পাতা:ভারতী ১৩১৮.djvu/১০১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৯৬৪ ভারতী। তাহাদের খাস্বাধার; এবং মানবের খারূপে প্রসিদ্ধ পেঁড়ানামধারী কোন বস্তু, ও তাহাদের আধার কয়েকটি বাক্স পেঁড়া । দেখিলাম একটি গাভী আসিয়া নিঃসঙ্কোচে জিহ্বা- সংযোগে পেঁড়ার আস্বাদন লইয়া গেল । কিছুক্ষণ পরে বন্ধুরা যখন গাত্রবস্ত্র লইয়া ফিরিয়া আসিলেন ও আমাদিগকে ঐ পেঁড়া খাইতে অনুরোধ করিলেন, তখন মনে হইল যে কিয়ৎপূর্ব্বেই আর একটি প্রাণী আসিয়া ঐ পেঁড়ার রস গ্রহণ করিয়া গিয়াছে, এবং যেহেতু আপনার সহিত উক্ত প্রাণীর প্রভেদ আছে বলিয়া স্পর্দ্ধা রাখি, সেহেতু ঐ প্রস্তাবে আমি কিছুতেই সম্মত হইতে পারিলাম না । দেখিলাম আমাদের ঠিক সম্মুখে পাহাড়ের উপর গাছপালার মধ্য দিয়া একটি সঙ্কীর্ণ পথ দক্ষিণ দিকে গিয়াছে । এই পথে ধুম্রেশ্বর মহাদেবের মন্দির । কথিত আছে (૬ রামায়ণ প্রসিদ্ধ শূদ্র শম্ভুক এই স্থানেই তপস্যা করিতেন। শূদ্রের তপস্যার ফলে একটি ব্রাহ্মণসন্তান হত হইলে যখন রামচন্দ্র আসিয়া শঙ্কুকের শিরশ্ছেদন করেন, তখন শম্বুক এই সম্মানে প্রীত হইয়। প্রার্থনা করেন নে রামচন্দ্র চিরদিন এই পর্বতে অবস্থান করেন ; এবং শম্ভুক নিজে ও যেন এখানে পূজিত হন । তখন রাম এই পব্বতে বাস করিতে আরম্ভ করেন ও শম্বুকও একটি শিবলিঙ্গে পরিণত হন। এই শিবলিঙ্গের উপরেই ধুম্রেশ্বরের মন্দির নির্ম্মিত হইয়াছে। শুনা যায় রামচন্দ্ৰ যে শঙ্কুকের প্রার্থনা পূর্ণ করিয়াছেন, 'ও এই মন্দিরে বসবাস করিতেছেন, তাহার প্রমাণ- স্বরূপ তিনি মাঝে মাঝে আলোকশিখার আকার ধারণ করিয়া মন্দিরচুড়ার ত্রিশূলের মাঘ, ১৩১৮ মেঘ হইলে এই কাছে ঘুরিয়া বেড়ান । ব্যানার দেখা যায় বলিয়া বৈজ্ঞানিকগণ বলেন যে উক্ তাড়িতক্রিয়া ব্যতীত আর কিছুই নহে । • এই মন্দিরে একটি সাধু বাস করেন। তিনি নাকি সকল প্রকার ধাতুকে স্বর্ণে পরিণত করিতে পারেন। ইনি স্পর্শমণি সন্ধান ঠিক কোথায় পাইলেন বলিতে পাবি না; তবে ইঁহার নাম ফকড়নাথ। নাম শুনিয়া মনে হইল ইহার অসাধ্য কিছুই নাই । এইবাব আমরা সোপানশ্রেণী ধরিয়া আম্বালা সরোবরের দিকে নামিতে লাগিলাম । অত্যন্ত তৃষ্ণাৰ্ত্ত হইয়াছিলাম; মনে হইতেছিল সোপানশ্রেণীর বুঝি আর শেষ নাই । আমরা সরোবরে চলিয়াছি এই চিন্তা যেন তৃষ্ণা আরও বাড়াইয়া দিতেছিল। সোপানশ্রেণী অবতরণ করিয়া কিছুদূর গিয়া দেখিলাম কয়েকখানি কুটীর সাধু একখানি ক্ষুদ্র বাস করিতেছেন। আশ্রম প্রাঙ্গণে একটি ইঁদারা ছিল। তাহার শীতল জলে তৃষ্ণা দূর করিয়া আরও কিছুদূর অগ্রসর হইয়া আম্বালা সরোবরের তীরে আসিয়া পৌঁছিলাম। রহিয়াছে । কয়েকটি আশ্রম করিয়া এখানে ভাবিয়াছিলাম সরোবরে স্নান করিয়া অবিলম্বে মালগুজার মহাশয়ের আতিথ্য গ্রহণ করিব। দেখিলাম সূর্য্য রাও স্নান সমাপন করিয়া জলে দাঁড়াইয়া আহ্নিক করিতেছেন। তাঁহাকে স্নান করিতে দেখিয়া আশা হুইল ; ভাবিলাম ইহা আহারের পূৰ্ব্বাভাষ । কিন্তু পরমুহূর্তেই শুনিলাম যে আহারের কোন আয়োজনই হয় নাই। সূর্য্যরাও মালগুজারের