পাতা:ভারতী ১২৮৪.djvu/৩১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-- نامه বাঙ্গালীর আশা ও নৈরাশ্য । T-...--- (ভারত্নী মা ১২৮৪ গঠিত হইলে জাতিসাধারণের সহিত তাহা আমরা ভোগ করিতে পারিব। আমাদের | গঠন-শক্তি নানা বাহ্য কারণ হইতে ব্যাঘাত | পাইতেছে। প্রথম দারিদ্র্য, দ্বিতীয় জলবায়ু । আমাদের দেশ উৰ্ব্বর সত্য, কিন্তু অনেক কারণে দারিদ্র্য প্রশ্রয় পাইতেছে। | সাধারণ লোকদের মধ্যে সমান রূপে ধন বিভক্ত হইলেই দেশ ধনী হয়। দেশীয় কৃষকেরা যাহা উৎপন্ন করে তাহার সমস্ত লাভ মহাজন প্রভৃতিরাই ভোগ করে, তাহীদের | কেবল জীবিকা-নিৰ্ব্বাহোপযোগী কিছু অব শিষ্ট থাকে, তদধিক সঞ্চয় করিবার কোন উপায় নাই, দুর্ভিক্ষের পর দুর্ভিক্ষ উপস্থিত হইতেছে। বিশ্ব-বিদ্যালয়ে বিদ্যা শিখিবার জন্য অনেকে ধন এবং তদপেক্ষ বহুমূল্য স্বাস্থ্য নষ্ট করিতেছেন, কিন্তু শিক্ষা সমাপ্ত করিয়া ধন উপার্জন করিবার কোন উপায় দেখিতেছেন না। দেশের মৃত্তিক। ক্রমশঃ অমুৰ্ব্বর হইয়া যাইতেছে, এক | স্থানে ক্রমাগত একই শস্য জন্মিলে যুক্তি| কার তেজ নষ্ট হইয়া যায়। প্রাচীন | লোকের বলেন, "এখনকার খাদ্য-সামগ্রী ক্রমশঃ বিস্বাদ হইয়া যাইতেছে ; তাহার কারণ, মৃত্তিক ক্রমেই নিস্তেজ হইয়। যাইতেছে । এই দারিদ্রোর জালায় অস্থির হইয়া লোকে এক বিন্দু অম্ভ বিষয় ভাবিবার সময় পাইবে কোথায় ? যদিই বা | ক্রমে আমরা ধনী হই, তাহা হইলেও কি | অামাদের দেশ জ্ঞান উপার্জন বিষয়ে

  1. তাহীতেও সন্দেহ আছে। আমাদের জল

সকল দেশের অগ্রগণ্য হইতে পারে, । বায়ু এমন অতেজষ্কর, যে নিবাসীদের মন একেবারে উৎসাহশূন্ত করিয়া ফেলিয়াছে। কোন একটি কার্য্যে উঠিয় পড়িয়া । লাগা এদেশে কাহারো সাধ্য নহে। যদি বা কোন কৃত্রিম উপায়ে একবার উৎসাহ উদ্দীপ্ত করা যায়, তথাপি অধিক দিন তাহা স্থায়ী হয় না, অল্প দিনের মধ্যে শিথিল হইয়া যায়। দেশের আর্দ্র বায়ু স্বাস্থ্যের এত বিঘ্নজনক যে, তাহাতে অনেক অনিষ্ট হইতেছে। খৰ্ব্বাকার রুগ্ন শীর্ণ কতকগুলি লোকের কাছে কত দুর আশা করা যায় ? শারীরিক বলের অভাবে তাহদের মনের মহত্ত্ব জন্মিবে কোথা হইতে ? তাহারা অত্যাচারে অভাবে শিশু ও অবলার স্তায় ক্রন্দন করিতে । পারে ; পুরুষের মত, বীরের মত অত্যাচারের বিরুদ্ধে, অভাবের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিতে পারে না । আধ ঘণ্টা কঠিন বিষয় চিস্তা করিলে মাথা ঘুরিয়া যাইবে, দুই চারিটি চিন্তা-সাধ্য পুস্তক লিখিলে মাথার পীড়া হইবে । তবে এখন নুতন বৈজ্ঞানিকসত্য আবিষ্কার করিবে কি করিয়া ? র্যাহারা বৈজ্ঞানিক পণ্ডিত, তাহারা আহার নিদ্রা পরিত্যাগ করিয়া জ্ঞানান্বেষণে ব্যস্ত থাকেন, কত রাত্রি নিদ্রাইনমেত্রে তারকার দিকে চাহিয়া থাকেন, কত দিবস আহার ত্যাগ করিয়া সুৰ্য্য গ্ৰহণের প্রতীক্ষা করিতে থাকেন। এ সকল কি আমাদের দেশের দৃষ্টি অভাবে চসমা-চক্ষু, রাত্রি জাগরণে অজীর্ণ-রোগী, বিশ্রাম অভাবে রুগ্ন-দেহ, জল বায়ুর দোষে শীর্ণ ধাতু বিএ ! এমের কৰ্ম্ম ? বাঙ্গাল দেশ হইতে উঠিয়া ; না গেলে আমাদের নিস্তার নাই। ভারতবর্ষের