীর হইয়৷ ” ঘোর কোলাহুলে” কffদতে লাগিল । রাবণের সভায় এত কান্না ত আর সহ হয় না, পাত্ৰ মিত্র সভাসদ আদিকে এক একটি খেলেন দিয়া থামা ইতে ইচ্ছা করে। একটু শোকে কিঙ্করী চামর ছুঁড়িয়া ফেলিল, একটু শোকে ছত্র ধর ছত্র ফেলিয়। কাদিতে বসিল, এক ত ইহাতে রাজসভার এক অপূৰ্ব্ব ভাব মনে আসে, দ্বিতীয়তঃ ক্রোধেই চামর আদি দূরে ফেলিয়া দিবার সম্ভাবনা, শোকে বরং হস্ত হইতে অজ্ঞাতে খসিয়া পড়িতে পারে। মহিষী রাবণকে যাহা কহিলেন তাহ ভাল লাগিল, রাবণ কহিলেন, “ বরঙ্গে সজারু পশি বারুইর যথা : ছিন্ন ভিন্ন করে তারে, দশরথাক্ষ্মজ; · भछाँहे८झ शझ cभांद्र । ” এই উদাহরণটি অতিশয় সঙ্কীর্ণ হুই