.# -* soro 5, পার্থিব প্রেম ও দেবভক্তি । -*-r | তিনি জীবনের কোন অবস্থাতেই দেবভক্তির { চূড়ান্ত গরিমা কখনই অনুভব করিতে পারেন না। পার্থিব প্রেম এবং দেবভক্তি এক উৎস হইতেই উৎসারিত হইয়াছে । সেই যে অন্ত একটি স্বতন্ত্র পদার্থে সম্পূর্ণ বিলীন হইয়া যাইতে বাসনা-অন্ত | পদার্থের আদরে বা অনাদরে আপনাকে চরিতাৰ্থ বা অভিসস্তপ্ত জ্ঞান করা, সেই যে সমস্ত জগৎ সংসারে সহস্ৰ সহস্ৰ সামগ্রী ব্যাকুলতা ও লালায়িত ভাব—এ সকলই পার্থিব প্রেম ও দেব-ভক্তির সাধারণ উপদান । কিন্তু আমরা যদি হৃদয়ের স্বভাব| সিদ্ধ শিক্ষণ-প্রণালী উপলব্ধি করিয়া দেখি, তবে দেখিতে পাইব যে অগ্রে সুন্দর—সুন্দরতর—সুন্দরতম পদার্থের প্রতি তামাদের উন্নতির সোপানে অগ্রসর হইতে হইতে আমরা শেষে মহান পদার্থের ভাবে লোমাঞ্চকার হইতে পারি। শৈশবকালে আমর একটি গোলাপ ফুল দেখিয়া প্রমোদিত হইয়া থাকি, কিন্তু অভ্ৰভেদী পৰ্ব্বত-শ্রেণীর মহান ভাবে কখনই অভিভূত হইতে পারি না । বাল্যকালে আমরা কুমুদ-কালারময় একটি প্রশাস্ত সরোরুর দেখিয়া যত छूट्स বিমোহিত হইতে পারিব, একট তরঙ্গময় সমুদ্র দেখিয়া আমরা কখনই ততদূর বিমোহিত হইতে পারিব না। কিন্তু যে হৃদয় সেই বাল্যকালে সেই সরোবরের শোভা উপলব্ধি করিতে পারে নাই, সে হৃদয় কোন কালেই সেই সমুদ্রের তর্জন গর্জনে উচ্ছুদি পারিবে লা—যে হৃদয় যৌবনে ভালবাসাতে মুগ্ধ হয় নাই, সে হৃদয় বাদ্ধক্যে দেব-ভক্তিতেও অভিভূত হইতে পারবে না—আবার, আমরা প্রথমে প্রত্যক্ষ পদার্থে-তাহার পর প্রত্যক্ষবৎ পদার্থে-পরিশেষে আধাগ্রিক পদার্থে হৃদয় সন্নিবেশিত করতে
ठ श्छेgष्ठ থাকিতেও সেই একটী পদার্থের জন্ত হৃদয়ের . ভালবাসা প্রধাবিত হয়—এবং তাহাতে ক্রমশ ; (डबड़ी मांचs*** { আপনাকে কখনো চরিতার্থ জ্ঞান করি৯ে { | পারেন নাই, তিনি কখনই দেব-ভক্তিতে } হৃদয়োচ্ছাস অনুভব করিতে পারেন না । এই সকল কারণেই আমি অগ্ৰে অঙ্গীকার 'করিয়া আসিয়াছি যে, যৌবনের পার্থিব প্রেম | বাৰ্দ্ধক্যে দেব-ভক্তির মহল। মাত্র-কিন্তু এই উচ্চ পদধীতে একবার উঠিতে পারিলে, দেব-ভক্তির অসীম আমোদ একবার উপভোগ করিতে পারিলে, পার্থিব প্রেমকে নিতান্ত অকিঞ্চিৎকর বলিয়। মনে হয় । দেবভক্তির এই স্নিগ্ধকর অথচ উচ্ছ্বসিত—এই প্রগাঢ় অথচ অমত্ত প্রসারিত আনন্দ-ভাবের সহিত পার্থিব প্রেমের উত্তপ্ত উন্মাদ কর উল্লাসের তুলনা করিয়া দেখিলে বৃদ্ধ যজাতি রাজাকে মুখের অগ্রগণা বলিয়া মনে হয় । তাহা ব্যতীত, যখন ভাবিয়া দেখি যে পার্থিব প্রেম সম্যক রূপে পরিতৃপ্ত হইলেই প্রকৃতির নিয়মানুসারে ক্রমশই হ্রাস পাইতে থাকে, কিন্তু দেব-ভক্তির কখনই সম্যক পরিতৃপ্তির সম্ভাবনা নাই,যখন ভাবিয়া দেখি যে পার্থিব প্রমের পদার্থ আমার যথেষ্ট হিতাকাজী হইলেও আমাকে সকল অবস্থায় সম্যক প্রকারে রক্ষা করিতে অসমর্থ, কিন্তু আমার ইষ্ট-দেবতার কোমল অঙ্কে মস্তক ব্লাথিয় কোন f কারণে কোন ভয়ে কথমই ভীত হইতে হইবে না, যখন ভাবিয়া দেখি যে পার্থিব শ্রেমের পদার্থ হইতে আমি অকলে বিচুত হইয়। আমরণ ভগ্ন-হৃদয়ে সম্ভবত কঁাদিতেও পারি, কিন্তু আমার ইষ্ট-দেবতার সঙ্গে আমি অমস্তকাল ক্রমশই ঘোর-ঘোরতর ঘনিষ্ঠ ভাধে সন্মলিত | হইতেই পারিব,তখন কুমারিক ব্ৰত দীক্ষিত । ইলাইসার মত আমাকেও এই বলিয়া আক্ষেপ করিতে হয় যে কি অকিঞ্চিৎকর ধূলি সমষ্টির উপর আমি ভালবাসা স্থাপন | করিয়াছিলাম, যথল এই মর্ত্যলোকের একটি । মানুষকে আমি ভালবাদিতে পারিয়৷ fছলাম । শিখিয়া থাকি । স্বতরাং যিনি পাধিব প্রেমে