পাতা:ভারতী ১২৮৫.djvu/৪৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতী মাঘ ১২৮৫ ) সাগর-সঙ্গমে । ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে বিধবা রোহিণী ভীষণ স্বপনে পেতেছে ত্রাস, কণ্টকিত কায় ঘাম:বোহে যায়, আটকি পড়িছে অধীর শ্বাস। দেখিল স্বপনে—বিকট শ্মশানে কে যেন ধরিয়ে এনেছে তায়, ঘোরা দ্বিপ্রহরা—আমার শর্বরী, প্রগাঢ় জলদে আকাশ ছায়। ধূমে ধূমর্ময় দিগন্ত ব্যাপিয়ে, জমাট বেঁধেছে আঁধার হেন— নিশ্বাস প্রশ্বাস টানিতে ফেলিতে, পাজরের খীল আটকে যেন । থেকে থেকে শুধু চপলা চমকে, ঝলকে ঝলকে শ্মশান ভায়, হেথায় জ্বলিছে চিতার আগুন, হোথায় আলেয়া গড়ায়ে যায় । 零 尊 হেথায় শিবার অশিব নিনাদ, হোথায় গৃধিনী গরজে ঘোর, আকাশের তলে দলে দলে দলে উড়িছে শকুনী—তুলিছে শোর। মুদুরে সেথায় মড়ার মাথায় পিশাচের দল বসিয়া হাসে, সে হাসি শবদে দিগন্ত বিদরে— রোহিণী থমকি দাড়ায় ত্রাসে । সহসা সমুখে শ্মশান-কালিকা— —জলদ-প্রতিম দিল যে দেখা, . ধবক ধ্বক জ্বলে নয়নে অমল; লোল রসনা রুধির মাথা !" ; পলকে পলকে বিজলী দলকে খরসান সেই কৃপাণ তার, । তমো-তেজোময় মুরতি নেহরি । সভয়ে রোহিণী অসাড় প্রায় । চিতার উপরে দাড়ায়ে কলিকা, কহিতে লাগিলা গভীর রবেসপ্তসিন্ধু যেন প্রলয়ের দিনে একত্রে গরজি উঠিল সবে নীরব হইল শকুনী গৃধিনী, শৃগালের দল বিবরে পশে– পুষ্কর-গর্জনে নীরব শ্মশানে কালিকা কহিতে লাগিল শেষে— “তুই রে রোহিণী, মথুরা-বাসিনী, } ভাবিস কি আমি চিনি না তোরে ? 1 ভাবিস কি আমি জানি না শুনি না । বেড়াস তুই কি পাপের ঘোরে ?” { নীরব রোহিনী—নিম্পন্দ রোধিনী— } বহে না হৃদয়ে রুধীর ধার, : কতজোড় করে কঁাপিছে রোহিনী-; যেন সে রোহিণী নছে রে আর। ,