৩৫শ বর্ষ, দশম সংখ্যা । পৰ্ব্বত পথে চলিতে চলিতে বেলা পড়িয়া আসিল। , দেখিলাম সেই পথ হইতে আরও কয়েকটি সঙ্কীর্ণ পথ বাহির হইয় পৰ্ব্বতমালার পাদদেশ দিয়া ঘুরিয়া ফিরিয়া কোথায় চলিয়। গিয়াছে। চারিদিক তখন নিস্তব্ধ হইয়া আসিতেছে । আমরা আপনাদের পদশকে আপনারাই চমকিয়া উঠিতে ছিলাম। মনে হইতেছিল আমরা জনতার জীব বুঝি এই নির্জনতার মর্য্যাদা রক্ষা করিতে পারিতেছি না । বুঝি আমাদের সঙ্গাস্ত চাৎকারে সুপ্ত বনদেবীর নিদ্রা শুঙ্গ ইষ্টবে। জানি না কেন আপন হইতেই আমাদের বাক্যালাপ থামিয়া গেল। সেই শাস্তু নিস্তব্ধতার মধ্যে দূরে কোন বৃক্ষ শাখায় বসিয়া একটি, ঘুঘু করুণস্বরে ডাকিয়া ডাকিয় ক্লাস্ত হইয় পড়িতেছিল। পৰ্ব্বতগারে ক্ষীণ প্রতিধ্বনি শুনা যাইতেছিল । আমরা নীরবে চলিতে চলিতে তাহাই শুনিতে লাগিলাম । পৰ্ব্ব তমালার সামুদেশে ॐ]jभांभूभाँन বনরাজি ; শিখরদেশে অস্তগামী সুর্য্যের শেষ রশ্মি ধারা । উভয়ের সংমিশ্রণে এক ছায়ালোকময় স্বপ্ন রাজ্যের সৃষ্টি হইয়াছিল । প্রকৃতির লীলী-নিকেতন এই শান্তি-স্বৰ্গ হইতে দ্বন্দুকোলাহলময় লোকালয়ে আর যেন ফিবিতে ইচ্ছা হইতেছিল না। পশ্চাতে কিবা ফিরিয়া • বনভূমির সেই মি শুম শেখ উপভোগ করিতে লাগিলাম । প্রশস্ত সোপানশ্রেণী দিয়া আবার উপরে উঠতে লাগিলাম। অতি সুন্দর, মুনিৰ্ম্মিত, শ? সে পানাবলী। দুই পাশ্বে মুরক্ষিত । উণ ধায় পুরাকালে অম্বা নামে এক কুষ্ঠগ্রস্ত, ब्रांप्रtüक । ৯৬৭ স্বৰ্য্যবংশীয় রাজপুত নরপতি মৃগয়ার জন্ত এই স্থানে আসিয়াছিলেন। তিনি তৃষ্ণাৰ্ত্ত হইয়া এক গিরিনিঝরে জলপান করিতে আসিয়া ভtহাতে হস্তপদ প্রক্ষালণ করেন । তৎক্ষণাৎ তিনি দেখিলেন যে র্তাহার শরীরের যে যে অংশ ঐ জলস্পর্শ করিয়াছে, তথা হইতেই কুষ্ঠ ব্যাধির সকল চিহ্ন লুপ্ত হইয়াছে । তিনি তখন সেই নিঝর খনন করিয়া আস্বলি সরোবরের স্বাক্ট করেন । আর আমনি পাতাল হইতে ভোগবতী উ{থ ত হইয়া সরোবরকে জলপূর্ণ কবেন। এই কারণে মৃত ব্যক্তি গঙ্গালাভ করিবে এই আশায় নাকি ইহাতে তাহার অস্থি ফেলিয়া দেওয়া হয় | রাজা অম্বা এই সোপানশ্রেী নিৰ্ম্মাণ করিয়া দিয়াছিলেন । উঠিতে উঠিতে এক স্থলে দেখিলাম একটি সোপানের প্রান্তে এক অপরিসর প্রকোষ্ঠে একটি ক্ষুদ্র প্রস্তরমূর্তি রহিয়াছে। উছ। পুরাতন ভারতীয় ভাস্কৰ্য্য প্রণালী অনুসারে গঠিত। একটি মূৰ্ত্তি মধ্যে দাড়াইয়া আছে ; এবং তাহার দুই পার্শ্বে দুইটি স্ত্রীমূৰ্ত্তি তাহার হাতে ভর দিয়া দাড়াইয় তাহার মুখের প্রতি উদগ্রীব হইয়া চাহিয়া আছে । এই স্ত্রীমূৰ্ত্তি দুটির মুখে স্নেহ, নির্ভরতা, আগ্রহ ও ব্যাকুলত অতি স্পষ্টভাবে ফুটিয়া উঠিয় তাহাদিগকে এক অনিৰ্ব্বচনীয় সৌন্দর্য্যে মাগুত করিয়াছে। মূর্তিগুলি যেন সজীব । স্ত্রীমূর্বির ভাব দেখিয়া বোধ হইল এখনই যেন মুখ ফুটিয়া কথা কহিবে । চিত্তবঞ্জন প্রাচীন ভারতীয় কলা বিষ্কার একনিষ্ঠ সাধক। তিনি গলঃকলার ডাক্তার কুমারস্বামীর পরম ভক্ত।
পাতা:ভারতী ১৩১৮.djvu/১০১৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।