পাতা:ভারতী ১৩১৮.djvu/১০১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৫শ বর্ষ, দশম সংখ্যা । وي ধীরে ধীরে মন্দির অভিমুখে চলিতে નલનામાં কয়েকটি সোপান অতিক্রম করিতেই মন্দিরের বিশাল দুর্গপ্রাচীর টেগোচর হইল। শুনিলাম এই পৰ্ব্বত • সময়ে পিণ্ডারী দস্থ্যযোদ্ধাগণের আবাসস্থল ছিল, ও মন্দিরটিকে তাহারা দুৰ্গরূপে ব্যবহার করিত। পৰ্ব্বতচূড়ার দক্ষিণ ও পশ্চিম দি ক পরিথার স্থায় খাড়া থাকায় প্রকৃতি স্বয়ং এই দুই দিক রক্ষা করিতেছেন। উত্তর দিকে দুষ্ট প্রস্থ প্রাচীর । ভিতরের প্রাচীরটি মন্দিরসংলগ্ন। বাঙ্গিরের প্রাচীর মন্দিহের ঠিক নিম্ন দিয়া পশ্চিমে গিয়াছে ; এবং অপব দিকে এক সঙ্কীর্ণ উপত্যক। পার হইয়া আম্বtল সরোবরের নিকটে গিয়া পৌছিয়াছে। পৰ্ব্বত্তের দক্ষিণ কিনারে রামটেক নগরকে সম্মুখে রাখিয়া এই প্রাচীর গিয়াছে। এথন ইঙ্গার ভগ্নাবশেষমাত্র বিদ্যমান । গাওলিগণ ( Goalia ) ই হার নির্মাতা বলিয়া বিবেচিত হয় । ইহার মধ্যে এক সময়ে একখানি বৃহৎ গ্রাম ছিল ; ভগ্নমন্দির ও গৃহাদি হইতে তাহার পরিচয় পা ওয়া যায় । প্রধান মন্দির গুলি পৰ্ব্বতের পশ্চিমপ্রাস্তে সৰ্ব্বোচ্চ শিখরে স্থাপিত । রামটেক নগব উইতে ইহার উচ্চতা প্রাঙ্ক পাচশত ফুট । দুর্গ প্রাচীরের গাত্রলগ্ন একটি ক্ষুদ্র মসজিদ দেখিলাম । একটি মুসলমান বালক রামদর্শনের পূৰ্ব্বে আমাদিগকে রহিম দুর্শন করিয়া যাইতে কহিবান করিল । কি স্তু আমরা পথশ্রমে একান্ত কাতর ; রাম রহিম কিছুই দেখিতে বিশেষ ব্যস্ত ছিলাম না । মন্দিরের একটা মোটামুটি ধারণা করিয়া লইতে 6t তথন রামটেক । పెt': উপরে উঠিতেছিলাম। আরও কয়েকটি সোপান অতিক্রম করিয়া মন্বিরের প্রকাও প্রবেশদ্বারে উপনীত হইলাম । অপরাহ্লে অরোর যখন এখানে আসিয়াছিলাম তখন এই দরজার ভিতরে একটি মুসলমান বালক বিড়ি তৈয়ার করিতেছিল, ও আর একটি ফকিরবেশী যুবক তাহার কাছে বসিয়াছিল। সে রহিমের নামে আমাদের কাছে সেলামী চাহিল । সুর্য্যরাও তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন - “রামকা রহিম কোন থে ? অর্থাং রহিম রামের কে ছিলেন ? ফকির প্রশ্ন বুঝিলেন না । বিড়ি ওয়াল। বুঝাইয়া দিল । তখন উত্তর হইল—“সব একই হ্যায়।” স্বৰ্য্যরাও বলিলেন—“বস, তব কেয় ?” এই দরজার নাম বরাহ দরজা । ইহার নিকটেই একটি গোলাকার ঘরে প্রকাও রক্তবর্ণ বরাহমূৰ্ত্তি—দৈর্ঘ্যে প্রস্থে প্রায় সমস্ত ঘরটি জুড়িয়া রহিয়াছে। ইহা বিষ্ণুর বরাহ অবতাবের মূৰ্ত্তি। একটি इंझ! लैङ्किांझेग्न स्रांtछ् । যাত্রীরা বরাহের পেটের তল দিয়া ইহার ভিতরে নামিয়া থাকেন। শুনিলাম যে সকল স্থূলকায় ব্যক্তি র্তাহাদের পরিধির আধিক্যবশত: গুহার ভিতরে নামিতে অসমর্থ হন, তাহারা মহাপাপী বলিয়া গণ্য হইয় থাকেন । এই অপবাদ হইতে অব্যাহতি পাইবার জন্ত অনেক উচ্চোদর ভক্ত ভিতরে প্রবেশ করিতে চেষ্টা করিয়া মধ্যপথে বিপদগ্ৰস্ত হন । তাছাদের বরবপুর উত্তমাদ্ধ বাহিরে, আর অধমাৰ্দ্ধ ভিতরে, এইরূপে “ন যযৌ ন তন্থেী” অবস্থায় থাকিতে হয় । এষ্টরূপ বিষম দুর্দশ দেখিয়াই বোধ হয় দুষ্ট লোকে “পপ” এক গহলরের উপরে