- ভারতী ফাল্গুন ১২৮৫ ) ছিন্ন মুকুল । * কথায় হাসিবে, তাছাকে রুচি-হীন বলিয়া কে তাহাকে রুচির উৎকর্ষ সাধনে পরীমর্শ না দিবে ? অন্যের কথা দূরে থাকুক, সেই চিত্রের সৌন্দর্ঘ্য হৃদয়ঙ্গম করিতে না পায়ায় নিজেই লজ্জিত হইয়া প্রমোদ সে ভাবটি আপনার কাছেও চাপিয়া লইতে চেষ্টা করিয়া সে পাতাট উলটাইয়া ফেলিলেন। পর পাতে আরো দুই একটি স্বন্দরীর চিত্র দেখিলেন, কিন্তু কাহারে মুখে প্রমোদ সেই একটি কেমন কেমন সৌন্দর্য্যের ভাব দেখিতে পাইলেন না--তাহার মনের মত সৌন্দর্য কোন ছবিতেই মিলিল না। একট মাত্র জীবন্ত প্রতিমাতে তিনি সেইরূপ ! সৌন্দর্ঘ্য দেখিয়াছেন মাত্ৰ,কিন্তু আর সে সেী মাৰ্য্য তিনি ইয়োরোপের প্রসিদ্ধ প্রসিদ্ধ সুন্দরীতেও দেখিতে পাইলেন না । প্রমোদ তখন স্ব প্রসিদ্ধ সুন্দরী স্কটেদের রাণী মেরিকে দেখিবার জন্য পাত উলটাইতে লাগিলেন— সে অ্যালবমে তাহ পাইলেন না । সে খালি রাখিয়া আর একখানি খুলিয়াই তিনি মেরির ছৰুি পাইলেন। যে রূপে কত রাজ্যবিপ্লব ঘটয়াছিল, যে, রূপের জ্যোৎস্নময় তরল তরঙ্গে কত উচ্চপদবীগত লোক উৎসন্ন গিয়াছিল, যে রূপের প্রশংসায় আজ পর্যন্ত দিক আমোদিত, সেই রূপের মোহিনী শক্তি তাহার মুখের কোন স্থলে বিদ্যমান তাহ প্রমোদ মনোযোগ পূর্বক দেখিতে লাগিলেন। সহসা আর দেখা श्ल नांবীণাধানিবৎ সহসা তাহার কর্ণে এই কথাটি বাজিয়া উঠিল “যামিনী বাবু”— সে স্বর প্রমোদ চিনিতে পারিলেন, সে --
স্বরে গেমোদ লোমাঞ্চিত কায়ে মুখ ফিরাইয়া দাড়াইয়া দেখিলেন র্তাহার পশ্চাতে নীরজা । সাধক তাহীর আকাঙ্ক্ষিত বর } পাইলে যত আহুলদিত না হইত, নীরজাকে দেখিয়া গ্রমোদের তাহা হুইল । প্লমোদের মুখ দেখিতে না পাইয়া যামিনী বোধে প্রথমে নীরজা ডাকিয়াছিল । সহসা প্রমোদকে দেখিয়া তাহার মুখেও অনিন্দ বিভাসিত হুইল । সেই রহৎ কক্ষে, একটি দীপালোক-বিভাসিত কক্ষে, ছুই প্রাস্তে দুইজনে নিস্তব্ধ ভাবে দাড়াইয়া | রছিলেন—উভয়ের নয়নে নয়নে স্থির । দৃষ্টি সংলগ্ন হইল, উভয়ে মনে মনে মন হারাইয়া চাহিয়া রহিলেন। ক্ষণেকে চমক ভাঙ্গিলে নীরজা বলিয়া উঠিল “একি, এত | রাত্রে তুমি এখানে ?” প্রমোদ অমনি এক ! সময়েই প্রায় বলিয়া উঠিলেন “নীরজ, তুমি | এখানে ? হঠাৎ বিস্ময় ও আনন্দ জনিত । মনের বিশৃঙ্খল ভাব কিছু গোড়াইয়া লইয়া ! কিছু পরে নীরজা তাঙ্গার দুঃখের কাহিনী ! আনুপূৰ্ব্বিক বলিল। শুনিয়া এখন প্রমোদ } । সন্ন্যাসীর কথা বুঝিতে পারলেন। প্রমোদ ! বলিলেন “যামিনী তোমাকে বাচাইয়াছেন, } কি সৌভাগ্য! নহিলে কি হইত কে জানে ?” আমি কেন যামিনীর মত সোঁভাগ্যবান হইলাম না—আমি কেন তে | মাকে উদ্ধার করিতে পারলাম না।” বলি ] য়াই মনে মনে যেন কি ভাবের আধিকা । বশতঃ প্রমোদের কথা বদ্ধ হইল-নীরঞ্জাও | ইহার কোন উত্তর করিল না। কথা { কহিতে কহিতে ধীরে ধীরে আপন হইতে । - - -