পাতা:ভারতী ১২৮৪.djvu/২৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতী পেী ১২৮৪) তত্ত্বজ্ঞান কতদূরাগ্রামাণিক । علثقافكــعطفك -- ૨8{દ | | এইটিই উল্লাহর মূল, তাছার আর ভুল নাই ; ইতিপূৰ্ব্বে তাহার প্রমাণ যথেষ্ট দেওয়া হইয়াছে । এস্থলে এইটি যেন মনে থাকে যে, যদিও প্রজ্ঞার মূলত স্ব-গুলিকে দেশকালে প্রয়োগ করিয়া দেখিলে সহজেই তাহার ( প্রজ্ঞার ) প্রামাণিকত্ব আমাদের হৃদয়ঙ্গম হয়, তথাপি প্রজ্ঞার প্রকৃত প্রমাণ যুক্তি হইতে পাওয়া যায় না—স্বতঃসিদ্ধতাই প্রজ্ঞার প্রকৃত প্রমাণ। দীপ-শিখা যেমন আপনাকে প্রকাশ করে,এবং তাছার কিরণ প্রবাহ যেমন অন্যকে প্রকাশ করে, প্রজ্ঞ। সেইরূপ গোড়ায় আপনাকে প্রমাণ করে, এবং তাহার যুক্তিপ্রবাহ বিষয়ান্তর প্রমাণ করে । পৌছান যায় না । আরোহ-প্রণালী দীথের কিরণই দীপশিখাকে অপেক্ষ করে, যুক্তিই প্রজ্ঞাকে অপেক্ষা করে। প্রজ্ঞা গ্রামাণিক বলিয়াই যুক্তি প্রামাণিক, ইহার উল্ট। সস্তবে না। বিশেষ একটি অভি ব্যক্তি অথবা প্রত্যক্ষ ঘটনার উপরে প্রজ্ঞার প্রয়োগ যাহা উপরে প্রদর্শিত হইয়ছে, তাহ সেই প্রজ্ঞার পুয়োগ, যে প্রজ্ঞার নিকট পৃথিবীও যা, সৌরজগৎও তাই, সৌরজগৎও যা, নাক্ষত্রিক জগৎ ও তাই, আতাফলও যা, জ্বলোক ভূলোক ও তাই। অতএব প্রজ্ঞ সৰ্ব্বাপেক্ষ সূক্ষমতম ব্যাপকতম এবং বলবত্তম প্রমাণ । পূর্বে আমরা দেখিয়াছি যে, আরোহ | প্রণালী অমুসরণ করিয়া স্মক্ষম হইতে সূক্ষম স্তর ততোধিক স্মক্ষমতর, এরূপ করিয়া চলিলে, য়ে জন্য চলা, তাহ সফল হয় না, ধ্রুব সত্যে পৌছান যায় না, সূক্ষমতমে খানেই থামে সেইখানেই “এ নয় ইহা অপেক্ষাও সূক্ষমতর” এই কথাটি স্পষ্ট। ক্ষরে দেখিতে পায়। মূলসত্য সম্বন্ধে আরোহ প্রণালী “ইহা নহে ইহা নহে ” ইহাই ক্রমাগত বলিতে থাকে। ইহা যদি নহে তবে কি ?—তারোহ প্রণালীর মুখে আর কথা নাই । r. প্রজ্ঞা আপনার প্রেজাতিতে আপনি প্রকাশ,-প্রজ্ঞ বলেন “আমিই সেই সূক্ষম তম সার্বভৌমিক সাৰ্ব্বকালিক মূলসত্য যাহা তুমি চাহিতেছ। আমা দ্বারাই সমস্তের সহিত প্রত্যেকের, পূর্বের সহিত পশ্চাতের অনাদি নিয়মের সহিত অনন্ত ঘটনার যোগ রক্ষিত হইতেছে । আমিই সেই সূক্ষ তম যোগ-সূত্র যাহা আকাশের রোমে রোমে এবং কালের গ্রন্থিতে গ্রন্থিতে তাম্বু প্রবিষ্ট রহিয়াছে।” প্রজ্ঞা এক জনের আত্মাতে নহে, কিন্তু প্রতি জনের আত্মাতে অনুপ্রবিষ্ট রছিয়াছে। আমরা প্রতিজনে যেমন একই সুৰ্য্য বাঙ্গিরে অবলোকন করি, (ਸਝੋਂ প্রতিজনে একই প্রজ্ঞ অন্তরে উপলব্ধি | করি । চক্ষু যেমন কর্ণ হইতে ভিন্ন, এক জীবাত্মা তেমনি অন্য জীবাত্মা হইতে ভিন্ন। | আবার, যে মন চক্ষুর অভ্যস্তরে থাকিয় | দেখিতেছে, সেই মনই কর্ণের অভ্যন্তরে | থাকিয়া শুনিতেছে, এ যেমন, তেমনি যে | প্রজ্ঞা এক জীবাত্মার অভ্যস্তরে থাকিয় ধ্রুব সত্য প্রকাশ করিতেছে, সেই প্রজ্ঞা অন্য জীবাত্মার অভ্যস্তরে থাকিয় ধ্রুব সত্য প্রকাশ করিতেছে । চক্ষেতে কৰ্ণেতে প্র