পাতা:ভারতী ১২৮৪.djvu/৩৭

৩২ গঞ্জিকা । e - - - i (ভারতী শ্রা ১২৮g সেকালচরণ বাচস্পতি মহাশয় যিনি সভাপণ্ডিত, তিনি, কোথা হইতে এক বহুকালের প্রাচীন পুথি অন্বেষণ করিয়া পাইয়াছেন, | সেই উপলক্ষে এইরূপ বক্ততা আরন্ত করিলেন ;–“এই পুথিখানি যাহা আপনার আমার হস্তে দেখিতেছেন, ইহা আমি অনেক ধূমব্যয় এবং শ্রম স্বীকারে | বাহির করিয়াছি। পোকায় কাটিয়া ইহাকে এমনি সংক্ষিপ্ত করিয়াছে যে ইহার সংক্ষিপ্ত সার লিখিতে আর কাহাকেও কন্ট পাইতে হষ্টবে না। এক প্রকার ভালই হইয়াছে । কেননা ইহার যে যে স্থলে প্রয়োজনীয় কথা গুলি লিখিত আছে, সেখানকার একটি বর্ণও পোকায় ছোয় নাই ; পোকাদের যতকিছু বলবিক্রম সকলই নিম্পয়োজনীয় অংশে তেই ক্ষপিত হইয়া গিয়াছে। এই পুস্তকের নাম ধূম রহস্য। ইহা বহুপ্রাচীন ংস্কৃত ভাষায় লিখিত। সে ভাষা অতি না। এই গ্রন্থে সকল ধূম অপেক্ষ গঞ্জিকাধূম শ্রেষ্ঠ রলিয়া উক্ত হইয়াছে; যথা ; প্রতি অধ্যায়ের উনপঞ্চাশং শ্লোকে এইরূপ লিখিত আছে, অদৃষ্টপ छ्म ইষ্টিমে ইষ্ট মে নাহি গঞ্জিকা ধূম উত্তমঃ। একদ্বিত্রিচতুষ্টানে কে রাজা কে অকিঞ্চন । ইহার তাৎপৰ্য্য এই যে, ইষ্টীম-কলের ধোয়াতে যদিও অনেক প্রকার প্রয়োজনীয় | কাৰ্য্য নিৰ্বাহ হইয় থাকে তথাপি (গ্রন্থকার |cभाज़ाc७३७क ७ गौर्ष8 लाख पtiहेत्र নাই, কেন ? না যেহেতু গঞ্জিকা ধূম তাহ অপেক্ষা উত্তম কিনা শ্রেষ্ঠ । কিসে তার শ্ৰেষ্ঠত্ব ? না যেহেতু এক দুই তিন চারি টানেই কে যে রাজা আর কে ষে অকিঞ্চন সাধকের সে বোধ থাকে না । এ বিষয়ে কাহারে! যদি কোন মত-ভেদ থাকে তবে তিনি তাহ ব্যক্ত করুন” । বংসাহেব রাগিয়া টঙ হইয়া পাইপ সেবনানন্তর বলিলেন “সভ্য মহাশয়গণ, ইস্টীম গাড়ির ল্যাণ্ঠান যার জ্বলন্ত চক্ষু, ইষ্টীম গাড়ির চোঙ, যার ধূমস্ত চুরটু, ইষ্টীম গাড়ির চাকা যা’র ঘুরন্ত পা, এ যেই উনবিংশ শতাব্দী ; এই জীবস্ত হাপন্ত শতাব্দীর উপর দাড়াইয়। আপনি ইষ্টমের অপযশ ঘোষণা করি, তেছেন—একি ভাল কাজ ? এই পৃথিবী যদিও রসাতলে যায় ( পৃথিবীকে বেগে এক পদাঘাত এবং আকাশকে প্রকম্পিত ঘুষ প্রদর্শন ) তথাপি আমি বলিতে ছাড়িব না যে, দেশের যত কিছু উন্নতি হইয়াছে, হইবে, . এবং হইতে পারে, সমস্তেরই মূলাধার কেবল এক ইষ্টীম, তদ্ভিন্ন আর যাহা কিছু সকলি উন্নতি পথের কণ্টক, তাহাদিগকে সমূলে উৎপাটন করাই কৰ্ত্তব্য ; তবে, গঞ্জিক যে পরম উৎকৃষ্ট পদার্থ, এ বিষয় এ সভায় কে অস্বীকার করিবেন ? ” এই বলিয়া তিনি চতুদিক নিরীক্ষণ করিয়া সহসা উপবিষ্ট হইলেন । বাচস্পতি মহাশয় গঞ্জিকা-মিশ্রিত একটু নস্য লইলেন এবং স্ববিবেচনা পূৰ্ব্বক বলিলেন “ উনবিংশ শতাব্দী না জানি কেণ্ডা !