পাতা:ভারতী ১২৮৫.djvu/৪৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- 8v8. স্বরে বললেন মহাশয়, নীরজ কোথায় | আমি জানি না, আমি শপথ করিয়া ঈশ্বরসম্মুখে আপনাকে ইহ বলিতেছি, ইহাতেও যদি আপনি বিশ্বাস না করেন তে আপ| নার যাহা ইচ্ছা—” সন্ন্যাসী সহিষ্ণু ভাবে প্রমোদের বাক্য | শেষ পর্যন্ত আর শুনিতে পারিলেন না। রাগে কঁাপিতে কঁাপিতে দিগন্তভেদী গষ্ঠীর স্বরে বুলিলেন “চুপু—আর কথা কহিঃ না, তোমার প্রত্যেক কথায় আমার হৃদয় হইতে শোণিত| স্ফলিঙ্গ ছুটিতেছে, নরাধম! পাষণ্ড! আজ দেখিতেছি এ হস্ত তোর রক্তে প্লাবিত হইবে, আজ দেখিতেছি নরহত্যায় এ হস্ত কলুষিত হুইবে?—বলিয়া ক্রোধে অজ্ঞানবৎ প্রমেদের দিকে দুই এক পদ অগ্রসর হইলেন, ! কিন্তু দুই এক পদ চলিয়াই আবার যেন | জ্ঞান হইল, তিনি সহস থমকিয়া দাড়া| ইলেন, একবার সেই অন্ধকার আকাশ | পানে চাহিয়া দেখিতে দেখিতে, একবার আপনার চারি দিকে সেই অর্ণধারময় প্রকৃতির আঁধার মূৰ্ত্তি দেখিতে দেখিতে, মুহূর্তমাত্র সময় লইয়া সেই অর্ণধার নৈশ! গগন কঁপাইয়। প্রমোদকে চমকিত করিয়া বলিলেন “না নরধিম, আমি তোর অপবিত্র রক্তে হস্ত কলঙ্কিত করিব না, আমি তোকে | মারিব না, তোকে মারিলে নীরজাকে | পাইব না, তুই মরিলে নীরজা কোথায় কে বলিবে ? না, তোকে মারিব না, মৃত্যুতে তোর মত লোকের শাস্তি হুইবে না—তোকে মরিলে আমারি কলঙ্ক। আমি বিচারালয়ে লইয়া তোকে শাস্তি দিব,-পৃথিবীর এক

যামিনীনাথের বাড়ী যাত্রা করিলেন । - fছন্ন মুকুল । (ভারতী, ফাল্গুন ১২৮৫ সীমা হইতে আর এক সীমা পর্যন্ত তোর নাম—তোর হুনাম, তোর জঘন্ত বিশ্বাস | ঘাতকত ঘোষণা করিব, পৃথিবীর সকলে তোকে দেখিবামাত্র সৰ্পের ন্যায় ঘৃণা করিয়া সরিয়া দাড়াইবে! তোকে মারিব না, মারিলে তোর পাপের শাস্তি হইবে না” বলিয়া সন্ন্যাসী তার মুহূৰ্ত্তমাত্র না দাড়াইয়া সেখান হইতে চলিয়া গেলেন। সেই নিস্তব্ধ তাধারময় রজনীকে র্কাপাইয়া, সেই কথা গুলি বজ্রের মত প্রমোদের কর্ণে প্রবেশ করিল। সন্ন্যাসী চলিয় গেলেন, প্রমোদ অনেক ক্ষণ ধরিয়া বজাহতের ন্যায় স্তব্ধভাবে সেই খানে দাড়াইয়৷ রহিলেন । যখন তাহার চিত্ত৷ করিবার শক্তি জন্মিল, তখন সন্ন্যাসীর সহিত যত কথা হইয়াছিল, পুৰ্ব্বাপর ক্রমে মনে পড়িতে লাগিল। কি করিয়া তিনি এবিপদ হইতে উদ্ধার পাইবেন তখন ভারতে লাগি, লেন । মন এমনি চঞ্চল, তখনি কাহারে সুহিত ঐ বিষয়ে পরামর্শ করিতে ব্যস্ত হইলেন । । কিন্তু ও সকল কথা কাহাকে বলেন ? সকলের &; নিকট আবার বলিতেও ইচ্ছা করে না । তিনি খু ਿਲ খুজিতে যমিনীনাথকে ছাড়া আর পরামর্শ করিবার লোক পাইলেন না । প্রথমতঃ যামিীনাথ তাহার হৃদয়-বন্ধু, দ্বিতীয়তঃ যামিনীনাথও সেই অরণ্যে গিল্পছিলেন, তিনিও নীরজাকে দেখিয়াছেন, তিনি সকলই জানেন, সেই জন্য ও সম্বন্ধে ! তিনি যেমন ভাল পরামর্শ দিতে পরিবেন তেমন অন্য কেহ পরিবে না। প্রমোদ এই সকল ভাবিয়া সেই রাত্রেই ব্যাকুল ভাবে

o