ভারতী বৈ ১২৮৫ ; সামুদ্রিক জীব । X}ፃ সঞ্চরণ করে। অনেক স্থানে পৃথিবীর স্তর বহু দ্বর ব্যাপিয়া কেবল মাত্র ইহাদের দেহে নিৰ্ম্মিত । ইহাদিগের দেহের নিমিত্তই গঙ্গা নীল প্রভৃতি নদীতীরস্থ কর্দমে উর্বর শক্তি জন্মে। ইহাদের ক্ষুদ্রতম গাত্রাবরণ জমিয়। এক প্রকার প্রস্তর নিৰ্ম্মিত হয় । ভূতত্ত্ববিদগণ কহেন—অনেক উচ্চ পৰ্ব্বত ইহাদেরি দ্বারা নিৰ্ম্মিত হইয়াছে। এই ক্ষুদ্র হইতে ক্ষুদ্র-বিন্দু জলে যাহারা কোটি কোটি বাস করিতে পারে—তাহদের স্তুপে পৰ্ব্বত নিৰ্ম্মিত হইয়াছে ! এই কীটপুগণ, কেহ কেহ জলে, কেহ বা আদ্র"শৈলে, কেহ কেহ বা অন্য জন্তুর শরীরে বাস করিয়া থাকে । এমন কি, স্ত্রীলোকের স্তন দুগ্ধেও ইহাদিগকে পাওয় গিয়াছে। পাঠকেরা যদি কেহ অণুবীক্ষণ দিয়া এই কীটগণকে দেখিতে চান, তবে এক পাত্র জলে, ডিম্বের শ্বেতাংশ ফেলিয়া মুক্ত স্থানে রাখিয়া দিবেন, ইহাতে ফস্ফেট অফ সোডা বা কাৰ্ব্বোনেট অফ সোডা অথবা নাইট্রেট কিম্বা অক্সলেট অফ অ্যামোনিয়া দিলে এই কীটপুগণ অতি শীঘ্র শীঘ্ৰ বৰ্দ্ধিত হইয়া উঠিবে। এই বঁটা দিগের মধ্যে স্ত্রী পুরুষের প্রভেদ আছে। কিন্তু গৰ্ত্ত ভিন্ন অন্য কারণেও সূত্র দেখা যাইতেছে। অবশেষে ক্রমশঃ ঐ কীট একেবারে দুই ভাগে বিচ্ছিন্ন হইয়া । ইছার জন্মলাভ করে। ইহাদের অসংখ্য সদিগণ হইতে একটি কাটালুকে স্বতন্ত্র লইয়। যদি অনুবীক্ষণ দিয়া পরীক্ষা করা যায়, তবে দেখা যাইবে, ইহার দেহের মধ্যভাগ ক্রমশঃ ক্ষীণ হইয়া আসিতেছে, এবং | ফ্রমে নিম্ন প্রদেশে , কতকগুলি চলনেঞ্জিয় -*-*-* --_ | যায়, এবং এইরূপে দুইটি কীটের জন্ম হয়। বিচ্ছিন্ন অংশটিরও মুখ এবং অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গ দেখা যায়, ইহাদের মধ্যে যেমন “আত্মবৈ জায়তে পুত্রঃ' এমন মন্থয্যের মধ্যে নহে। এইরূপে একটি ইনফিউসোরিয়া, যাহা কত যুগ পূর্বে বর্তমান ছিল, তাহারি খণ্ডাংশ হয়ত আজ পর্য্যস্ত চলিয়া আসিতেছে। দেখা গিয়াছে এক মাসের মধ্যে দুইটি কীটপুর বিচ্ছিন্ন শরীরে ১০লক্ষ ৪৮সহস্র কীটাণু জন্ম লাভ করিয়াছে। ৪২ ৷ দিনে একটি কীটাণু শরীর হইতে এককোটি ছত্ৰি শলক্ষ চল্লিশ সহস্র কীটা জন্সিয়াছে। } এই অতি ক্ষুদ্র কীটপুর গাত্রেও আবার ক্ষুদ্রতর কীটা সঞ্চরণ করিতেছে, বৃহত্ত্বর | কাটাপুর গাত্র তাঁহার নিবাস ও আহারস্থান। ঘণ্টকতক মাত্র এই কীটাশুদিগের জীবন কাল। কিন্তু একটি আশ্চৰ্য্য দেখা | গিয়াছে, যাহাতে বায়ু না পায় এমন করিয়া | ষত্বপূর্বক ইনফিউসোরিয়াকে ঢাকিয়া রাখ, যতদিন পরেই হউক না কেন, গাত্রে এক বিন্দু জল লাগিলেই পুনরায় বাচিয়া | উঠিবে। এইরূপে এই দুই ঘণ্টার জীব | শতবৎসর মৃত থাকিয়া আবার মুহূৰ্ত্তে বাচিয়া উঠিতে পারে। . এই কাটামুদিগের আর একটি আশ্চর্য & প্রকৃতি আছে। ইহাদের শরীরের কিয়দংশ | বিচ্ছিন্ন করিয়া দিলেও ইহার মরিয়া যায় । ন। মৃত অৰ্দ্ধাংশ অদৃশ্য হইয়া যায়, আর | জীবিত অংশটি যেন অতি নিশ্চিতভাবে |
পাতা:ভারতী ১২৮৫.djvu/৩৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।