পাতা:ভারতী ১২৮৪.djvu/৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Tı | ভারতী শ্রা ১২৮৪) বঙ্গ সাহিত্য । “ড্ৰাপ্তি বিলাসের রচয়িত, তিনিই আবার | হামলেট্‌ বা ম্যাকবেথ বা ওথেলো বা লিI য়ারে হাস্য-রসের অবতারণা করিতে এতদ্বর | সঙ্কুচিত হইয়াছিলেন কেন ? আর ঐ সকল | নাটকে আমরা, যতটুকু হাস্যরস পাই— কি পলোনিয়সের মূর্খতা, কি দ্বারবানের বিরক্তিভাব, কি কেশিওর সুরামত্ততা, আর কি পাগলার বাচালত, এ সকলই কি ঐ সকল মহানাটকের মুখ্য উদ্দেশ্যর প্রতিপোষক নহে ? ঐ সকল কি ছলনাময়ী আলেয়ার আলোকের ন্যায় ভীষণ শ্মশানের ভীষণত৷ আরও বৰ্দ্ধিত করে না ? কিন্তু হাস্যরসের ঈষৎ আভাসের দ্বারা মহাকাব্য বা মহানাটকের গম্ভীর উদ্দেশ্য রক্ষা করা সেক্সপিয়ারের মত অসাধারণ কবি ব্যতীত আর কাছার সাধায়ত্ত ? কেটে বা ভেনিস প্রিজার্ভ বা ফেয়ার পেনিটেণ্টে হাস্যরসের নাম-গন্ধও নাই কেন ? কালিদাস শকুন্তলাতে প্রচলিত রীতির অনুরোধে মাধব্যের অবতারণা করিয়াছেন বটে, কিন্তু শকুন্তলা নাটকের গাম্ভীর্য যতই গাঢ়তর হইতে লাগিল ততই মাধব্যের বিদূষকত্ব হ্রাস হইয়া সখ্য ভাব বিকাশ পাইতে লাগিল কেন ? এইরূপে বুঝিতে পারা যায় যে মহাকবির। হাস্যরসটিকে যে, কবিতার অযোগ্য মনে করিতেন তাহ নয়, কিন্তু পাছে রচনা-বিশেষের মুখ্য উদ্দেশ্যের হানি হয়, এই হেতু তাহার সেই সেই রচনাতে হাস্যরসের পূর্ণ প্রভাব প্রকাশ করিতেন না। সত্যবটে যে ভবভূতি বা মিণ্টন প্রভৃতি কতকগুলি মহাকবির মানস-প্রকৃতি গান্তীৰ্ঘ্যরসে এরূপ পরিপ্ল,ত ছিল যে, হাস্যরস বিষয়ে তাহদের সম্যক উপেক্ষা লক্ষিত হয়, কিন্তু ইহাতে র্তাহাদের কবিত্বেরও লাঘব হয় নাই, অথবা হাস্যরসেরও অবমাননা হয় নাই। ডিমক্টিস জগতে যাহা দেখিতেন তাহাতেই হাসিতেন, হিরাক্লিটস জগতে যাহা দেখিতেন তাহাতেই কাদিতেন, কিন্তু জগতের যথার্থ প্রকৃতি বুঝিতে হইলে ডিমকিটস্ ও হিরাক্লিটসের সম্মিলিত চক্ষু দিয়া জগতের দৃশ্য সমূহ ; দর্শন করা উচিত । বাস্তবিকই যখন আমরা দেখিতেছি যে, সমস্ত প্রকৃতিময় হাস্যরস ও করুণরস অবাধে সৰ্ব্বত্রই তরঙ্গিত হইতেছে--যখন দেখি প্রত্যেক মন্থয্যের জীবনস্থত্রেই হাস্য ও রোদন ঘোর ঘনিষ্ট ভাবে গ্রথিত রহিয়াছে, তখন একটি রস যে কবিতার সীমাগত আর অন্যটি যে নয় তাহ কি নৈসর্গিক বা অনৈস গিক প্রমাণ দ্বার প্রতিপন্ন হইতে পারে ? | সত্যবটে যে হাস্যরসের ফলোৎপাদনশক্তি অতি ক্ষণস্থায়ী, সত্যবটে যে, করুণরসের মত হাস্যরস মানব হৃদয়ের প্রত্যেক শিরায় ও উপশিরায় প্রবা হিত হয় না—সত্যবটে যে এই জগতে দুঃখের ভাগই অধিক, সুতরাং কাল্পনিক হুঃখের তীব্র মূৰ্ত্তি দ্বারা জগতের প্রকৃত ছুঃখ বিষয়ে আমাদিগকে সৰ্ব্বদা জাগ্রত রাখা মহাকবিদের একটি মহান গরিমান্থল, কিন্তু এই সকল কারণ হেতু যে, হাস্যরস কবিতার মোহিনী সীমার বহির্ভূত তাহ