পাতা:ভারতী ১৩১৮.djvu/১০০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

సిdశి ভিতরে পড়িয়া সময়ে সময়ে বিহারীলাল অনেক ভাল অংশ বাদ দিয়া বসিতেন । কবির একখানি দপ্তর ছিল । তাহার ভিতরে কবিতাগুলি থাকিত। একবার তাহার একথানি কাব্যপুস্তক ছাপা হইয়া গিয়াছে, হঠাৎ এক যায়গায়, একটা শব্দের প্রতি কবির দৃষ্ট পড়িল। শব্দট, র্তfহার ভাল লাগিল না । তিনি তখনই সেই অংশের ফৰ্ম্মটি দ্বিতীয়বার প্রেসে দিলেন,—আগেকার ফৰ্ম্ম ছিড়িয়া ফেলিলেন । তাহার পর "ইচ্ছামত একটা নুতন শব্দ পূৰ্ব্ব শব্দের স্থানে বসাইয় দিলেন । বিহারীলালের দুই বিবাহ । প্রথম বিবাহে সন্তানাদি কিছু হয় নাই। দ্বিতীয় বিবাহের ফলে, বিহারীলাল অনেক গুলি সস্তানসন্ততি লাভ করিয়াছিলেন । বিহারীলাল, যেমন বন্ধুবৎসল, তেমনি সদাননী ছিলেন। তাহার চিত্ত উদার ছিল— তিনি কদাপি সংকীর্ণ তার দিক মাড়াইতেন না । তিনি দু’জন কবিকে সৰ্ব্বাপেক্ষ ভাল বালিতেন ও ত.হাদিগের ভক্ত ছিলেন । তাহার বক্সাকি ও কীট্‌স। তাহার মুখে প্রায়ই কট্রসের প্রশংসা শোনা যাইত। তিনি নিজেই গান বাধিতেন, নিজেই তাহাতে স্বরসংযোগ করিতেন এবং নিজেই গান ধরিতেন। তিনি মুকণ্ঠ ছিলেন না বটে ; কিন্তু তাহা হইলে কি হয় ! গান, আনন্দের ভাষা— আনন্মে তাহার অভিব্যক্তি। কবিপর অক্ষয়কুমারের মুখে শুনিয়াছি, তাহার দাত ছিল না,–কিন্তু সেই দ গুবিরল মুখেই ভাবেভোলা বদ্ধ কবি, গলা ছাড়িয়া গান ধরিতেন এবং সঙ্গে সঙ্গে তবলার অভাবুে দ্ব'হাতে তক্তাপোৰ পিটিয়া চমৎকার গজন চলিত। ভারতী । לצסיל ,tts* এখন যেমন বন্ধুজনের বিবাহে প্রীতিউপহার দি1ার চলন হইয়াছে,—তথ্রন তাই ছিল না। তখন, স্কুল-কলেজের মাষ্টার ও পণ্ডিতগণ যখন অবসব বা বিদায় লইতেন, ছাত্রের কবিতায় একটী অভুিনন্দন দিত। “বিহারীলাল এরূপ অমুরোধের কবিতা লিখিতে চাহিতেন না ! সুতরাং এই মৎলোব মাথায় লইয়া যদি কেহ বিহারীলালকে অনুরোধ করিতে অসিত, তাহা হইলে বুদ্ধ কবি রাগিয়া উঠিয় তাহাকে মারিতে যাইতেন ! ছোকৃরীরা তখন পলাইবার পথ পাই ত না । বিহারীলালের ভিতরে কতটা কবিপ্রাণ ছিল, নিম্নলিখিত ঘটনায় তাহ পরিস্ফুট হইবে । এখন যেমন বেল একটা ও রাত্রি নয়টার সময়ে তোপ পড়ে ; তখন তেমন ছিল না। তখন রাত্রি সাড়ে নয়টার সময়ে একবার ও ভোর ছয়টার সময় ( বোধ হয় ) আর একবার তোপ পড়িত । বিহারীলাল ছাদে বসিয়া আছেন। ছাদের উপবে তাহার এক সাধের বাগান ছিল। কতকগুলি ফুলগাছের টবে, ফুলের গাছে অনেক ফুল ফুটিয়া থাকিত। সেদিন, পরিষ্কার পুর্ণিমার রাত্রি—নীলাজঙ্গীল আকাশে চাদের আলো ছড়াই য়া পড়িয়াছে । বিহারীলাল, কলিকায় আগুন দিয়া ধূমপানের আশায় ছাদের উপর বসিয়া,চাদের দিকে চাহিলেন । সেই সময়ে রাত্রি ৯ টার তোপ পড়িল । এদিকে চাদ দেখিতে দেখিতে কবির প্রাণ-বিহুগ, মনঃকল্পিত কল্পনা-নন্দনে দুপাখ মেলিয়া উড়িয়া গেল । এবং নিখিল বিশ্বের উপরে যেন একটা বিস্মৃতির